পর্ব-০১

দেহের ভিতর বসত করে মন ॥
তার নামই ভালবাসা,
অনেক দিলেম যখন কিছুটা পাবারও আশা,
না যদি হয় সামাণ্য বিনিময়, সে প্রেম কি টিকে রয় কিবা হয় খাসা,
এক ঘরেতে বাধিবে বাসা, সেই বাসনায় এ বিশ্বভুবন ও মনুষ্য সৃজন ॥
নিরবে গহীনে বসবাস,
একজন তার মনিব আর একজন হলো দাস,
ছোট্ট একটা খাঁচায়,
আপন ইচ্ছে মত শুধু আসে যায়,
কার বেশী বল কে সব পারে কার বেশী দায়,
একজন দৃশ্যমান আর চালক তার মহিম ও মহান অদেখায়,
কেউ বলে আকাশে বসে কলকাঠি ঘুরায়,
জানিলে বলো মন আসলে সে থাকে কোথায় আর কিবা সে চায়,
সেইতো দিলো সব এ দেহপ্রাণ ও জীবনের মালিক ও রব, লালন-পালন ও মরণ মহাজন ॥
দুইজনে মিলে,
শত বছর ধরে তিলেতিলে,
হঠাৎ একদিন শূন্যে বিলীন রাহুতে গিলে,
নেবে সবকিছু কেড়ে যেতে হবে ছেড়ে যেন ছো মেরে নিলো সব নিমেষে অচেনা এক যমচিলে,
এক আঁধার রাতে,
সেও যাবে ওরে শূন্য হাতে,
যে সোনার থালা ভরা ছিল ঘন লালচে দুধেভাতে,
শুনি সৃষ্টির সেরা তবু সে ওতো দেখি ঘেরা অতি এক ক্ষুদ্র সীমানাতে,
হলো অতিশয় ভার ঐ ভেদ বুঝা তার ষোলআনা মালিকানা যার মিলে একাকার হয়ে একজন ॥
দিলো দুটি হাত দুটি পা,
সবল দেহটা সচল দেমাগ ও চক্ষু মাথা,
মাটি হতে মানুষ বানালো খোদায়,
অনল বায়ু ও জল যার সনে তার কুদরতি মিশায়,
কেন সবারে দিলোনা হায়,
থেকেও অন্তরালে অনূভবে ও চেতনায়,
সামনে পিছনে অনেক দূরে ও অসীম দিগন্তে দেখিতে পায়,
নাইরে যার পাতা পড়েনা পলক কারোই নজরে এমন একটা তৃতীয় নয়ন ॥

