ইব্রাহীম (আঃ) আর ইসমাইল (আঃ) এর
আনতে স্মরন,
ঐ দেখ কুরবানীর চাঁদ
করলো আগমন।
দ্বীনের তরে দেশের তরে
ত্যাগ করতে হয়,
কুরবানীর মূল দীক্ষায়
এমন কথাই কয়।
দামী দামী জামা কাপড়
ভাল খাওয়া চাই,
কুরবানীর আসল শিক্ষায়
এসব কিছু নেই।
চার পাশের প্রতিবেশী
যত আপনজন,
সব সময় সবার কথা
রাখবে স্মরন।
বিপদ - আপদ, রোগ - শোক
সকল প্রয়োজনে,
ডাকলে যেন পায় সকলে
থাকে যেন মনে।
ধার করা ছুরি যখন
পশু জবাই করে,
একই সাথে স্বভাবের দোষ
যেতে হবে সরে।
সাজ - গোজ, ভাল খাওয়া
মহা ধূমধাম,
এই সব কুরবানীর
নয় আসল কাম।
ত্যাগ করার মনোভাব
সদা থাকতে হয়,
ঈদের পরেই ভূলে থাকবে
এমন কিন্তু নয়।
কুরবানীর পশুর রক্ত
গড়িয়ে যখন যায়,
মনের কালিমা সাথে
চলে যেতে হয়।
আদি থেকে আজ অবধি
এই হুকুমটা আছে,
রক্ত মাংস যায়না কভু
হুকুমদাতার কাছে।
শুচি, শুভ্র, কলুষ মুক্ত
থাকবে সবার মন,
কুরবানীর এই শিক্ষা
রয় যেন স্মরন।
দ্বীনের তরে দেশের তরে
ডাক আসলে ভাই,
ত্যাগ স্বীকার করার জন্য
তৈরী থাকা চাই।
বিধাতার হুকুমগুলি
দান মানবের জন্য,
হুকুম তামিল করে মানব
হয় নিজে ধন্য।
ঈদের খুশী ছড়িয়ে দিব
সারা বিশ্বময়,
ঈদের শিক্ষায় জীবন যেন
আলোকিত রয়।