বিস্তর ভেবেও বুঝিনে কেন আসে ফিরে
কোন দূর্বলতা বাঁধা আছে শিরে
ভোর থেকে ভাবি, ভাবি রৌদ্র দুপুরে
কখনো শান্ত আলোয় নিকট পুকুরে
চেয়ে থাকি; নীল অম্বর বুকে নাচে
তার সমগ্র সলিল সদ্য যৌবনার ধাঁচে
অর্ধনির্মিত ঘরের দুয়ারে সখের স্বপ্নকুচি
উত্তরসূরীর লক্ষ্যে বিস্ময় কর্মসূচি ।

আমি আজ বলে দেবো যা বলিনি কখনো
সাহিত্যের ফসিলে তুমি আছো বলে
আমি ঋণী; এ দর্শনে থুথু ছিটিয়েছে ছফা
অহেতুক আলোচনা করে দফারফা
এক মহাযুদ্ধের নায়কের মতো
ধরে আছি মিথ্যে সংস্কৃতি যা আমাকে শেখাতো
সংস্কারের ধুয়ো তুলে যারা করেছে আমাকে ঋণী
শুনে রাখো, আমি বাইতে চাই আমার তরণী।

ভাবছো কত ঋণ দিয়ে গেছে কথাকার হুমায়ূন
হয়তো আছে তার হাজার শত গুণ
কিছু নয়; অথচ পাতায় পাতায় কতো কথা
অকারণে অহেতুক বলেছে অযথা
তবুও আড্ডা-আসরে পথে-ঘাটে-বাহনে
ঋনী ভাবে কতো লোক, তাদের নিজস্ব কথনে।
মেনেছি সাহিত্য সাধকের যাবতীয় সমাচার
তবু স্পর্ধায় ঋণকে করছি অস্বীকার।

বেলা বয়ে গেলে ফিরে যেও সকলে যে যার কাজে
তারপর ফিরে এসো শেষে তোমার সমাজে
সংস্কৃতির ব্যালকনিটাতে হেঁটোনাকো আর
ভুলে যাবে ফেরার পথ ভুলে বিধাতার ।
জীর্ণ মেঘের শরীর ভেঙে নেমে এলে
চাঁদের শেষটুকু নিয়ে রাত্রি পোহালে
শেষ হয় বিগত মঞ্জিলের এক অধ্যায়
আঁধারের মহিমা লেখা অন্য পাতায়।

সমকালের বিছানো চাদরের এক কোণে
লিখে যাবো নির্দ্বিধায় সোনার চরণে
'আমি কোনো ঋণ করিনি স্বেচ্ছাচারী কবির কাছে'
বিস্তর ভেবেই বলছি অনিদ্রা আমারও আছে
মৌনতা ভেঙে ঢেউ ওঠে পুকুরের ঘাটে
ঋনের কোন রেখা নেই দিগন্তের ঐ মাঠে।

১৮০৩২০২১
কুলগাছি