পর্ব - ০১
করছি কেমনে,
কতযে প্রশ্ন জাগে এ মনে,
অরুপ সুন্দর এ মহাবিশ্বটার,
একক মালিকানা, যে অচেনা এক মহারাজার,
পাওনা যার হচ্ছে কিনা তার, কিবা আমি আর ঠিক না বেঠিক করছি কার পূজা ।
কি আমি বলবো ভাই,
যার চোখ থেকেও ওরে চক্ষু নাই,
দিয়েও বিধাতায় কেনযে হায় রেখেছে তা অন্তরে লুকাই,
স্রষ্টারে যারা দেখে নাই ও চিনেনা, বুঝি বড়ই দূর্ভাগা রয়ে গেছে তারা এখনও সবাই ।
তবু তারা করছে বড়াই,
মানুষ নামের মানুষ হয়ে সে দলে নাম লেখাই,
কি আসে যায় গাঁধা, গরু কিবা বোকার দলে যে যা খুশী বলুক যাই ।
দেখেছি ও দেখছি ওরে,
নিত্য আমি এ মহাবিশ্বটা ঘুরে ঘুরে,
অতিব কাছে, সামনে ও পাছে কিবা অনেক দূরে,
নদীর কলতান, বাতাসের পনপন মৃদু গান ও পাখীর সুমধুর সুরে,
সীমানাহীন তার জমিনে, সাগরতলে ও থেমে যাওয়া দৃষ্টির ঐ অসীম শূন্যে অবসরে বেড়াই ।
যতনে সৃজন ও গড়া বা ধবংস করা,
যখন যা খুশী ঐ মহারাজার ভরাকে শূন্য ও শূন্যকে ভরা,
আবেগ, খেয়াল, প্রয়োজন ও ইচ্ছায়ই সব হয়ে যায় ইশারায়, লাগেনা হাতে ধরা,
হারজিত তার হাতে ইচ্ছে যারে,
সে ইতো শুধু ওরে দিতে কিবা নিতে পারে,
দান কিবা হরণ, যখন যা চাহে তার মন, পাপ-পুণ্যগুলিও বাড়িয়ে কিবা দিয়ে তা কমাই,
জীবন-মরণ ও লালন-পালন ভাই,
দুই দুনিয়ার দুই জীবনের প্রভু, পালক মনিব ও মালিক মহাজন শুধু একজন ছাড়া আর কেহ নাই ।
কি কাজ কোন সে দায়,
রাজারে দিয়ে অংগীকার, তুলে লয়ে তা নিজ মাথায়,
ভুলে গেছ কিরে কেন আজও তা স্বরণে পড়ে নাই,
দুদিনের দুনিয়ার জীবনের লক্ষ্য, শেষ ঠিকানা ও ঠাই কিবা ঐ উদ্দেশ্যটাই,
করছে যারা তারা কারা বিদ্যা, ধন, ক্ষমতা, জন ও জাতের বড়াই গায়েতে তার সাতরঙ মাখিয়ে ভরাই ।
কি হলো ঐ চুক্তি,
আত্বঘাতী বচন, আচরণ ও উক্তি,
আজ আর কিছুই তার স্বরণ কিবা আমলে নাই,
সৃষ্টির হয়েও সেরা কত নির্বোধ ও অকৃতজ্ঞ মানুষ তারা হয়েছে ভাই,
মানুষের এ জীবনটা যার,
শ্রেষ্ঠ দয়ার দান, নেয়ামত ও উপহার,
এত ধন-জন, ভোগ-বিনোদন ও শত মজার কতনা খাবার,
দেখেছি তার অযুত রঙ আর নিযুত প্রকারের অপরুপ সুন্দর বিস্ময়কর সৃজন বাহার,
কি মূল্য কিবা কোন বিনিময় প্রতিদান কবে দিয়েছ তার, কোন কামে বিনাদামে এতকিছু পাই ।
আপন মনে কে আমি মহারথী মহাজন,
নিজ ভুবনে নিজেই যেজন যেন একজন মহারাজন,
নশ্বর, ঠুনকো ওরে কে দিলো তোরে নিমেষের ঐ আয়েশি ও বিলাসী জীবন,
কে আমার মনিব, আমি কার গোলাম সবকিছু যার মূল্যহীন ও শূন্যদাম, কে আমারে কেনরে করিল সৃজন ।
কে সে করিলো তোমারে দান,
অল্পদিনের মায়া, মোহ ও মজার ঘের শ্রেষ্ঠ এ ছোট্ট জীবনখান,
চাই সে মহান দানের শোকর গুজরান,
