পর্ব–০১

কবিতা লেখা হয়ে গিয়েছিল অতিশয় কম,
ছিলেম ঘুমে, উঠে যেতেই বাথরুমে, শুরু হলো ছন্দমালার অবিরাম দম,
তুলনা নাহি যার, খুঁজে পাই তার হেন কোন সম,
আহা সেযে আমার কিযে ভাল লাগার অনিন্দ এক অনন্য লগন এলোমেলো মধুর পরম ।
গুড়ুম গুড়ুম,
প্রচন্ড শব্দ দুরুম দুরুম,
সে যেন আকাশ ভাঙ্গার মজার খেলার ধুম,
এমনি করেই ভাঙ্গিলো, নিদ্রাপুরীর গভীর মগনে ডুবে থাকার ঘুম,
কপালে, ঠোটে ও গালে, কল্পপুরীর এক অশরীরি মায়াবতী যাদুকরির মাতাল প্রেমের নেশার চুম ।  
তাতে কিসের সরম,
শুয়ে ছিলেম দুজনে উদোম গায়, স্তনযুগল তুলতুলে নরম,
তা কি কম সুন্দর নাকি অস্বাভাবিক কিবা অসত্য, তাই সত্যম শিবম সুন্দরম,
মোর গায়ের উপরে তুলে দেয়া তার পায়, বুকেতে বুক চেপে ধরে আহা কিযে সুখ, মাতাল চরম ।
দুজনেই কাপড় জড়ালাম গায়,
শীতের আমেজ ভরানো সহসা ছড়ানো হিমেল ছোয়ায়,
মাঝে মাঝে বিজলী চমকায়,
বজ্রপাত ও আগুনের ফুলকিতে ভয় দেখায়,
তাদেরকে অবিশ্বাসী ও অবাধ্যগণ, নয় যারা বিধানের সীমানায়,
তীক্ষ্ণ ঐ ঐশী আলোক প্রলেপ ছোয়ায়, নব সতেজতায় সবকিছু বিকশিত হয়ে যায়,  
কোন পলকে নিমেষে কোথা চলে গেলো, ভাদরের পাগল করা পুকুরে লাফিয়ে পড়া দুঃসহ গরম ।
হঠাৎ কখন শুরু হয়েছিল বৃষ্টি,
বিধাতার সে এক পরম নেয়ামত ও দান অপরুপ সৃষ্টি,
রিমঝিম, ঝড়ঝড়,
আহা দেখিতে তাহা কিযে সুন্দর,
গাহিছে যেন সে জগত সাজাবার গান মোহন সুমধুর ।
সবকটি নয়ন ভরায়,
শরীর জুড়ায় ফুরফুরে কোমলতায়,
মনেরে রাঙায়, অপরুপ মনোহর চাঙ্গা হবার বাসনায়,  
পনপন, ঝনঝন, শনশন, ভরিলো আবেশে চারপাশ আহা কিযে তাহা মিষ্টি,  
বারান্দার পাশে খোলা জানালায় বসে অপার সে শোভা দেখার মুগ্ধ নিরব প্রিতম সম অপলক মম ঐ দৃষ্টি ।  
যত গাছ-গাছালি,
হাতের সব কাজ যেন এখন রেখে ফেলি,
এলিয়ে দিয়ে গা, দুলিয়ে মাথা যেন পরম পুলকে করিছে পূতস্নান,
ময়ুর-ময়ুরীর দল, হরষে হয়েছে চঞ্চল, পেখম মেলি যেন আজিকে তারা পেয়েছে ফিরে নতুন প্রাণ ।
মোর পঞ্চ হৃদয়, মন ও পরাণ,
বিমোহিত ছন্দে আনন্দে, দোলায়িত সপ্তরঙে রাঙানো এ তণুখান,
নাঁচন করিয়া ঘুরিয়া ঘুরিয়া, সপ্তম সুরে মনের মুকুরে জুড়িল অস্ফুট আধো আধো কত গান ।
আছে কার জানা, ঐ বিবেচনা বোধ,
মরণের হাতে জীবনের নিশ্চিত মানা হার, বলো কে করিবে রোধ,
মূর্খের নেই জানা, তারাইতো হয় কানা, মহাজনের পাওনা এ জীবনের ঋন, না হলে করা তা ঠিকঠাক পরিশোধ ।

