(বাংলা নববর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে নারীর, যে বোনের সম্ভ্রমহানী হয়েছে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ এই লেখা)
নববর্ষে জেগেছে শকুন, মাংসের নেশা তার
বিভ্রান্ত ভাবনা তাকে করে তোলে দুর্নিবার
চলতে চলতে সোনাভান পাগলি ভেবে পায় না
শকুন কি নিজের মাংস খায়? তার তো জোটার
কথা পচা, গলে যাওয়া বিষাক্ত মরদেহ! সে
কি করে নিজের বোনের মাংস খায়
মায়ের সম্মান বিকিয়ে দিয়ে খোলা রাজপথে
শত সহস্র মানুষের সামনে উল্লাসে মেতে ওঠে
ছিড়ে নেয় যুবতীর আবরণ, খুলে নেয় চোখের
লজ্জাশরম! হায় শকুন, নরপিশাচ, জানোয়ার
ঘরে ফিরে কি করে তাকাবি মায়ের দিকে
বোন তোর সামনে যখন হেঁটে যাবে
কি করে ভাববি সে তোর বোন, এমনই এক
বোনকে নিয়ে জিহ্বা বের কলা লালায়িত চৈত্রের
কুকুরের মতো, কি করে ঝাঁপিয়ে পড়িস তার গায়ে?
কখনও কি হয় নি মনে- তোর বোনও এমন
কোন পৈশাচিক উল্লাসের কাছে হতে পারে অসহায়!
তখনও কি তোর মাঝে থাকবে যৌবনের তাপ,
রগে রগে লাগবে টান? মাথার কিটগুলো কি
তখনও তোকে সায় দেবে নারীর দেহ খুঁচে খেতে?
এই টিএসসি’তে এসে আজ কান্না পায়-
শুনি রাউফুন বসুনিয়া, নূর হোসেন, ডাক্তার মিলন
আরও কত নাম জানা না জানা আত্মার ক্রন্দন-
কেঁদে ওঠে আমারও আত্মা! হায় এই কি সেই বিশ্ববিদ্যালয়
এই কি বায়ান্নর বিশ্ববিদ্যালয়
এই কি ঊনসত্তরের বিশ্ববিদ্যালয়
এই কি একাত্তরের বিশ্ববিদ্যালয়
এই কি নব্বইয়ের বিশ্ববিদ্যালয়
এখানেই কি জীবনের পবিত্র সময় পেরিয়েছে
এই আমাদের? এ প্রশ্নের জানি উত্তর পাব না
হয়তো পাবো- হাজারে হাজার। কিন্তু কোন উত্তরই কি
পারবে ফিরাতে পিশাচের লালসার শিকার যুবতীর
সম্মান ফিরাতে?
....................................................
মোহাম্মদ আবুল হোসেন
ঢাকা, বাংলাদেশ
১৭.০৪.১৫