প্রকাশে বা গোপনে কে গাহিছ তার সত্য সঠিক গুনগান,
এত পেয়েছ এত নিয়েছ এতযে খেয়েছ ও খাচ্ছ তবু কেন ভরেনি পরাণ,
বুঝি সে কারণে দিনেদিনে হায়, অজানায় অদেখায় বাড়িছে তব ঐ ঋনের বোঝাখান ।
প্রতিদিন আমরণ,
ছোটবড় যতকিছু যা প্রয়োজন,
অন্নবস্ত্র ধনজন যত বিলাস ও ভোগবিনোদন,
অধম পোষ্য গোলাম প্রজা, আসলে কভু হবে কি নাহবে মরণ,
জানেনা, মানেনা নাকি তা নাই স্বরণ,
হঠাৎ একদিন, কখন আসিবে কবে নাবলা ঐ সে চিরবিদায় সমন ।
সব ফেলে সব রেখে,
কেন শিখেনা তারা এতযে শোনে ও দেখে,
ওরে অদেখা ঐ সূতাধরে মহারাজায় আচমকা যখন দিবে হেঁচকা টান,
গহীন আঁধার রাতে একাকি শূন্যহাতে যাবেযে চলে নির্ভয়, রঙীন ও মোহময় জীবনের হবে অবসান,
হলোনা জানা হলোনা সাধন, জীবনের অতি সাধারণ অত্যাবশ্যক জানা প্রয়োজন প্রশ্নগুলির জবাব খুঁজা ।
রাখিও স্বরণ, চাহিলে সাধন,
ওরে মন হও তুমি যেবা, থাক যতই বিদ্যা ও ধন,
যার হাতে মরণ, যেদিন দাদনের মহাজন তার সব দান করিবেন হরণ,
পূজা কারে কয়, পূজা মানে আর কিছু নয়, বিশ্বাস শ্রদ্ধা ভক্তি বিনয় মান্যতা ও ভয় তাই দিয়ে জয় করা বিধাতার মন ।
তার চরণে পড়ে,
ভুবন জুড়ে একখানা পূঁজার ঘরে,
সামাণ্য দান, সেতো তার দানেরই তুচ্ছ বিনিময় ও প্রতিদান,
সারা দেহমনে প্রকাশে গোপনে আপনারে করা সমর্পন আর দেওয়া তার কিছু বিসর্জন ।
আবু হকে কহে, ওরে তা নহে মোর বচন,
মহারাজায় বলছে তার, বাদশাহ গোলাম সব বান্দারে করে সম্বোধন,
ঐশী আলোর সকল ভালোর বীজ বপন ও চারা রোপণ,
চাই সত্য বলা, সুপথে চলা, প্রভুরে চেনাজানা ও মানা তার শাসন, তবেইনা হবে তব পূজা সমাপন ।
পর্ব - ০২
যেজন অন্ধ কিবা কানা,
না হলে নিজেকে ওরে কভু তার চেনাজানা,
কেমনে জানিবে সে প্রভুকে, জিতে বা ঠকে তার সব হুকুম মানা,
কোথা তার শাহী প্রাসাদ ও তখত মসনদখানা,
দরবার, আদালত, কোষাগার, রশদ ভান্ডার কিবা তার বসত, বিচরণ ও রায়ত সব ঠিকানা ।
সেইতো সুন্দর,
ভরপুর সন্তুষ্টি বিধাতার উপর,
হলেও কম কম ধন,
কারে কয় আর কেনরে এ জীবন,
কম সুখ-বিনোদন ও সাদামাটা অতি সাধারণ,
সেইতো আসলে সেরা জীবন, যেথা রয়েছে কিছু পোড়নটানা,
কম কথা বলা, কম নিদ্রা যাওয়া এবং দামী ও মজার খাবার খানিকটা কম খানা ।
যার গোড়ায় গলদ,
হয়তোবা কেউ বলবে তারে গাধা ও বলদ,
রাজার হুকুম ও রাজবিধান না করে পালন করছে যেবা যারা তা ভঙ্গ বা রদ ।
হলে অকারণ,
একখানা পিপড়ার মরণ,
রাখিও ওরে তোমরা সবে স্বরণ,
জবাব দিতেই হবে, সব হিসাব লবেন মহাজন,
করলে ক্ষমতার অপব্যবহার ও লোকের হক বা অধিকার হরণ ।
অবলীলায় অকারণে,
জুলুমের সে ছবি সরকার ও জনগণে,
দেখিছে সবাই বসে যেন নির্বিকার ও নির্লিপ্ত নয়নে,