পর্ব–০২

কড়ায় গন্ডায়,
হিসাবের দাদন না যদি পায়,
শাস্তি ও খেসারতেই নিশ্চয় করিবেন তা আদায়,
বেড়ে যাবে ক্রোধ ও ক্ষোভ, কমে তার অপার মহিমা, করুণা ও ক্ষমা শূন্যের কোঠায়,
দয়ালু মহাজন সেদিন হবেন নির্দয়, নিবেন তার সব অবাধ্যতা আর ওয়াদা ও ঋন খেলাপীর নির্মম প্রতিশোধ ।  
ঝড়ছে পড়ছে বৃষ্টির জল,
মোষল ধারায় অবিরাম অবিরল, ঝরঝর ছলছল,
কোটি কলসীতে যেন ঢালা ঐ সে ফটিক জল নহেতো শুধু স্বচ্ছ টলমল,
এক মহারাজার অপার করুণার ঢল, সাজাতে তৃষিত এ ধরণীতল ও করিতে মনোরম শীতল সবুজ ও শ্যামল ।
স্নিগ্ধ স্নাত পূত কোমল আবেশ ছোয়ায়,
কিছু কথা আছে যেন তা কারো কাছেই কভু বলা নাহি যায়,
দুষ্ট এ মন অন্যরকম হয়েছে কেমন, আবারও এখন কি জানি আহা সে পেতে চায় ।
মেঘে ঢেকে রাখা আকাশ,
টিপটিপ বৃষ্টি, শীতল আমেজ ভেজা বাতাস,
সব থেকেও যেন কিসের অভাব, কবি কবি ভাব মনটা দারুণ উদাস,
রাতভর জলপড়া আর সারাদিন ছড়ানো রোদে ভরা, হতে পারে তা মোর ইচ্ছা ও ভাবনা বিলাস,  
তিনমাস রোদে পোড়া, তিনমাস হাড়কাঁপা শীত আর কত ভাল ছিল তার যদিরে বরষা হতো বাকী ছয়মাস ।
নাহলে কেমনে হলেম তার প্রিয় গোলাম দাস,
কোন্ বিদ্যায়, কিসের গুণে সহস্র পরীক্ষায় কেমনে তবে করিবো পাশ,
ছোট্ট এ জীবনে তার জমিনে না গড়িলে বীজতলা ও খামার ও না করিলে তার আলো ও ভালোটার চাষ ।
আষাঢ় ও শ্রাবণ মাস,
রসে টসটস কোনটাতে নেই কোন আঁশ,
আম, জাম, কাঠাল ও আনারস যেমন মধুর তেমনই ঐ সুবাস,
তবে কেমনে সবে পায়, সস্তায় কিনে মনভরে খায়, না লাগিয়ে গাছ ও না করে তার চাষ ।
তারপর এলো ভাদর ও আশিন,
আর কি ওরে আসিবে ফিরে জীবনের ঐসব দিন,
কেমন প্রজা লয়েও এত ঋন, ভাবনাহীন কেন হয়না কারো বদন মলিন,  
কেমনে কবে কে শোধিবে বলো মহারাজার হাজার নেয়ামত ও সহস্র দানের ঐ মহান ও মহাঋন ।
জলভরা ধানের ক্ষেতে,
চুপিচুপি উঠে আমি যাই গহীন আঁধার রাতে,
একখানা টিপবাতি ও ছাতা আর একটা বাঁশের লাঠি লয়ে হাতে,
বলো কেমনে ভুলি ঐ মধুর স্মৃতিগুলি, ছেলেবেলার পাকা তাল কুড়াবার ঐ সে নিরব উল্লাস ।
কে বলেছে সঞ্চয় কিছু নাই,
সেইতো আমার আশা-ভরসা, সম্বল, সাথি ও বড়াই,
পেয়েছি তার করুণার একখানা ছাতা আর, আমার হাতের ঐ ছোট্ট তীক্ষ্ণ বাতিটাই,
নাহলে কেমনে হলাম তার প্রিয় গোলাম ও দাস, মহারাজার রাজ্যে পেলাম আজীবন লাখেরাজ নিরাপদ বসবাস ।
বিচক্ষণ অনুভবে ও চেতনায়,
আর কোন রঙীন চাওয়া-পাওয়া আমারে ভুলাতে নাহি পারে চায়,
তাই বৃথা চেষ্টায়, এখন ওরে শেষটায়, কেবলই শুধু সামনে এসে দাড়ায়, জীবনের ঐ দায়গুলি মোর অনাদায় ।

