ঝাল
        অচিন্ত্য সরকার

তুমি এখন মস্ত শিল্পী,
মস্ত শিল্পীদের কাছে তোমার
নিত্য আনাগোনা,নতুন নতুন অভিসার।
আগে নিজের মুখে যে ঝাল খেয়ে,
তোমার সারা শরীর শিউরে উঠতো,
এখন মস্ত জ্ঞানীর মুখ দিয়ে খেয়ে-
তোমার ঝাল লাগে না আর!

একদিন যে ঝালগাছের তলায় বসে,
ঝল দাও,ঝাল দাও-শরীর যে জুড়িয়ে যায়,
দু'দিন কেন ঝাল দাও না,বলে বায়না করতে,
হঠাৎ সেদিন পথ ভুলে, অনেকটা তার কাছে এসে, বললে হেসে অনেক শ্রদ্ধা আর ভালোবেসে,
পন্ডিতরা বলে,তোমার ঝালে-
ঝাল..,দানা কিছুই নেই,
খেয়ে কোন শিহরণ নেই,
তাই খেতে চাই না আর।

কিছুক্ষণ নীরব থেকে,কষ্ট গিলে মিষ্টি হেসে,
বলল ঝালগাছ,"আমার কমল দায়ভার,
ঝাল না পেলে কাব্যরাণীর হবে না মুখ ভার।"

ওরে তোতা,এতদিনে তুই সোনার খাঁচায়,
উঠলি গিয়ে উঁচু মাচায়,
নিজের মুখে কষ্ট করে খেতে হবেনা ঝাল,
পন্ডিতেদের শেখানো বুলি,
অঙ্গে তোর শিহরণ তুলি,
পন্ডিতদের প্রতিযোগীতায় ঝরাবে বাহার।