সকল দূর্বলেরে করছে নাজেহাল, পেরেশান ও বধ সমাজের সবলগণে ।
হয়েছে মানবতার অকাল মরণে,
বাতাস ভারী আকাশটা থমথমে মজলুমের অস্ফুট ক্রন্দনে,
দুষ্টের দমণ ও শিষ্টের পালন, বুঝি সে কবেই করেছে পলায়ন গিয়েছে স্বেচ্ছা বিজন নির্বাসনে ।
শুধু তারাই, যত বোকা ও নির্বোধগণ,
ভাবে অসি, অর্থ ও মসী বা সকল ক্ষমতা ও বল অক্ষয় চিরন্তন,
না সকলই শূন্য অসার, যদিও ভাবে সম তার বিদ্যান, জ্ঞানী ও পন্ডিত বুঝি আর কেহ নাই ।
বন্ধ রয়েছে যার,
মনের সকল জানালা দুয়ার,
কেমনে বলো ঘুচিবে সে ঐ ঘরের ঘন অন্ধকার,
কেমনে পসিবে হেথা আলো, ঘটিবে দুই জীবনের সকল সফলতা, কল্যাণ ও ভালো ।
প্রাসাদে বা কুটিরে,
সবার আপন সুখের বসত নীড়ে,
আপদে, নিদানে ও কষ্টে থাকা ব্যস্ত সকল অসহায় মানুষের ভিড়ে ।
মসজিদে কিবা মন্দিরে,
মাটির খাঁচার তার বানানো দেহটার ভিতরে,
গীর্জায় ও পেগোডায় নাকি মরমের অদেখায় ছোট্ট ঐ নিঝুম আঁধার ঘরে,
বলো সাধ্য কিবা তার, দিগন্তে গহীনে অন্তরালে দেখিবার, ঐ নয়নখানা যার রয়েছে বুজা ।
রাখিও স্বরণ, চাহিলে সাধন,
ওরে মন হও তুমি যেবা, থাক যতই বিদ্যা ও ধন,
যার হাতে মরণ, যেদিন দাদনের মহাজন তার সব দান করিবেন হরণ,
পূজা কারে কয়, পূজা মানে আর কিছু নয়, বিশ্বাস শ্রদ্ধা ভক্তি বিনয় মান্যতা ও ভয় তাই দিয়ে জয় করা বিধাতার মন ।
তার চরণে পড়ে,
ভুবন জুড়ে একখানা পূঁজার ঘরে,
সামাণ্য দান, সেতো তার দানেরই তুচ্ছ বিনিময় ও প্রতিদান,
সারা দেহমনে প্রকাশে গোপনে আপনারে করা সমর্পন আর দেওয়া তার কিছু বিসর্জন ।
আবু হকে কহে, ওরে তা নহে মোর বচন,
মহারাজায় বলছে তার, বাদশাহ গোলাম সব বান্দারে করে সম্বোধন,
ঐশী আলোর সকল ভালোর বীজ বপন ও চারা রোপণ,
চাই সত্য বলা, সুপথে চলা, প্রভুরে চেনাজানা ও মানা তার শাসন, তবেইনা হবে তব পূজা সমাপন ।
পর্ব - ০৩
আর্ত, পীড়িত, ক্ষুধার্ত ও মজলুম,
নাই যাদের পরাণে শান্তি আর দু’চোখে আরামের ঘুম,
কেমন বন্ধু তাদের, পড়শী ও স্বজন যাদের, ভুবন জুড়ে শুধু ভোগ-বিনোদনের ধুম ।
আকাশে, মাটিতে ও জলে,
অতল সাগরের সাত জমিনের অন্ধকার তলে,
আবু হকে কেন শুধু বলে,
জানিনা তবে পাওয়া হবে ওরে কবে আর কোথা গেলে,
যেতে হবে নাকি, আর কতদিন বাকি জীবনের কয়আনা ফাঁকি, স্বজন ও সংসার সবকিছু ফেলে ।
করতে হবে আমার,
গোলামী বা কেমনে পূজা কার,
দাসখতে পাওয়া ধনজন ও এজীবন আমার,
বন্ধক রাখা অন্ধকারে থাকা এক ইজারাদার,
সবকিছু করুণার দানে ও ধারে পাওয়া মহান ও উদার যে রাজার,
না বুঝিলে ভেদ তার, মানুষ আমি, শুনেছি সবচে দামী, কেমনে হলেম তবে মহাসৃষ্টির শ্রেষ্ঠ সবার ।
তার সনে আবার কবে,
ওরে আমার দেখা ও এসব কথা হবে,