পর্ব–০৩

এমনি করেই গোপনে মরে কত ভাললাগা,
মনের আবদার, চাহিদা ও বায়না বলার নাইবা পেলাম কোন জায়গা,
যা পেয়েছি তাইবা কম কি, সুখের স্মৃতিতে আজও রয়েছে তা হয়ে বিধুর কাতর যত মধুর লাজ রাঙ্গা ।      
যাদুময় মনেহয় শরতের জোছনা,
আরও কত ভাললাগা আছে যা কারেওতো কভু বলা যায়না,
যেখানেই যাই নদীর পার, ষানবাঁধানো পুকুরঘাট ও বাড়ীর ছাদ আর খোলা উঠান ও আঙ্গিনা ।
তারা বিছানো গহীন আঁধার রাত,
গান শোনানো অবিরাম পাহাড়ী ঝর্ণা ও জলপ্রপাত,
রঙ মাখানো যেমনই গোধূঁলী,
আমি তা কেমনে কাহারে সবটুকু তার বুঝিয়ে বলি,
রাতভর ঘুমানোর পর, কতযে মনোহর শিশির ভেজা এক সোনালী প্রভাত,
এতকিছু সব কে বানালো, কি মনোরম আহারে অপরুপ শতরঙ বাহারে সাজালো, কার এত গুণ কোন সে নিপুণ হাত ।  
বিশাল জলমহল,
চারপাশ ঘেরা সবুজ তরুদল,
শোভিত কত ছোট-বড় সাতরঙ শত করবী কমল,
কৃষ্ণচূড়া, হাস্নাহেনা, শিউলী, রজণীগন্ধা ও বকুল ঝড়া সুরভিত মোহিত ভূতল ।
আজ সারাদিন বৃষ্টি বাদল,
কারো জীর্ন পাতার কুটির, কারোবা বাদশাহী মহল,
অন্তরের ভিতরে চুপ করে সহে কান্নার রোল, মুখে নেই রা চোখেও একফোটা জল ।
যখন বাহিরে ঝড়ে তুমুল বরিষণ,
ঘন কালো মেঘেতে ঢাকা দৃশ্যমান মম সারাটা গগণ,
সংগী বিহন, একেলা ঘরে মনের ভিতরে বহে অপার বিষন্নতার নিরব রোদন ।
কেনো শুধুই আমি বিরহ ব্যথার আবেগে আপ্লুত হই,
এত বড় দুনিয়া, শতকুটি মানুষ, কেমনে কোথায় তারে আমি খুঁজে পাই ও চিনে লই,
আহারে আমি কাহারে সুধাই, আমার এদুটি চোখ আর মন ও দেহটার কথা বিনিময় ও সংগী হবার ঐ মানুষটা কই ।
আমিতো বুঝিরে হায়,
বেহায়া অবুঝ মনটারে আমার বুঝানো হয়েছে দায়,
তাই বুঝি সে তারে রোজই মরে খুঁজি ও পেতে চায়, তার আপন দৃষ্টি ও দুষ্টামির ছোট্ট রঙীন সীমানায় ।
বৃষ্টি মুখর মেঘলা মেদুর দিনগুলি এখন,
এক বধীর ও বোবারে দেওয়া বিরস কিবা বেরসিক খোঁচার মতন,
সে মধুলগন আর এখন ভাল লাগেনা তেমন, প্রিয় নাম ধরে কভু আর কাছে ডাকেনা কেউ আমারে সেই আগের মতন ।  
আজও মন যদি চাহেরে কিছু এমন.
গা ঘেষে বসে যাচে শেষে, একটু উঞ্চ প্রেমের সোহাগ আবেদন,
ভালবাসা সেতো দুজনে দুজনার, হোক জিত কিবা হার দোষ দিবে কার, তবে বিনাদোষে অপরাধী হবে কে তখন ।
কেউ খেতে চায় কুড়মুড়ে ঝালমুড়ি,
খেতে খেতে হাসি ও খুশীতে মেতে গায়ের উপর ঢলে পড়ি,
যায় লুটোপটি ও গড়াগড়ি,
কেউবা আবার বড় সাধ তার, মাখিয়ে টকঝাল আঁচার খাবে গরম খিচুরি ।

