(১১) অস্তাচল
অচিন্ত্য সরকার
সূর্য গেলে অস্তাচলে পশ্চিম দিগন্তে,
পাখিরা বাসায় ফেরে দিনের অন্তে।
কর্মব্যস্ত পৃথিবী ঢলে পড়ে বিছানায়,
শান্ত ঘুমের কোলে বিশ্রাম নিতে যায়।
রাতের রাণী চাঁদ আলো ঢালে আকাশে
জোনাকি মিটিমিটি দীপ জ্বালে বাতাসে।
অস্তাচলে যায় রবি,আলো রেখে পাছে,
প্রিয়জন কাজ ফেলে,ফিরে আসে কাছে।
(১২) পঙ্কজ
অচিন্ত্য সরকার
জন্ম নিয়েও পঁচা পাঁকে
মাথা উঁচু রাখা যায়,
তুমি পদ্ম করেছো প্রমান
আপন গুণ-শোভায়।
তোমার শোভায় মুগ্ধ ভূবন
মধুকর অমৃতে পুষ্ট,
সন্ধিপুজোয় এক'শ আটে
দেবী দুর্গা স্বয়ং তুষ্ট।
(১৩) ইচ্ছে
অচিন্ত্য সরকার
ইচ্ছে করে পাখি হয়ে
ঐ আকাশে উড়বো,
ভালবেসে মেঘমালাকে
একটুখানি ধরবো ।
ইচ্ছে পুরণ হয় আর কই
নেই তো আমার ডানা,
স্বপ্নে ছুঁলে মেঘমালাকে
করবে কি কেও মানা?
(১৪)অনুভব
অচিন্ত্য সরকার
মুখে যাই বলো,ভ্রুতে যতই আনো বাঁক,
ঠোঁটে রঙের আঁচড়ে থাক যতই সূক্ষ্মতা,
কথার চাতুরী,শাড়ির কুচি,যত ইচ্ছে থাক,
ফাঁকিতে ভেবো না,পেয়েছো সফালতা,
অনুভবে বুঝেছি বেশ,প্রেমের গভীরতা।
(১৫) মাঝি
অচিন্ত্য সরকার
অকূল গাঙে একলা মাঝি
উদাস কেন চলো,
আমার বন্ধুর দেখা তুমি
পেলে কিনা বলো।
তীরে দাঁড়িয়ে একলা আমি
পথ পানে চাই,
মাঝি তুমি নাঙ-এ নিলে
বন্ধুর দেশে যাই।