জয়ধ্বণি
অচিন্ত্য সরকার
তোমারা স্বপ্ন ফেরি করেছিলে উদাত্ত ফুকারে
একটা মাটির পৃথিবী ঘেঙে দু’টো বিশুদ্ধ স্বর্গ
এনে দেবে।আমরা ভাটির স্রোতে ভেসে চলা
শৈবালের মতো ভাসলাম স্বর্গ সুখের লোভে।
ভাঙলে,পাঁচিল দিলে,গঙ্গাকেও সমান ভাগে
দায়িত্ব দিলে বিশুদ্ধতা রাখার নিগুঢ় তাগিদে।
মাটির গভীরে যত্নে লালিত শিকড় উপড়ে
নন্দন কাননের বাগানে করলে জোড়কলম।
তোমার ইন্দ্রলোক সেজে উঠল সেবার দম্ভে;
আমরা থলে ধরে লাইন দিলাম,সস্তা চাল,গম
আটা,চিনি পেলাম,আর দু’হাত তুলে তোমার
জয়ধ্বণি দিলাম।যার গলার জোর যত বেশি
তার প্রাপ্ত তত বেশি।লাইনে দাঁড়ানো আর
শর্করা গেলা সাথে সন্তুষ্টির জয়ধ্বনি এসবের
মিলিত সুখে মধুমেহ আর বাতে ধরল একসাথে।
বিনা করচে চিকিৎসা আছে ভয় কী!আবার
জয়ধ্বনি।তুমি কিন্তু মহানিদ্রায় সুখ শষ্যায়
শায়িত।মাঝে মাঝে অতি ভোজনে অগ্নিমন্দা
হলে,চলে যাও বৈকুণ্ঠ লোকে আকাশ রথে
অশ্বিনী কুমারদের কাছে,তোমার তো ডলার
আছে।দেশি চিকিৎসায় অগ্নিমন্দা সারে না।
তোমারা স্বপ্ন ফেরি করছো সুদৃশ্য মোড়কে
ঘূর্ণিঝড়ে উড়ে চলা বালির কনার মতো আমরা
মরুদ্যান এর মরিচিকা দেখি,চাতকের মতো
নতুন স্বপ্নের ফেরিওয়ালা খুজি,জানিনা কি বুঝি
আবার জয়ধ্বনি দেই,না দিয়ে তো উপায় নেই।