পর্ব–০৪

সবার কি সবকিছু থাকে কখন,
সকলেই কি পায় তাহা যখন যাহা চায় তার মন,
দেখিলাম এই আছে ভাই,
বারেক ফিরেই দেখি আর নাই তবে কিসের বড়াই,
এত পেরেশানি, কাড়াকাড়ি, টানাটানি ও হাহাকার, থাকা নাথাকা ও পাওয়া না পাওয়ার এইতো দুদিনের জীবন ।
আর আশা নেই,
কিছু তার ফিরে পাবার কিছুতেই,
লাভ দূরে থাক, খুশী হবে সে পেলে তার আসলেই,
কেমনে হবে আদায় করা তার শোকর, মালিকেরে যদি নায্য মূল্যটা দেই,
জীবন অসার, কষ্ট আর দুঃক্ষটা যাদের অসীম ও অপার, আমিযে নই পড়িনি তাদের দলে সান্তনা সেই ।
অতীতের স্মৃতি চারণ,
সুখ ও বিষাদে চটকে মেখে তা করা রোমন্থন,
বিজ্ঞ, বিচক্ষণ সুফি সাধকগণের মত, নিয়ে ভবিষ্যত কভু ভাবতে বারণ ।
ওরে নির্বোধগণ,
মন দিয়ে পড়ো, করহে শ্রবণ,
আবু হকে কহে, ওরে মিথ্যা নহে তার এ বচন,
যদি কভু হয় এমন, মরণের হাতে নিজেকে সপে দিতে হয় ও দেয় তব এ জীবন ।
হতে পারে তা যখন তখন,
রয়েছে তার সমূহ সম্ভাবনা ও সংগত কারণ,
এমন সাধ্য কার তা ফিরাবার, সেতো সাধ করে নয় জরুরী রাজ-সমন,
জয়-পরাজয়, যা ভাগ্যে নয়, আপন কর্ম্মতে হয় সাধন, তাই বাধ্যতামূলক হোক জিত বা ঠক ঐ আত্মসমর্পন ।
অপব্যয়, হরিলুট ও অপচয়,
কিবা কোন গুনাহের কাজে তা খরচ হয়,
জুলুম ও অবিচার কিবা কারো হক লুন্ঠন,
তবে কি উপায় হবে তখন, দুনিয়ায় রেখে যাওয়া ঐ অঢেল বিত্ত-ধন,
দিবে তার বর্তমান মালিকেরে অভিশাপ, করে করুণ নিরব বিলাপ, হয়েছে কার কত পাপ আজীবন আমরণ ।
তব লাগিও হবে তা কাল, রেখো তা স্মরণ,
যদি তব ওয়ারিশান না করে দান, দেয় সদকা ও কাফফারা কি হবে তখন,
থাকিতে জীবন ভাবো ও হও বিচক্ষণ,
হাত তুলে দোয়া করে ও পুণ্য পাঠায়, বহিতে হবেই হবে তার সে দায়, অনন্ত মহাচিরকাল করেও কবরে শয়ন ।
হিসাব লবেন জীবনের মালিক ও মহাজন,
হয়েছে কি বিধাতার দেওয়া কাজ কিবা দায়গুলি সব সমাপন,
কে কিভাবে করেছ আজীবন, সমুদয় ঐ ধন ব্যয় ও উপার্জন,
কেমনে কি কাজে হিসাব দিতে হবে, করেছো সবে জীবন সময় পার, আর তার ঐ যৌবন কালটা অতিবাহন ।
তাই এখন বসে একা একা,
মম মনিবে কয়, সেতো তব কাজ নয় তোমার দেখা,
আর কোন কাজ নেই, কাগজে-কলমে তাই সময় পেলেই, একটুখানি সত্যগুলি লেখা ।
কে পড়েছে কে পড়েনি,
আর কে বুঝেছে তা, কে বুঝেনি,
হে নগণ্য কবি, আমার দায় ঐ সবই, তাই সে ভাবনা তব আমি চাই হোক ঢেকে রাখা ।