ভরিবে কবে অশান্ত পরাণ, হবে অবসান ধরে দিনমান হার না মেনে তারে আমার খুঁজা ।
পূজা হতে পারে সহস্র প্রকার,
সিজদা করা ঠেকিয়ে দুইখানা মাথা অদৃশ্য চরণে তার,
এতবড় এই মহাবিশ্বটার,
জগতভরা আপন সৃজন তার সহস্র যার রকম বাহার,
জ্ঞানী-গুনী কোটি বিজ্ঞজন যার চোখে যেমন, তা দেখিবার ঐ নয়ন বলো আছে কয়জনার ।
অদেখা ঐ স্রষ্টা’ই আমার রব,
সে ই ইলাহ, জীবন-মরণ ও বেহেস্ত-দোযখ সব,
সুখ-দুঃক্ষ অনটন ভোগ-বিনোদন বিত্ত-ধন ও যত বিলাস বৈভব,
এ মহাবিশ্বটার ষোলআনা একক মালিকানা যার, সে কেন নিরাকার ও নিরব,
সে রুপ দেখিবার বলো সাধ্য কার,
দুনিয়ার বুকে সাজানো সুখে বিছানো রয়েছে যত বেসুমার,
সহস্র কোটি পোষ্যের, পরম স্নেহের নিরাপদ ঠাই ও ঘের, সুবিশাল তার পরিবার,
চিরসত্য সঠিক, এ মহারাজ্যটা এক মালিক এক মহাজন এক প্রভু, এক বিধাতা ও মহান এক রাজার ।
পরিচয়টা জানা দরকার,
একক দাতা পালক করুণা ও ক্ষমার আধার,
শত নাম যার, তারচে অনেক বেশী ক্ষমতা ও গুণাবলী রয়েছে তার,
ক্রোধ ক্ষোভ রোশ, তবে নাই তার কোন দোষ, আছে যার নেয়ামত জমা অসীম ও অপার ।
নিমেষে সৃজন, ধ্বংস, নিধন,
এই তার ক্রীড়া ও লীলা বিনোদন সারাক্ষণ,
সকল জীবের সবকিছু দান,
যার যা প্রয়োজন, কিবা যে যাহা চান,
কে আছে বলো আর, হেন বিশাল, বিরাট ও মহান,
এ মহাজগতে, যা ঘটে হয় শুধু তার ইচছা ও মতে, বলো কেবা তার সমান ।
জীবন ও মরণ,
যত ধনজন ও সুখ বিনোদন,
যখন যাকে ইচ্ছে যা কিছু করা দান বা হরণ,
কে আছে তা করিতে সাধন, ফিরাতে তারে কিবা করিতে বারণ, বলো সে ক্ষমতা কার ।
রাখিও স্বরণ, চাহিলে সাধন,
ওরে মন হও তুমি যেবা, থাক যতই বিদ্যা ও ধন,
যার হাতে মরণ, যেদিন দাদনের মহাজন তার সব দান করিবেন হরণ,
পূজা কারে কয়, পূজা মানে আর কিছু নয়, বিশ্বাস শ্রদ্ধা ভক্তি বিনয় মান্যতা ও ভয় তাই দিয়ে জয় করা বিধাতার মন ।
তার চরণে পড়ে,
ভুবন জুড়ে একখানা পূঁজার ঘরে,
সামাণ্য দান, সেতো তার দানেরই তুচ্ছ বিনিময় ও প্রতিদান,
সারা দেহমনে প্রকাশে গোপনে আপনারে করা সমর্পন আর দেওয়া তার কিছু বিসর্জন ।
আবু হকে কহে, ওরে তা নহে মোর বচন,
মহারাজায় বলছে তার, বাদশাহ গোলাম সব বান্দারে করে সম্বোধন,
ঐশী আলোর সকল ভালোর বীজ বপন ও চারা রোপণ,
চাই সত্য বলা, সুপথে চলা, প্রভুরে চেনাজানা ও মানা তার শাসন, তবেইনা হবে তব পূজা সমাপন ।
পর্ব - ০৪
এক মহারাজা তার প্রজার সনে,
নিজেরে ঢেকে ও সদা লুকিয়ে রেখে অতি গোপনে,
কেন কোন কারণে, সদা ডানেবামে থাকে ও চলে সে পিছে ও সামনে,
হাওয়া তেল, জল ও আগুন না হলে, ঐ গাড়ীটা তাহলে তার বলো তবে আর চলে কেমনে ।
প্রজার আংগিনায় ঘুরে বেড়ায়,
