আদি শিল্পী
                      অচিন্ত্য সরকার

তোমার কথা রাখতে লিখতে তো বসলাম!
জানিনা, ভাবনা গুলো তোমার পথ বেয়ে
কোন গৃহবধুর এক ঘেঁয়ে ঘরকন্যার ক্লান্তি
ঘাম হয়ে ঝরে পড়বে,নাকি কোন অতৃপ্ত
কবির পুরনো ক্ষতে নতুন করে রক্ত ঝরাবে।

থাক সে কথা,হয়তো ঠিক বুঝিনে তোমাদের
ব্যাথা,কখন কিভাবে বাজে প্রানে;জানতো,
নারীর মন দেবতাও না জানে!তুমি যখন
তোমার প্রিয়জনের তৃপ্তির জন্য খুন্তি ধরো,
পুষ্টি-চালচিত্রে তৃপ্ত হয় স্বাদ,কাটে অবস্বাদ।
  
তুমি যখন তাঁর ফেরার পথ চেয়ে অপেক্ষা
করো,কিংবা তোমার সন্তান কে বুকে নিয়ে
বিশুদ্ধ তরল ভালোবাসায় তাকে পুষ্ট করো
এগুলো সবই আমার কবিতা লেখার মতো
মূল্যবান;কণ্ঠ শিল্পীর কাছে যেমন তাঁর গান।

প্রেয়সী,পত্নী,মা রুপে তোমারা আদি শিল্পী
আমসত্ত্ব,আমতেল,কুলের আচার,পটলতেল
ভাবোনা কেন এক একটা জীবনমুখী কবিতা!
কবিরও কষ্ট-ব্যাথ-অতৃপ্তি-একঘেঁয়েমী থাকে
সব কিছুকে গ্রহন করেই তাঁর কবিতার বর্ণালী।


আমি বলি কি,কখনও খুব একঘেঁয়ে মনে হলে  
নতুন কোন রেসিপি করে সবাইকে খেতে দিও,
মেয়ের পুতুলটা সাজিয়ে দিও,একটু গান গেও
কিংবা চুপি সাড়ে মনের অ্যালবামে দেখে নিও
মেয়ে বেলার কোন সুখের ক্ষণ,ভালো হবে মন।

তার পরেও যদি হাতে থাকে একটু সময়
কবিতা পড়ো,হয়তো নিজেকে খুঁজে পাবে।
তখন যদি থাকে একটু সাহস,সুযোগ আর মন
ফেলে আসা প্রথম বন্ধুর সাথে গল্প কিছুক্ষণ
সুনীল আকাশে ওড়াও বাউল বলাকা মন।