ভাগ্যজোরে যদি আমি
বাতাস হতে পারি,
সময়গুলা কাটবে ভালো
দেশে দেশে ঘুরি।
অদেখাকে দেথা যাবে
অজানাকে জানা,
ইচ্ছা মতন ঘুরতে আমার
থাকবেনাকো মানা।
সাগর বুকে উঠাবো ঢেউ
বনেতে তুফান,
আমায় দিয়ে মাঝি ভাই
চালাবে সাম্পান।
সোনার ফসল পেতে যেথায়
কৃষক ভাইয়া খাটে,
আস্তে করে দিব দোলা
সেই ফসলের মাঠে।
মেঘগুলিকে নিয়ে যাব
খাতির জমায়ে,
ফসল দিয়ে মাঠ ভরাব
বৃষ্টি ঝরায়ে।
মরুর বুকে চলতে আমার
গতি যাবে বেড়ে,
দিক দিগন্ত ছেয়ে যাবে
মরুর ধূলি ঝড়ে।
পাহাড় যখন বাধা হবে
আমার চলার পথে,
ঝগড়া কভু করবো নাকো
ঐ পাহাড়ের সাথে।
উপর দিয়ে আশে পাশে
যে পথগুলা আছে,
ঐ সব পথে পাড়ি দিব
পাহাড়ের ঐ পাশে।
মরুর বুকে বৃষ্টি দিব
ভাবতেছি আমি,
মরু হবে সবুজ শ্যামল
ফসলের জমি।
দুই চারটা ভিন্ন কাজ
করবো এ দেশে,
মাঝে মাঝে ঢুকবো আমি
টর্নেডোর বেশে।
অতি বেগে ঘুরতে ঘুরতে
ঘুরব সারা দেশ,
যত আছে দুর্নীতিবাজ
করবো তাদের শেষ।
মুনাফাখোর দেশ বিরোধী
আছে যেখানে,
তাদের ধরতে ঘুরতে ঘুরতে
যাব সেখানে।
মাটি থেকে বেশ উপরে
উঠিয়ে নেওয়ার পর,
পুনরায় ছাড়ব তাদের
মাটির উপর।
তাদের কর্মে যে মাটিটা
হলো অপমান,
সেই মাটির আঘাত খেয়ে
হারাবে জীবন।
জলদস্যু বনদস্যু
থাকে যেখানে,
জলোচ্ছাসের বেশে হাজির
হব সেখানে।
দস্যুকূলকে করবো সারা
ঝড় ঝঞ্ঝার বেশে,
উপকূলের মানুষেরা
শান্তি পাবে শেষে।
সোনার দেশের স্বর্গসুখ
নষ্ট করে যারা,
তাদের গোপন ঘাটিগুলা
বাতাস করবে সারা।
মানুষ বেশে যে কাজটায়
বাধা অতিশয়,
বাতাস হয়ে করতে সে কাজ
মোটেই কঠিন নয়।
ধন্য জীবন হবে যদি
বাতাস হওয়া যায়,
অনন্তকাল থাকা যাবে
মাটির দুনিয়ায়।