(১৬)ব্যস্ত
অচিন্ত্য সরকার
পটুয়া পাড়ায় ব্যস্ত সবাই,
মূর্তি গড়া করতে শেষ,
বাজার দোকান ভিড়ে ঠাসা,
পরিপাটিতে বেশ কেশ।
উমা আসছে বাপের বাড়ি,
তাই তো একটু বাড়াবাড়ি
দুঃখ ভুলে তুলবো ঘরে ,
সারা বছরের সুখ-আবেশ।
(১৭)টাইট
অচিন্ত্য সরকার
ভোটের আগে সব ভোটারই
আমার ভগবান
বোতাম টেপা হলেই পরে
ভাঙব তোদের ঠ্যাং,
অনুগত থাকিস যদি,
দু'টাকায় চাল পাবি
বেশী বুঝতে চাইলে কিন্তু
টাইট দেবে গ্যাং।
(১৮)বোঝে না
অচিন্ত্য সরকার
নদী ভরা ঢেউ,
বোঝে না তো কেউ।
বুকে আছে কত ব্যথা,
জমা তাতে কত কথা।
অশ্রু মানেনা বাধা,
লুকিয়ে শুধু যে কাঁদা।
দূর দেশে প্রিয়া কাঁদে একা,
কবে পাবো হায় তার দেখা।
(১৯)শান্তি-নীড়
অচিন্ত্য সরকার
লাল মাটির পাহাড়ের চিত্রপটে
বেড়ায় ঘেরা ছোট্ট কুড়ে ঘরে,
অভাব খিদে কাটাই হেসে খেলে
শান্তি সুখের অশেষ অবসরে।
বন্ধু,একবার যদি আসো শহর ছেড়ে
ঝর্ণার বুকে নুড়ির নাচন,তুলবে সুর,
মুক্ত আকাশ হাতছানিতে ডাকবে কাছে
উঠোন জুড়ে নাচবে,খেয়ালী রোদ্দুর।
(২০)তোমাকে নমি
অচিন্ত্য সরকার
নামের সাথে জোড়া সব বিশেষণ গুলোকে
জীবন ও কর্মের দ্বারা এভাবে অর্জন করতে
আমি কাওকে দেখিনি আজও-দুখুমিঞা,পল্টন
কবি,বিদ্রোহী কবি,সাম্যের কবি,মানবতার কবি,
প্রেমের কবি-কার সাথে অবিচার করেছো তুমি?
হে জাত-কবি,জাত-গীতিকার,আপোষহীন মানব,
হে এক হাতে বাঁশরি ও আর হাতে তরবারি-ধারী
কালজয়ী মহামানব,তোমাকে নমি।