পর্ব-০২

কত মায়া ভালোবাসা,
লোভ মোহ কত দোষগুন স্বপ্ন আশা,
কামনা বাসনা দিনে দিনে,
রঙধনু হতে রং আনিল ধারে কিনে,
ছাড়িল সীমানা কত জালবোনা গোপনে গহীনে,
অজানায় নিজেরে হায় বাধিল পাহাড় সমান অদেখা রাজার ঋনে,  
তার চলনে বলনে নয়নে বদনে আচরণে এক নতুন নেশার হলো জাগরণ ॥
দেহটার ভিতর,
গোপনে জন্মিল ঘূর্নিঝড়,
কেউবা ভালোর খোলসে হলো মন্দ ইতর,
বন্ধুর লাগি মন জানি করে কেমন কেমন হয় অধীর ও কাতর, তারুণ্যে পা সে রাখিল যখন ॥
সব নারী পুরুষের,
বন্ধু চাই বিপরীত লিংগের,
এ চাহিদাটা ওরে এই উঠতি বয়সের,
না হলে কোন সীমা লংঘন তা নহে আসলে তেমন দোষের,
আসে একটা সময়,
সারা দেহমন যখন চঞ্চল ও চনমনে হয়,
ছটফট আনমন সারাক্ষণ,
তাকিয়ে সুন্দর মোখপানে যেন ভরেনা ও ফিরেনা নয়ন,
জানালায় উঠানে ছাদে পুকুরঘাটে ছুটে যায় যখন তখন,
ছুটোছুটি সখা-সখীদের সনে হেসে লুটোপুটি দিচ্ছে জানান বলছে নয়ন ও বদন তার একজন বন্ধু প্রয়োজন ॥
সে এক ভালোলাগার ঝড়,
চোখের ভাষায় পাতানো যায় যেন দোসর,
এ ভুবন যেন রঙ মাখানো চারিদিকে ছড়ানো কত সুন্দর,
তারে কাছে ডাকা আর বন্ধু হতে করা নিমন্ত্রন, যতই হোক সে অচেনা পর,
বাড়াবাড়ি অতি, না ভেবে তার ক্ষতি কিবা পরিনতি, নিজেরে করা সমর্পণ কি হবে তারপর,
ঐ দূরন্ত দামাল ক্ষণে চোখেচোখে জনেজনে নজরদারি খবরদারি ও দেখভাল প্রয়োজন কঠোর শাসন নিয়ন্ত্রণ ॥
হয় দেখা ও জানা পরিচয়,
সোহাগ পেতে কত দুঃক্ষ ব্যাথা অকারণে কত কথা কয়,
সেই দিন আর নেই, বন্ধ হয়েছে পত্র লেখা মোবাইলেই হয় এখন প্রেম নিবেদন বিনিময়,
কাতর মন করিতে মিতালি,
সাজাবে পসরা নিয়ে ফুলের ডালি,
আসিবে ছুটে রসিকা ও বেরসিক কত মালী,
শরিয়ত সবারে ডেকে বলে,
বিয়ে দাও সহসা ছেলেমেয়েরা বালেগ বালেগা হলে,
নাহলে বাগের জমি হয়ত যাবে কমি, কিবা যেতেও পারে একেবারে বেদখলে,
পাত্র যদি হয় চরিত্রবান ও রয় তার জীবন ধারণ বা পরিবার প্রতিপালনের সক্ষমতা বা সেই উপার্জন ॥

পর্ব-০৩

বুঝেনা পাগল মন মানেনা মানা,
তাতে কত রটনা কত কথা ও ঘটে কত ঘটনা,
