বসন্ত বাতাসে তরুলতা হেলেদুলে
নুয়ে পড়তে চায় ঘুমের ঘোরে,
হয়তো বাতাসের তালে ঘুমে-ঘুমে নড়েচড়ে
তাই বলেই চিড়-গুল-লম্বা পাতা সবুজে ফিরে।

বাড়ির ঘাটে, মাঠের কিনারে, ডোবার পাড়ে
দাঁড়িয়ে থাকা গোলাপী ঢোল কলমি ফুলে
লাল চোখা কোকিল বসন্তের গান গাহে,
শীতের জল নীরবতা ভুলে বাতাসের তালে
মাতোয়ারা সুরে ব্যাকুল হয়ে নড়ে উঠে।

মাছ ধরা ডোবার অসহায় কচুরিপানা
আছড়ে ভাঙ্গা কোমরে কাত হয়ে জলে ভাসে,
বাঁচিবার আশা বৃথা মনে করেও
বাঁচিল চিকিৎসা সঁপে বসন্ত বাতাসে।

আমের মুকুল হালকা খরা রোদে
শুকিয়ে ঝড়ে পড়ার মরণ ফাঁদে,
দক্ষিণা বাতাস উদার হয়ে ছায়া ধরে
বসন্ত দিনে সরল এ গাছ যেন না কাঁদে।

শুকনো খালের তলায় জোড়ে
সবুজ ঘাসের সমারোহে
গরুর তরে উতলা রাখাল ছেলে
বিকাল সাঝে ছুটে চলে বসন্তেরি মোহে।

চোখ মেলে বসন্তের সবুজ প্রেম
খোঁজে নিতে হয় সবুজে-সবুজে,
অবিরাম ক্লান্ত পরাণের সবুজ সুখ
মৃদু বাতাসে মিশে রয় বিকেল সাঝে।