আরব বসন্তের হাওয়া বইছিল
কিন্তু সে তো আজ অতীত
জাঁকিয়ে বসেছে, কাঁপিয়ে দিচ্ছে
হাড়হিম করা সন্ত্রাস শীত।

বিশ্বায়িত পাতায় পাতায়
প্রাগ বসন্তের মাতাল হাওয়া
তবুও হয় নি
ফ্রাঙ্কো-সালাজারের বিরুদ্ধে কওয়া।

ঘরে এসে ওরা জল চেয়েনিল,
আসাম নিশীথে গুলি তারপর চালিয়ে দিল।

সামান্য গাছ লাগানোর অনুষ্ঠানে যেতে
গিয়ে প্রাণ হারালেন এক মন্ত্রী জিয়নবাদীদের হাতে।
পেশোয়ার-সিডনী-ইস্তানবুল-নাইজেরিয়া-সানা-পারি
বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক মারকাটারি।

কেউ কুত্সিত ব্যঙ্গে দাবী করে বাকস্বাধীনতার অধিকার,
কেউ বুলেট ছুঁড়ে দাবী করে নিজ ধর্মের ভালোবাসার।
অন্যদিকে আস্ফালনে চাপা পড়ে বহুজনের হাহাকার।

জানিনা কবে মানুষ বুঝবে
কুত্সা মেলায় না বাকস্বাধীনতায়।
জানিনা কবে মানুষ বুঝবে
ধর্মের সায় নেই হিংসায়।

কিছু জোড় করে মেলানো শব্দ দিয়ে আমার প্রতিবাদ জানিয়ে গেলাম, জানিয়ে গেলাম উদ্বেগ। কিছু মানুষের চাপে এক ইজরায়েলবিরোধী কার্টুন  antisemetic/racist বলে মুছে দিয়ে প্রকাশকদের ক্ষমা চাইতে হয়েছিল, অন্যদিকে সেসময়েই ১৭ জন সাংবাদিককে প্রাণ হারাতে হয়েছিল সেই একই ইজরায়েলি বাহিনীর হাতে, আজ শার্লি আব্দোর সাংবাদিকের মৃত্যুর পর সেই লোকেদেরই বাকস্বাধীনতার পক্ষে বুলি ফুটেছে। সব হিংসাই নিন্দনীয় একথা মেনে নিয়েও সেইসব দ্বিচারী লোকেদের আরো বেশি করে জানিয়ে গেলাম  আমার হৃদয়ের অন্ত:স্থল থেকে ধিক্কার।