মুখেমুখে জনেজনে এমনি করে হয় তা সবার জানা,
স্বজন ও পড়শীগন হয় সারা পাড়াময় ফিসফাস ঘুষাকানা,
চলছে গোপন প্রণয়,
কবে হবে কি নাহবে পরিনয়,
জেগে উঠা যৌবন যাচে কায়ঃমন দুজনারে ঐ দুইজন করিতে বিয়ে বাধিতে ব্যাকুল দাম্পত্য বন্ধন ॥  
শেষে যখন তা জানাজানি হয়,
সবার টনক নড়ে মাথায় যেন বাজ পড়ে আর বসে থাকা নয়,
এবার সামলান যায় যায় যেন মান, ঘটক কিবা আপন কেউ আসে বিবাহের পয়গাম লয়,
কত বিয়ে হয়না কতকগুলি হয়,
দুইপক্ষ ওরে তোড়জোড়ে যোগাযোগ ও খোঁজখবরি শুরু করে, একত্রে বসে তারা খোলাখুলি কথা কয়,
বিয়ের ফুল ফুটে যখন,
সম্মত হয়, পিতামাতা ও অভিভাবকগন,
ছুটে এসে কাছের কিবা দূরের আত্বীয় স্বজন, সবে মিলে করে শুভ বিবাহের উৎসব আয়োজন ॥
যেথা ওরে প্রেমের সেই,
সুযোগ কিবা অবস্থা ও পরিবেশ নেই,
নেই কোন প্রচার ও যোগাযোগ,
হতে পারে সে এক রক্ষণশীলতা দ্বিধা সংকোচ কিবা মানষিক রোগ,
যাই হোক তা আসলে এক দূর্ভাবনা ও কষ্টের বিষয়,
তাকি ওরে পাত্রপাত্রীদের জীবনের কিবা ঐ পরিবারের জটিল সমস্যা নয়,
দেখি অনেক শিক্ষিত ঘরে কন্যাপূত্রদের,
এ কোন ভ্রান্ত মোহ ঘের নিরবে তাদের সঠিক বয়সটা বিয়ের,
নিভৃত বলয়ে যাচ্ছে হয়ে পার,
তবু কেন কারো যেন কোন মাথাব্যাথা নাই দেখি সবে নির্বিকার,
দারুণ ভাটির টানে,
কে খবর রাখে আহা তা কয়জনে জানে,
ওরে বিদ্যান মূর্খগন ধন আর ভোগবিনোদন নহে জীবনের মানে,
জীবন মানে চারা রোপণ আলো ও ভালোর বৃক্ষের,
নিজেরে ছড়ায় যা মহাকাল এ ধরায় ফুলফল নির্মল বায়ু ও ছায়া দেবে ঢের,
মহাপূণ্য অরুপ বাহার অসীম আশা ও সম্ভাবনার ছোট্ট এ জীবনটার বিয়ের আগেই তার অর্ধেকটার বেশী হলো সমাপন ॥
দেহের চাহিদা ও সুধা,
মন ও চোখেরও রয়েছে ভালোলাগা ও ক্ষুধা,
এ জগতে নর ও নারী,
জীবন হয়না চলিতে পারেনা কেউ কাউকে ছাড়ি,
পাশাপাশি থাকা হাতে হাত ধরে চলা, নাহলে অনেকে ঠকে শেষে যায়রে হারি,
নিরব ভাষায় কাছে ডাকে ও টানে হতে মিলন, জীবনের প্রয়োজনে একে অপরের সম্পূরক এই নরনারীগন ॥

