বহু-বহু কাল আগে,
নারী পুরুষ এক সাথে
এসেছিলো ভবে।
ভালোবাসা বাঁধলো তাদের
চির বাঁধনে
মাঝখানে যৌতুক এসে
ঢুকলো কেমনে?
ওহে যৌতুক,
সমাজ দেহের অসুখ তুমি
বিপদ অহেতুক।
নারী পুরুষের ভালোবাসা
মধুর সু-নিশ্চয়
যৌতুক তাতে বাধ সাধলো
শরম-অতিশয়।
মানব জীবন ধন্য হলো
সমাজের বাঁধনে,
কপালে তার লাগলো দাগ
যৌতুকের কারনে।
মনের সাথে মিলতো মন
ধন লাগতো না,
কাউকে কিছু দিতে হবে
কেহই জানতো না।
অনন্ত কাল কেটে গেলো
আরো কেটে যাবে,
দুষ্ট লোকের নষ্ট কথা
যৌতুক দিতে হবে।
ভালোবাসা-বিয়েশাদী
সামাজিক বাঁধন,
যৌতুক এসে করলো তাতে
কালিমা লেপন।
যৌতুক নেওয়া যৌতুক দেওয়া
সমান অপরাধ,
সমাজ কেন নিতে যাবে
এমন অপবাদ।
জ্ঞানী-গুনী-সমাজপতি
আছেন যারা গুরু,
যৌতুক প্রথা বিলোপের কাজ
তারাই করবেন শুরু।
সমাজের সব ছোট-বড়
আসুন এক-কাতারে,
যৌতুক প্রথা উচ্ছেদ করুন
আন্দোলন করে।
লজ্জার কাজ যৌতুক নেওয়া
বুঝিয়ে বলতে হবে,
যৌতুকের কলংক থেকে
সমাজ রেহাই পাবে।
ক্রিয়া আর প্রতিক্রিয়া
সমান শক্তির হয়,
”নিউটন” বলে ছিলেন
সঠিক সু-নিশ্চয়।
যৌতুক নিয়ে হতে পারে
খুশি এই ক্ষনে,
সময় আসবে যৌতুক দিয়ে
ব্যথা পাবে মনে।
যে মেয়েকে লক্ষ্য করে
যৌতুক নিতে যাবে,
ওর কোলেই একদিন তোমার
মেয়ে দেখতে পাবে।
নিজের মেয়ের বিয়ের কালে
যৌতুক দিতে হলে,
ভাবতে হবে কেমন কষ্ট
লাগবে তখন দিলে।
কেমন করে ভুলবো মোরা
মায়েরা সব মেয়ে,
কেন ওদের ছোট করবো
যৌতুকের নাম নিয়ে।
স্ত্রী-দেরকে বধূ বেশে
আনবো নিজের ঘরে,
ছোট তাদের করবো নাকো
যৌতুকের নাম করে।
বোনেরা আর মেয়েরা-ও
যাবে স্বামীর ঘরে,
যৌতুক বাদেই সবাই তাদের
নিবে আপন করে।
কু-নিয়ম কু-প্রথা
যৌতুক তার নাম,
সমাজ থেকে উঠিয়ে দিলে
হবে মহৎ কাম।
সবাই মিলে সাহস করে
এগিয়ে আসা চাই,
যৌতুক মুক্ত সুন্দর সমাজ
দেখতে যেন পাই।
সমাজ থেকে যৌতুক তোমায়
দিলাম চির-ছুটি,
ভালোবাসার বাধন দিয়ে
বাঁধবো সবাই জুটি।