কিসের প্রতিযোগিতা
অচিন্ত্য সরকার
তুই হাজার তারার মাঝে একফালি চাঁদ
তোর কিসের এতো অবসাদ?
আমি তো ফালতু এক নো বডি।
'ব' আর 'ল' এর মাঝে একটা আ-কার,
আমাকে দেখা না দেখা সবই বেকার।
বরং সেই সে পুরুষ শ্রেষ্ঠ,
প্রেমিক শিরোমণি,সুচতুর পদার্থ,
'দ' এর লোপে,দিতে পারে এনে,
বনপলাশীর পদাবলী রক তালে গেয়ে,
তোর চির কাঙ্খিত মহৌষধি অব্যর্থ।
মাটির ঘরের যত রতি,সতী
কিংবা অসতী ঘুটের ধোঁয়ায় কেঁদে,
পোকা ধরা মোটা চালের ভাত রেধে,
বাসনের কালি মেখে,ফ্যান খেয়ে,
ঝাঁটার বাতাসে সেবা করে পতি।
মুরোদ নেই বলে গাল দেয় দিন রাতে
আবার জল তোলে বার্থরুমে,
ঘেমো গায়ে সঙ্গ দেয় রাতে।
স্বপ্নের মাকড়সা জ্বাল বুনে
অস্থির করে না শেষ রাতের ঘুমে।
বুক ভর্তি পাহাড় টিলা আর অন্ধ ঘাদ
আকাশের উদারতা ছেঁকনিতে ছেঁকে
ধার করে সূর্যের আলো,রূপসী হলো চাঁদ।
মাটির পৃথিবীতে দেয় না উত্তাপ,শুধু
মায়া জ্যোৎস্নায় বুনে চলে ফাঁদ।
আমার চারিদিকে সারি সারি শূন্য
কখনো যদি আগে বসে পূর্ণ এক,
তবেই তো প্রতিযোগিতা হবে,
আমার ক্যাকটাসে ফুটবে তারার ফুল
সৃষ্টি হবে সত্যি প্রেমের কবিতা এক।