পর্ব–০৫

সবাই যখন গভীর ঘুমে ঐ গহীন রাত দুপুরে,
ঘুম ভাঙ্গা এই আমি চুপচাপ বসে যখন একাকি আমার ঘরে,
কোন পুণ্য, গুনাহ, আরজি, নিবেদন ও আরাধনা কিছু হয়বা হবেকি আর মরার পরে,
অপরাধী চোরের মত তাই দেখা,
দেনা-পানার হিসাবের খাতায় কি আছে হায় গোপনে অদেখায় আসলে তার নাই লেখাজোখা ।  
নতুবা নিরব বিজন ছাদে চড়ে,
বারান্দায় গিয়ে রহি ঠায় দাড়িয়ে, ঐ গ্রীল ধরে,
ভাবনার সব হারিয়ে সবুজ ছাড়িয়ে, জানিনা আমি যাই কেমন করে,  
খুটিহীন ছয় আকাশের ভার বহা, আমার দৃষ্টির সীমানার ঐ প্রথম আকাশটারে ভাল করে দেখা ।
যেতেই হবে যখন একদিন,
মাথায় লয়ে মহাজনের এক ভারী বোঝা ঋন,
কর্মের পাওনা ফল, হয়না হবেনা বিফল, সবে দেখিবে জানিবে সেদিন,
সে নহে বিধির খেয়াল-খুশীর কিব নিয়তির লেখা, যেদিন হবে যত বাদশা-আমীর সবে একেবারে শূন্য ও অসহায় একা ।  
শূন্য হতে ফিরে যাবার ভয়ে ভয়ে থাকি,
ভাবায় যদিও, মহাজনের দেনার কথাটা সারাক্ষণ মাথায় লুকিয়ে রাখি,
আমি তাই একা একা,
কে শুনিবে, কাকে শেখাবো নাই মোর সখা,
এ মহাজগত ও মহাপ্রকৃতি থেকে, যেটুকু মোর এখনও বাকী তাই পড়ে, লেখে ও দেখে দেখে শেখা ।
এ জীবন যদি হয় রুহুটার, তবে তার মরণ বলে কিছু নেই,
চলো যাই একবার, কি আছে ওপারে তার, ঘুরে দেখে আসি ভাঙ্গিতে নেশার ভুলের খেই,
নশ্বর এ দেহটার ভিতরে মোহ ও বাসনার যে মন, মরণ নামের এক নতুন সফর, রুপান্তর ও দেশান্তর দেখিবে নিজেই ।  
এখন আর দারুণ ভাললাগা নেই,
মুগ্ধ নয়ন, বিমোহিত মন মম ও আকুল আবেদন সেই,
মোহ, লোভ, বিত্ত-ধনের প্রাপ্তি ও ভোগের যত উপকরণ, জানি হেরে যাওয়া এক রণ হোক তা যেই ।
কাজ হলে যাবো চলে যদি ছুটি পাই,
এ জগতে নহে আমি ভাই, আর নাহি কভু দামী হতে চাই,
দেখেছি, চিনেছি ও জেনেছিতো তাই, ভালকথা ভালকাজ ও ভালমানুষের যে দাম নাই ।
বৃষ্টি মুখর মধুর ঐ দিনগুলিতো এখনও আছে,
ঘুরে ফিরে আবারও আসে, থাকে ঘিরে মোর সামনে, পিছে, দূরে ও কাছে,
জানিনা কি তারা চায়, কি সুখ বা মজা পায় কাটা ঘায়ে নুন ছিটায়, সে কি হর্ষ-পুলক নাকি তামাসা কারো একাকিত্বের বিষন্নতায় ।