পর্ব-০৪

এখন আর নেই নিষিদ্ধ গলির সেই সময়,
প্রতি শহর বন্দরে, একটা বিশেষ এলাকা জুড়ে ছিল পতিতালয়,
তাদেরও ছিল সমাজ পরিবার ও একটা আলাদা চিহ্নিত পরিচয়,
তারা গেলো কই, এখন কোথায় থাকে কেমন আছে কেমনে চলেখায় একবার তাদের খবর নিতে হয়,
কালের বিবর্তনে এখন অনেকেই তারা বিত্তধনে এই সমাজের অনেক উঁচূ আসনে তাদেরই আসলে হয়েছে জয়,
করে উচ্ছেদ দিয়েছে খুলে দুয়ার,
নতুনে বাঁচার অনেক আশা ও সম্ভাবনার,
মুছে ভেদাভেদ, বদলে খোলস সব কালিমা ধূয়ে লভে সরস জীবন নির্ভয় তারা হয়েছে এখন ॥
সভ্যতা দিয়েছে দূর্লভ জয়,
নেই কোন আর দ্বিধা সংকোচ কিবা সংসয়,
পাশ্চাত্যের সেই ফ্রিসেক্স নোরিস্ক ও নোটেক্স তাই আর নয়,  
ওরে এখন আর নেই, আগের মত সেই লজ্বা সরম কিবা কোন অমূলক ভয়,
বদলে দিন ভুলে ভয় এখন সবাই সবার বন্ধু হয়,
বুড়োরাই শুধু বন্ধু, বালকে ও যূবকে ভয় আজ আর এমন নয়,
সবাই ভালো, গৃহবধূ গৃহবালিকা ও পতিতা নেই তার কোন আর আলাদা পরিচয়,
কেন এ অবক্ষয়, সেকি তবে আধুনিকতার কাছে ধর্মীয় ও সামাজিক অনুশাসনের পরাজয় অবাধ এ যৌনমিলন ॥
তারা সব বয়সের,
এ সমাজের সকল স্তরের,
অর্থ ও বিনোদন দুইই তাতে রয়েছে ঢের,
তাই সংগী হয় সংগ দেয় বলে এটা পেশা নয় নিছক আনন্দ ও সখের,
অপবাদ তবে কেন হবে শুধু নারীর একা, কোন দোষ নাইকি পুরুষের,    
তাই আজ মনেহয়, অনেক ঘরেই রয়েছে অঞ্জাত পতিতা কিবা পতিতালয় আর হয়েছে যেন তা সারাটা বিশ্বময়,
ওরে কি তার কারণ,
কেড়ে নিয়েছে কে ঐ অবগুন্ঠন,
দিয়েছে অর্থ ও মজাদার অবাধ অপার বিনোদন,
লজ্বা ও ভয় কেমনে তারা করিল জয় ওরে কে তা করিল হরণ,  
অন্তরালে সুকোৗশলে মোখ ঢেকে কত লোক যা প্রয়োজন তা করিছে সাধন,
একেই হয় সব সাধন,
আধুনিক বিঞ্জান করেছে কত দান,
সহজ, সুলভ ও নিরাপদ ঔষধ দিয়েছে এমন কত তার সরঞ্জাম আর উপকরণ ॥
এ কেমন অবাক বিস্ময়,
শুনি কেউ নাকি একেতে তৃপ্ত বা সন্তুষ্ট নয়,
চায়না বিয়ে কিবা সন্তান ও সংসার, কেউবা আবার এমন বিকৃতও হয়,
কেউ কেউ বলে বড়ই আক্ষেপের ছলে,
কি ক্ষতি ছিল পুরুষের মত নারীদেরও চার বিয়ের রেওয়াজ হলে,
নষ্ট পুরুষ, ভ্রষ্ট প্রেম ও রাক্ষুসী রমনীর কবলে,
পড়লে হতে পারে এ সমাজ ও সৃষ্টির মনোরম শোভা যেতে পারে রসাতলে,  
কিছু প্রেম বেড়ায় আকাশে উড়ি,
সেতো শুধু এক উঞ্চ নব শিহরণ আর সুড়সুড়ি,
প্রেমের তাড়নায়, বারবার দেখা করে ও কথা বলে করে বড়দের দৃষ্টি চুরি,
এরা কি তবে হয়েছে এমন অধিক চতুর ও স্মার্ট দেখে ঘরে ঘরে প্রশান্ত কুমারী মেয়েদেরে হচ্ছে বুড়ি,
কি সুন্দর নাম, দিয়েছে রসিক লোকে তার পরকীয়া প্রেম,
বিবেকের চোর, কলির কালের নষ্টপ্রেমের নেশার ঘোর, রঙমাখানো এক ভয়ংকর ফ্রেম,
বাঁচার উপায় কি, বহু ঘরে দাম্পত্য কলহ দন্দবিবাদ অশান্তির অনলে পুড়ে কত খুন মনেহয় ঘটিছে সে কারণ ॥

