সারা শরীরের ব্যস্ততা নিয়ে নজর পড়েনি পাশে
বসন্তের চিরাচরিত নিয়ম আপনার মতো হাসে‌ ।
এই ফাল্গুনে কোকিল আমাদের চেনা গাছটিতে এসে
আজ‌ই যেন তার সুর লহরী আসলো কানে ভেসে।
কোন অবসরে ঝরে গেছে নিচে শীতের পাতারা সব
ক্ষণকাল যেন হারিয়ে ফেলেছে শাখাজোড়া বৈভব।

এবার ফাগুনে লিখতেই হবে বকেয়া গল্পগুলো,
হয়নি, কারণ সকাল-সন্ধ্যায় জ্বালাতে হয়েছে চুলো।
সবুজ গালিচা বিছিয়ে রেখেছে মাঠের দূর্বাদল
বছর শেষে পুরনো নিয়মে কোকিলের কোলাহল।
কখনো ধূসর বৃন্তের মাঝে গর্ভিনী কোন ফুল
শোভিত করে গ্রাম্য বধূর খোঁপায় বাধা চুল ।

বহু কামনায় ভরে ওঠার পরে আকাশ আসে নেমে
শিমুল-পলাশ আর রক্তকরবীর দৃষ্টিতে যায় থেমে।
চৈত্র সংখ্যার সাময়িকী জুড়ে সবুজ ঢেউয়ের মাঠ
অনাগত তাই ফাগুনের কোলে চলছে তেমন পাঠ।
বিকেল সড়কে ভিনদেশী যুগল লজ্জা লুকানো মুখ
সারা শরীরে বাঁধা যেন তাদের অতিমাত্রার সুখ।

ভেজা ফাগুনের সজিনার ফুলে খ‌ইয়ের প্রতিরূপ
আরও কতো যে নবায়ন হয়েছে সৌন্দর্যের স্তুপ
অলীক মায়ার বন্ধন আছে তাই প্রাকফাল্গুন‌ই ত্রাস
বসন্তের এই ঋতুর ভাঁজে লেখা বহু ইতিহাস।
ব‌ই-খাতা ঘেটে খাতা-ব‌ই থেকে ছুটি নেওয়ার পালা
বেশ কিছুদিন দূরে থেকে আসে আমাদের পাঠশালা।

পাণ্ডুলিপির অজুহাত দিয়ে অবকাশ নিয়ে হাতে
আমি লিখে যা‌ই ফাগুন নিয়ে বিকেল-সন্ধ্যা-প্রাতে ।

১৩০৩২০২১
কুলগাছি