চারিদিকে বিক্ষোভের স্লোগান,
দেশ সংস্কারে আমরা যুবা
বিলিয়ে দিবো আপন জীবন,
উত্তপ্ত রাজপথ হেঁটে আমি ক্লান্ত প্রাণ,
পায়ের পাতা রক্তে ভিজে ছোপ ছোপ
রংপুর, চট্রগ্রাম হয়ে ঢাকায় যখন
বিক্ষোভ-২৪ তখন গণআন্দোলন ।
স্বৈরাচারের তীব্র চাবুকাঘাতে
আমার ওষ্ঠাগত প্রান,
স্ফুলিঙ্গের মতো জ্বলে উঠা
স্বপ্নচারী ছাত্রসমাজের দুর্বার যাত্রা,
আমি যেনো ফিরে পেলাম ২৫শের যৌবন,
বিক্ষোভ-২৪ তখন গণআন্দোলন ।
থমকে দিতে গণআন্দোলন,
স্বৈরাচার রাষ্ট্রযন্ত্র নামিয়ে দিলো
পোষ্য পেটুয়া বাহিনী,
আমার উপর নেমে এলো
নৃশংস মৃত্যর খড়গ কৃপাণ।
তবু সটান দাঁড়িয়ে
চিৎকার করে বললামঃ
“চেয়ে ছিলাম অধিকার,হয়েগেলাম রাজাকার,
কে বলেছে? কে বলেছে?
স্বৈরাচার, স্বৈরাচার”,
বুকের ভিতর অনেক ঝড়
বুক পেতেছি গুলি কর।
বুলেটে ঝাঁঝরা হলো আমার মাথার খুলি,
বুকের পাঁজর,
বাদ গেলো না আমার ছোট্ট সন্তান,
বিক্ষোভ-২৪ তখন গণআন্দোলন ।
ওরা বুঝেনি,
এখানে আমি মরতে আসিনি,
বিদ্ধ হওয়া প্রতিটি বুলেটে
আমি পাচ্ছি নতুন জীবন,
ঘনিয়ে আসছে তার সমুহ পতন,
বিক্ষোভ-২৪ তখন গণআন্দোলন ।
৫-০৮-২০২৪ ইং ঠিক ১২:৩০ টায়
পতন ঝড়ের তীব্রতায়,
স্বৈরাচার পালিয়ে যায় পিছন দরজায়।
আমি আর আন্দোলন মুক্ত যেনো
নতুন স্বাধীনতায়,
ছোপ ছোপ রক্তে জমা রাজপথ পেরিয়ে
ক্ষত বিক্ষত দেহে
নতুন করে পুরানো ইতিহাস লিখলাম,
একজনমে আমরাই শুধু
দুইবার স্বাধীন হলাম।