পর্ব-০৫

আর পরকীয়া প্রেম নয়,
তারচে অনেক ভালো যদি তালাক হয়,
সন্তান অমানুষ আর শান্তির নীড় কেন হবে যমালয়,
আমিও অসৎ অসতী নয়, ওরে সুখের ঘর কেন হবে পতিতালয়,
স্ত্রী ও স্বামী একে অপরের কাছে অতিশয় প্রিয় ও দামী বিহনে এ জীবন ধূসর মরুময় ।
লোকলজ্বা বা সংকোচের বিষয়,
ওরে তবে, কিসের সরম কিসেরইবা ভয়,
বিয়ে করাটাতো দোষের কিবা কোন গুনাহের কাজ নয়,
বরং সে কাজ পরম পূণ্যময়,
যদিরে তা, শরিয়ত মোতাবেক ঘটে হয়,
সেতো একজন নেককার ও শুধু ভালো মানুষেরই পরিচয়,
পরম আপন সময় সময় রংগী সুজন সংগী একজন, আজীবন প্রয়োজন হয়,
যার কাছে এ মন ও দেহটার কিছুই আর নেই গোপন এমন বন্ধু হবে যেজন,
সুখ ও বেদন মেনে লবে, মন বুঝে মন দিয়ে অসুখে আপদে দরদী আপন হবে মনের টানে সংগে রবে আমরণ ॥    
এসো সবে বিয়ে করি ও সবারে বিয়ে দেই,
তাদের কষ্টগুলি একটুখানি ভাগ করে নেই দুঃখী মানুষগুলি যেই,
সবার আগে ঐ তাদের জীবন সংগী ছিল যাদের, তবে দুঃক্ষজনক এইযে এখন আর নেই,  
বয়স তাদের যতই হোকনা ওরে,
মনমরা ও চুপচাপ গৃহকোণে রয়েছে যেন গোপনে অদেখা আগুনে পড়ে,
বাবা মা খালা ফুফু ভাই বোন ভাবী ও অন্য এমন যারা আপন ভুবনে নিতান্তই অসহায় একা ও সংগীহারা ঘরে,
বিয়ে শুধু এ দেহটার লাগি নয়,
নহে জুদা আছে তাদেরও ক্ষুধা, মন নয়ন ও বচনের অস্তিত্ব ও পরিচয়,
অন্তরালে নিভৃতে অস্ফুট স্বরে,
সব কষ্ট প্রয়োজন জোড় করে লুকিয়ে মনের ভিতরে,
একাকি তার বিজন ঘরে পায়চারি করে ঘুম ভেংগে গেলে রাতদুপুরে,
যে নহে আহা ভুক্তভোগী কিবা বিবেকও ভোতা ওরে সে তাহা বলো বুঝিবে কেমন করে,  
মোখেতে নকল হাসি, ভিতরে ছটফট ধরফর যেন দিয়ে যায় ভেংগেচূড়ে ঘর অদেখা কোন দামাল ঝড়ে,
তাদেরে দেই জীবনের স্বাদ, শূন্যতা ও বিষন্নতার কাটুক বিষাদ, হোক একটু সুখ আনন্দ ও রসের বিনোদন ॥
চার দেওয়ালের জেলে,
মাঝেমাঝে মন বলে সন্ধান করি সবকাজ ফেলে,
তবুও আবার গলাটিপে ধরি তার যখনই তপ্ত গোপন ঐ বাসনা পাখনা মেলে,
একেবারে সংগী হারা,
এমন অসহায় হয়েছে কেমনে তারা,
বুঝি নিয়তির সনে যুদ্ধ করে আর যখন যায়নি পারা,
স্বজনের কাছে সবকিছু ইতো না চেয়ে পায় শুধু ঐ উঞ্চ মধুর সংগটা ছাড়া,
হয় সংগী তাদের গেছে মারা, নাহয় হয়েছে তালাক গিয়েছে ছেড়ে জোড়ের বন্ধু ও মজার খেলার সংগী ছিল যারা,
হোক সবার শান্তি সুখের সংসার মধুর জীবন, নিশীথে নিজ বিছানায় মন যারে চায়, পাশে থেকে কাছে পেয়ে ঐ প্রিয়জন ॥  

