শোনো হে বালক বালিকারা সব জীবনের কী মানে,
ইচ্ছে যেমন করে যাবো কাজ করবো যা চায় প্রাণে ।
বন্ধু তোমার বড়ো উচ্ছল
ডাকে তোমারে বলিয়া অচল
রাগ কোরোনাকো বৎস আমার নিও না কথা কানে,
ওরা আজও শেখেনিকো খোকা বিদ্যা-বুদ্ধির মানে ।
তোমার বাবা নিজে তো যায়নি নিয়েছে তারে রব,
কাঁদতে তোমায় করবো না মানা; কান্না তো নয় সব ।
যেভাবে ক্লাসে প্রথম হয়েছো
অতটা উপরে পৌঁছে গিয়েছো
সেই পথে বাবা হাঁটতেই হবে সাথে রেখে শৈশব,
হারিয়ে যেন না যায় কখনো ভিতরের বৈভব ।
মাতাকে তোমার বাঁচাতে পারিনি হয়ে আছি ব্যথাতুর,
মা না তোমার বলতো সদা— যেতে হবে বহুদূর !
দুঃখের আর কি বাকি আছে
যেতে হবে সব আল্লার কাছে
পার হতে হবে মাতলার পানি পার হতে হবে তুর,
জীবনের মানে জানতে হলে জ্বালাতেই হবে নুর ।
মনে রেখো! নবি মাতৃগর্ভে হারিয়েছিলেন পিতা
ছয়টি বৎসর পার হলোনাকো হারালেন নিজ মাতা
তারপরও তিনি সৃষ্টির সেরা
জীবন ছিল তাঁর কষ্টে ঘেরা
শিক্ষক তিনি সারা জগতের সাক্ষী গাছের পাতা
বিপথগামী মরুবাসীদের হয়েছিলেন তিনি ত্রাতা ।
আঁধার কাটিয়ে আবার উদিবে ঊষার সূর্যখানি
সংকট ছেড়ে পড়ার টেবিলে রেখে দিও ফুলদানি
হয়ে যদি যাও কখনো ব্যর্থ
ভেবে দেখো নিও কি তার অর্থ
সকাল-সন্ধ্যায় নিয়তি করে কতকিছু আমদানি
জীবনের মানে ধুয়ে দেবে বাছা বর্ষাধারার পানি ।