কষ্টের ব্রাশ ফায়ারে ফেটে গেছে হৃদয়ের জমিন
ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেছে সাজানো ফসল,
হিংসার বাতাসে নিয়ে গেছে ভালোবাসার বীণ
মাঠে ঘাটে ছড়িয়ে আছে জরাক্লিষ্ট পত্র সকল।
বিশ্বাসী হাত কেটেছে স্নেহের হৃদয়
অবিরল ধারায় ঝরেছে যেন রক্ত,
মমতার চোখ রাঙানোতে লেগেছে মনে ভয়
জানি না কখন পেরিয়ে গেছে অক্ত।
ভালোবাসায় আগলিয়ে রাখা বুকের মানুম
ছোরার আঘাতে নিজকে করেছে ক্ষত বিক্ষত,
আনন্দে সানন্দে কত জন উড়িয়েছে ফানুস
সেই গানের সাথে সুর মিলিয়েছে শতশত।
আদরে চুম্বন করা ঠোঁট গুলো দেখিছি যতবার
ব্যথার গরলে তারা দিয়ে ছিলো চিৎকার,
সচল কর্ণযুগল বধির হয়ে গেছে ততবার
মাঝে মধ্যে চেতনাবোধ দিয়ে ছিলো ধিক্কার।
শরীরে আকড়িয়ে ধরে থাকা পশমরাজি
সৌন্দর্যে না থেকে হয়েছে কিম্ভূতকিমার,
ঘেমে যায় আনকোরা বৃক্ষে ফোটা পত্ররাজি
অসময়ে কোত্থেকে আসে রৌদ্র আবার।
সুক্ষণে থাকা সময় যায় না ধীরে বহে
অসময়ের নিদ্রা যাচে আমায়----
ক্লান্ততা কিসে হয় কি করে যায় সহে
এখন আর কখনই তা কাজ করে না রক্ষায়।
চোখের ভরা নদী জলহীন হয়ে গেছে বহু আগে
শুকনো নদীতে আবার নেমে আসে প্লাবন,
ইচ্ছে করেও আটকিয়ে রাখা যায় না ফুল ফুটা বাগে
আচমকা নেমে আসে জীবনে বর্ষা শ্রাবন।
উদ্যমী মন শ্লথ হয়ে গেছে কষ্টের প্রহারে
ধারালো সিকল ভোঁতা হয়ে যায়----
হয় নি বলা হাজারো কথার আছাড়ে
ম্লান হয়ে ধীরে ধীরে ক্ষয়ে ক্ষয়ে ঝরে যায়।
হৃদয়ের রোনাজারিতে কাঁদে সহজ সরল
ছিন্ন মূলের গোঙগানীতে ফাটে মাটি,
বিপদগামির হাতে বন্দী থাকে প্রায় অবিচল
আমাদের জীবন ও ভালোবাসা খাঁটি।
তবু মুজাহীদ জেগে থাকে জেগে রয়
শোনে আসসালাতু খাইরুনমিনান্নাঊম,
সুবিহ সাদিকে হাঁটে মসজিদ প্রার্থনায়
তীব্রতায় ছুটে চলে শীতে রাখে গায়ে উম।
এই পথ চলা থামবে না কখনই -কোনদিন
হয়ত কিছুক্ষণ থাকবে ঝিম,
জেগে ওঠার আহ্বানে আবার আসবে সুদিন
বাজাবে আবার হয়ত আল্লাহু আকবার ভীম।।
১৫|২|২০২১
রাত