পর্ব-০৬

কারো জীবন চলেনা,
জীবনের একজন খাটি সংগী বিনা,
বাজেনা হৃদয় বীণা, মন যেন কিছুতেই ভরেনা,
ঘরে কত লোকজন আসা যাওয়া সোরগোল ও আনাগোনা,
হায় মাঝেমাঝে গড়াগড়ি যায় হরেক মজার খানাপিনা সেদিকে চোখ পড়েনা,
আমিযে মাটির মানুষ কাঠের পুতুলতো নই,
সবকাজে সবখানে সারাক্ষণ যারে খোঁজে সে ওরে কই,
কি হবে দিয়ে পত্রিকা ম্যাগাজিন টিভি এত গল্প ও কবিতার বই,
এনরয়েড ফোন ফেসবুক ও ইন্টারনেটে আরও বেশী ক্লান্ত ও কাতর হই,
এত বিত্তধন বলো আমার কি প্রয়োজন, এসব দিয়ে কি করিব যাবো আমি কোথা লই,
আমি যার খেলনা কই সে খেলোয়াড়, এ জীবনতো নয় শুধু ধূ ধূ ধূসর বালুচর কিবা কোন বিজন পোড়াবন ॥
কি নাই, সব আছে,
মোর চারপাশে অতি কাছে,
তবু আপন ভুবনে আমি বড় একা,
সে কষ্ট হায় যায়না কাউকে বলা যায়না দেখানো বা দেখা,  
হায়রে বিধবা হলাম আমি স্বামীর কাছ থেকে না হতে ভালকরে ভালোবাসা শেখা,
বড়ই ন্বিঃসংগ ও অসহায়,
মন গল্প করা ও মনের কথা বলার সংগী চায়,
আর দেহটা চায় কিছুক্ষণ ঝড় তারপরে বরিষন, মাঝেমাঝে কিছুটা এমন উঞ্চ সোহাগ পীড়ন আলিংগন ॥
বিয়ে মানে উদ্দাম ভালোবাসা,
ক্ষুধায় অন্ন ও তেষ্টায় জল এ দেহটা যেন কভূ না হয় সর্বনাশা,  
প্রতিক্ষণ আজীবন হরষে বিনোদনে বন্ধু দুইজনে হাত ধরে জড়াজড়ি করে বাঁচার আশা,
ভালোবাসা মানে,
সেতো সবাই বুঝে ও জানে,
কাছে থাকে কাছে ডাকে ধরে রাখে ও কাছে টানে,
বিয়ে করে তাই,
সুখ যেন পাই আমরা সবাই,
চাইনা বিত্তধন ও বিলাসের বড়াই,
ভালো মানুষ একজন ও ভালো বন্ধু চাই,
সেইতো সুখী হয় যার রুপ ও ধনের কোন মোহ নাই,
খাটি প্রেমেতে শুধু মনেরই দাম, নাই বিদ্যা ও ধন কিবা বয়সের বালাই,
সুবোধ সুজন ও সুন্দর একটা মন, যার দুবাহু দুনয়ন সারাক্ষণ রাখিবে আমারে জড়াই,
সুখ বেদনা ওরে দুজনে ভাগাভাগি করে আস্থা ও নির্ভরতার যাদুর মায়ার মিঠা আবরণ ঠাই,
শুধু সুখে থাকার বড়াই, তৃষিত নয়ন ও দেহমনের নিরব গোপন উঞ্চ মধুর সুখের জ্বালাতন বিনিময় আবেদন ॥

