কেমন আছো পূর্বাশা? অনেক দিন হলো
ফেসবুকে তোমার নতুন কোন পোষ্ট পাইনা
ভালো আছো তো, নাকি…থাক্ সে কথা,বলি
আগের মতো সুন্দর করে শাড়ি পরো?
নাকি বিদেশে গিয়ে জিন্স –টপ ধরেছো?
যদিও ওটাতেও তোমাকে বেশ মানায়।
আজও কি মঙ্গলসূত্র টা তোমার ভরাট বুকে
লুটোপুটি খায় আগের মতো স্পর্শ সুখে?
তোমার মনে আছে পূর্বাশা? তনিমা,অনিমা
নীলিমা আর মৌটুসি,তানিয়া ও ফুলটুসিদের?
ঐ যে যারা অকারণে হা-হা করে হাসত আর
যখন তখন ঢলে পড়ত গার ওপর;আরে হ্যাঁ
যাদের তুমি সহ্য করতে পারতে না একদম,
কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারতে না কিছুই!
তুমি চলে যাবার পরে কত উপহাস করেছে
ছড়া কেটে বলত,’বামন হয়ে হাত বাড়ায় চাঁদে
এখন কেন বগা মশায়, ফাঁদে পড়ে কাঁদে?’
কিন্তু তুমি তো জান,হাত আমি কোন দিন বাড়ায়নি
তবে দূর গগনে পূর্ণিমা চাঁদ কে যখন দেখেছি
মাটির পৃ্থিবী থেকে অপলক চোখে চেয়ে দেখেছি
ভেবেছি মিথ্যে কলঙ্ক নিয়েও চাঁদ এত সুন্দর হয়!
কি যে সব বাজে বকছি!তা হ্যাঁগো পূর্বাশা,
শুনেছি তোমার স্বামী শহরের মস্ত বড় ডাক্তার!
তা মাঝে মাঝে কাছে যাবার ডাক পাও তো তাঁর?
গান টা কি ছেড়ে দিয়েছো একে বারে?নাকি
সময় পেলে একটু আধটু রেওয়াজ আজও কর
তোমার গলায় এক অদ্ভুত মায়া-মিষ্টতা ছিল,
তোমার চোখের গভীরতা মাপার সাধ্য কার?
আর তোমার অভিমান?ও!সে কী বর্ণময়!
সব কিছু হেলায় করত জয়।আরে তাইতো
জয়ের কথা বলতে মনে পড়ে গেল,কি?
বলি সে সুজয়ের খবর কি?হ্যাঁ, সেই বকাটেটা;
যে তোমাকে প্রায়ই বিরক্ত করত রাস্তার মোড়ে,
এখনও কি লেগে আছে,আজও এস.এম.এস করে?
ওঃ,এসময় আবার কে ফোন করল!পূর্বাশা কে
ফোনে পাইনা,চিঠি টা শেষ করব আর কবে!
হ্যালো,হ্যালো,হ্যাঁ পূর্বাশার বন্ধু বলছি,বলুন,
কেমন বন্ধু?আরে ধুর,কলেজের বন্ধু;হ্যাঁ হ্যাঁ
শুধুই বন্ধু,কিন্তু আপনি কে হে মশায়?
রাত দুপুরে ফোন করে এত কথা বলছেন।
কি বললেন? হাসপাতাল থেকে বলছেন?
কেন দাদা,কি হয়েছে,কি হয়েছে পূর্বাশার?
‘আ কেস অফ ব্রাইড বারনিং,’বাঁচবে না আর?
কি বললেন?মৃত্যু শয্যায় ও দিয়েছে আমার নাম্বার!