তোমাকে লেখার জন্য
সাদা কয়েকটি পৃষ্ঠা কিনেছিলাম বাজার থেকে।
তাতে লিখতে পারতাম রোবটিক জীবনের কথা।
যেখানে রাতে জোছনা নামে না,
নামে কাজের মস্ত বহর।
দিন শেষে নীড়ে হয় না ফেরা
যেতে হয় নতুন কর্ম ব্যস্ততায়।
কখনো বলা হয় না, আজ কাজ করতে হবে না,
বরং উন্মুখ হয়ে থাকে -
আজ একটু বেশি করা যায় না?
এখানে বিষণ্ন সন্ধ্যায় নীলিমা দেখা যায় না।
দেখা যায়, ভীতি সঞ্চারী রক্তিম আভা।
জানো, রোজনামচার ধূসর খাতাটা আজো অবহেলায় পড়ে আছে।
অথচ কথা ছিলো, মন খারাপের দিন তার ভাঁজ পেরিয়ে-
পৌঁছে যাবে স্মৃতির সকালে,
আনন্দঘন অতীতের জ্বলজ্বলে উঠোনে।
তুমি তো জানো, কতটা যত্নে টুকে রেখেছিলাম-
জীবনের একেকটি আনন্দ গাঁথা।
বাস্তবতা কি জানো, আজকাল আমি নিজেকেই তেমন সময় দিতে পারি না।
পারি না স্মৃতির সোনালী দিনগুলোর সাথে একটু সমঝোতায় বসতে।
সেজন্য গড্ডালিকা প্রবাহে ভেসে চলেছি।
জানি না, তরী কোন ঘাটে গিয়ে ভিড়ে।
তোমাকে বলার আরো কথা ছিলো কত
লেখা হয়নি তার কিছুই আজো।