ওহে বিদ্রোহী
ওহে জাগরণের পাখি
ওহে মহাবিদ্রোহী
ওহে রণক্লান্ত
তুমি এত হলে এত বেশি শান্ত?
তোমাকে আমি গলা ফাটিয়ে
চিৎকার করে ডাকি
আমার এ ডাক তুমি শুনতে পাও কি?
ঝাঁকড়া চুলে মাথা ভরা,
কঠোর প্রত্যয়ী চেহারা,
বলিষ্ঠ দেহ, তীক্ষ্ণ চোখের দৃষ্টি,
সারা পৃথিবীর জন্য তুমি বিধাতার এক অনন্য সৃষ্টি।
বিছানা নিয়েছ মসজিদের পাশে,
জিয়ারত শেষে দোয়া করে যেই আসে কাছে
এবার হয়ত বুঝতে পেরেছ তুমি
তোমাকে কিছুটা চিনতে পেরেছি আমি ।
এবার তোমায় মনোযোগ দিয়ে
কথা শুনতে হবে,
তোমাকে আমার খুবই প্রয়োজন
বল! জেগে উঠবে কবে?
সমাজে আজ পাহাড় জমেছে
অন্যায় অত্যাচার জুলুমের,
একে অপরকে করছে শোষণ
অনেক অভাব ন্যায় বিচারের।
বুঝতেইতো পারছ এখনই তোমার
প্রয়োজন পরেছে, তোমার বাংলাদেশে,
দাও হায়দরী হাঁক, ছাড় হুংকার, বাজাও বিষের বাঁশী,
এসে দাঁড়াও সামনে বিদ্রোহী বেশে।
শুনে তোমার আওয়াজ
জেগে উঠিবে ঘুমানো সমাজ
অন্যায়কারীর এমন কি সাধ্য মাথা উঠাবে,
জীবন নিয়ে দিবে মহা দৌড়
তোমার ভয়ে চিরতরে পালাবে।
চাই সত্য, চাই মঙ্গল, চাই ন্যায়বিচার,
ওহে বিদ্রোহী! এ ডাক দেবার ভার শুধু তোমার,
কথা দাও,রবে জেগে ঘুমাবেনা আর,
তোমার দেশের খোঁজ রাখবে,দেখতে আসবে বার বার ,
বল! প্রয়োজনে এসে হবে হাজির
ডাকতে হবেনা তোমাকে আবার।