পর্ব-০৭

সহসা বিয়ে করো সবে,
দোষ কি যদি হয় গোপনে নিরবে,
সহজ শর্তে ও দায়ের বোঝাটা একটু লাঘবে,
যত অসহায় ও একা, বড় কিবা বুড়োদের বিয়েটা আগে হবে,
যারা এখন এমন সংগীহীন,
তাদের কাছে রয়েছে যাদের অনেক বেশী ঋন,
তারা হলো, সুখভালে মগডালে সংগীর সনে জীবন যাদের মাখানো রঙীন,
ক্ষতি কি যদি কারো বিবি হয় চার,
শোভা পায় স্বচ্ছলতা সুস্থ্যতা ও সুবিচার রয়েছে যার,
ঐ দিন আসিবে কবে,
হরষে সরসে ও ছোটখাট উৎসবে,
আর তা আপনি মেনে লবে,
ছেলেমেয়ে স্বজন পড়শী ও এ সমাজের সবে,
তাজা ফুলে করিবে সাদরে বরণ, তালাকে কিবা মরণ শোকে একা হওয়া যত বিধবা বিপত্নীক ও বন্ধাগন ॥
আহারে দুঃসহ বুড়াকালে,
সব থেকেও বাবামা পড়ে যায় বেহালে,
ছেলেমেয়েরা সবে আপন আপন জীবনের টানে,
যে যার মত কেজানে কে কোথায় কখন চলে যায় কোনখানে,
তেমন কোন চাওয়া পাওয়া নেই সামাণ্য যেটুকু পায় তাই যথেষ্ট সুখ বলে মানে,
আর সচল সবল অবস্থায় একা হলে,
পারেনা সে কষ্ট শোক আবেগ ও অভিমান একাকি সামালে,
পারেনা কাউকে বলে কি ডাকে, তাই একেবারে দম খিচে থাকে, বলবে কারে কার অনলে কে পানি ঢালে,
হয়ে পড়ে যে সংগীহীন,
মন মেজাজ খারাপ নয়ন ও বদন মলিন,
যতই থাকুক ধনজন, হয়ে পড়ে তার জীবন দুঃসহ কঠিন,
এমনই হয় নিয়তির কাছে হায় হয়ে গেলে অদেখায় অজানায় দায়-দেনা ও ঋন,    
একটু ভর সয়না যেন কোন ডালে,
সোহাগ আদর ও যতন বেশীদিন জুটেনা কারোকারো কপালে,
আবার দেখেছি কত এমন কাটিছে জীবন,
এক চালের তলে দুই কামড়ায় ভিন্ন বিছানায় তারা থাকে দুইজন,
ভালোকরে মোখ দেখা নয়, অতি কম হয় কথা বিনিময়, দুঃসহ ঐ সে নাবলা কষ্ট জ্বালাতন ॥
জীবন মানে স্বামী স্ত্রী ও সন্তান,
কোন ভালো ফলের গাছের চারা লাগান,
বিনোদন তামাসায় হয়ে যায় জীবনের অবসান,
কেউ কেউ তবু যেন তার মানেটা কভূ খুঁজে নাহি পান,
তার জানা নানা ফুলে ও ফলে আকাশে ভুতলে সাজিবে ঐ বাগান,
তারাইতো স্বামী ও সন্তানের সনে দুদিনের ইহকালে হরষে ও ভালোয় কাটান,  
অনন্ত পরকালেও মহা সুখশান্তি ভালে পরম আয়েশ আরাম লভে হন লাভবান,
চোখ ফুটেছে নয়রে কানা, হয়েছে যার সব চেনাজানা, ভালো বীজ বুনে সে’ই বিশাল কানন সাজান,
বিধাতার করুণার নেয়ামত ও দান সেতো অসীম ও অফুরান, এইতো জীবন আলো ও ভালোয় সাজানো ভুবন মিলে সংগী দুইজন ॥
ক্ষতি কি বরের বাড়ী গিয়ে যদি কনের বিয়ে হয়,
কাজীর বাড়ী ঘটকের বাড়ী বন্ধু কিবা স্বজনের বাড়ী ও মসজিদে বিয়ে হওয়া দোষের নয়,
স্বামী তার বধূয়ার পোষ্য হলেইবা ক্ষতি কি তাতে,
খোটা নেই কাজ করে খাওয়ায়, কি আসে যায় কর্মী হলেই বিবির ব্যাবসায়, কেন ঘা তাতে লাগিবে জাতে,
বিবি মানে রানী,
রসময় সংগী মধুময় রংগীনি,
ভুলবে সবই পূষিয়ে যাবে চাঁদটা পাবে যখন হাতে,
আপনারে হারাবে ক্লান্তি অবসাদ সব তাড়াবে বিভোর নেশার ঐ মায়াবী রাতে,
মন পেতে তার একটুখানি টানলে নাহয় ঘানী,
দুহাতে মাখাবে তার সারা গায় চাঁদের সোনালী কণা ডালা ভরে আনি,
জীবন যদি হয় নহে বিষময় নহে পরাজয় সম্মানের ও সুখময়, কাটে দিন মাছে দুধে ভাতে, মন যদি পায় মনের ঐ দূর্লভ সিংহাসন ॥