রাত বাড়ে আর বাড়ে শরীরে জ্বালা
বিছানায় গড়াগড়ি,  হাত-পা ছোড়াছুড়ি
কল্পনায় ঘোরাঘুরি, উদাস চোখের কোণে ভাসে
এক রাঙা পরী- কল্পনায় হাতড়ে, মসৃণ জমিন বেয়ে
কখন চূড়ার কাছাকাছি রুপম, সেও জানে না
শরীরে তখন টগবগানি যন্ত্রণা, অস্থির হয়, ঘামে রুপম
আর কিছুটা পর পর্বতশৃঙ্গে উঠে যাবে সে
কোথাও কেউ নেই, এখানে বাধা দেয়ার নেই কেউ
একান্ত আপন মনে ধীরে ধীরে সন্তর্পণে হাত বাড়ায়
পর্বতশৃঙ্গ চকিতে কেঁপে ওঠে। স্থির হয়ে যায়
মোহনীয় রূপ তার
অপলক তাকিয়ে থাকে রুপম
আহা এমন মধুর পবৃতশৃঙ্গে উঠার জন্য তেইশটি বছর অপেক্ষা
কতই না কল্পনা একে ঘিরে, কত স্বপ্ন- একদিন হাতের মুঠোয় ধরা দেবে
রুপমের শরীর কাঁপে, অসাধ্য এক সাধন হয়েছে
পর্বতশৃঙ্গে ঘেমে অস্থির হয়ে পড়ছে সে, ধৈর্যের বাধ মানছে না
ঝাঁপিয়ে পড়ে আঁকড়ে ধরতে ইচ্ছে হচ্ছে তার
অকস্মাৎ কোথা থেকে বৃষ্টির ধারা ঝরে
পাহাড়ের মাটি হয় কর্দমাক্ত
পা পিছলে রুপম পাদদেশে- এখানে এতক্ষণে জমে ওঠা
ঘাম আর বৃষ্টির পানিতে একাকার
কোনদিকে তাকাবার সময় নেই তার
বাঘের উগ্রতা তার চোখেমুখে
ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই পানিতে, নোলা জল
তাতেই অবগাহন, সাঁতার- যতক্ষণ খুশি ততক্ষণ
শরীরটা তার এখন পাতলা হয়ে এসেছে। ঝাঁকুনি দিয়ে শরীরের
সব আবর্জনা যেন ছড়িয়ে পড়ে পানিতে
রুপমের ঘুম এবার গাঢ় হতে থাকে।
......................................
২১.০৩.১৫
ঢাকা, বাংলাদেশ