ঘরে ও বাহিরে কেন অতি নিরবে চুপিসারে সে অদেখায়,
হয়ে অসহায় নিরুপায় কতজনে কাতরে মিনতি করে দুহাত তুলে কেবা কি চায়,
নিত্য দিনভর আজীবন সারাটা বছর, কার কি নাই ও রয়েছে কে কোথায় কোন আপদে নিদানে বা সমস্যায় ।
দাসখত দেওয়া প্রজায় করবে গোলামী,
এক মহারাজার এ মহারাজ্যটার, সে প্রথা ও নজরদারির বাহিরে নয়তোরে আমি,
হয়েছে প্রভুর কাছে খাস গোলাম ও প্রিয় দাস, এক ঘরে তারা দুজনে করে বসবাস অতিশয় সেরা ও দামী ।
কে আপন কেবা পর,
দুজনে দুজনার পুলকে বহে ভার এমনই দোসর,
কেবা কার অনুগত অনুচর, হয় সে যদি এক ভক্ত, বিনয়ি ও বিশ্বাসী গোলাম বন্ধু সহচর ।
এক গোলামের পূজার ঘর,
নিরবে ও বিজনে পুড়ছে কাঠি আগর,
ছড়ানো ছিটানো গোলাপজল ও মাখানো আতর,
ভরে উঠে ঐ নিঝুম সারা ঘর,
যেথা জুড়ে আছে মেঝেতে বিছানো মখমলের এক বিশাল চাদর,
অজানায় এ মহাবিশ্বটার ভিতর সাজানো সব কত সুন্দর,
রয়েছে অদেখায় পড়ে পূজার সিজদায়, বিশ্বাসে ভরপুর এক মহান প্রভুর চরণের উপর ।
আলো নেই ও ভালো নেই,
জানিতে চাহে মন, কেমন ঐ মানুষগুলি সেই,
মাটির দেহ কেমনে পেলো পাথরের অন্তর,
ঘুরায় তাদেরে যেন দিশেহারা এক গোলক ধাঁধার চক্র চক্কর,
ঘন অন্ধকারে রয়েছে ভরে, তাদের ঐ রঙ মাখানো বিলাস ও হরষের ঘর,
কোন ভয়-ভাবনা নেই কেনরে, তাদের ঐ বুকের ভিতর, যদিও রয়েছে তারা ঝুকিতে মহাভয়ংকর ।
বিশ্বাসীরা অনুগত হয় ও রহে তারা,
শুধু নয়, মোহ ও নেশার ঘোরে পথহারা ও দিকহারা হয়েছে যারা,
যে যাই বলে, আল্লাহ, গড, ঈশ্বর, ভগবান, স্রষ্টা ও মালিক নাহি কেহ আর ঐ এক বিধাতা ছাড়া ।
কোন সে গোলাম,
পেতে অধীর আরও ধন-সুখ, আরও যশ-নাম,
ঝড়িয়েছে তার প্রভু মনিবের তরে, বলো কে কবে দিয়েছ কতটা সময় ওরে কিবা কয়ফোটা ঘাম ।
তারা হয়েও সেরা,
মিথ্যা ও মন্দের করাল রাহুতে ঘেরা,
খতিয়ানে সব লেখা আছে, ভাল কি মন্দ হয়েছে কার কত কোন কাম,
লভেও এত ধন এত সুখ নেয়ামত আর ঐ দানের কে দিয়েছে তার, কি প্রতিদান কিবা কবে কতটুকু দাম ।
প্রভুর পূজা কারে কয়,
তার চরণে নিত্য শুধু শির ঠেকানো নয়,
কেমনে তার পূজা করিতে হয়,
ঢেলে শ্রদ্ধা ভক্তি ভয়, দেহ-মনে বশ্যতা মান্যতা ও বিনয়,
বিশ্বাসে সারাক্ষণ অবনত রয়, যা সে ছাড়া আর দেখেনা জানেনা অন্য কেহ, অন্তর ও হৃদয় ।
রাখিও স্বরণ, চাহিলে সাধন,
ওরে মন হও তুমি যেবা, থাক যতই বিদ্যা ও ধন,
যার হাতে মরণ, যেদিন দাদনের মহাজন তার সব দান করিবেন হরণ,
পূজা কারে কয়, পূজা মানে আর কিছু নয়, বিশ্বাস শ্রদ্ধা ভক্তি বিনয় মান্যতা ও ভয় তাই দিয়ে জয় করা বিধাতার মন ।
তার চরণে পড়ে,
ভুবন জুড়ে একখানা পূঁজার ঘরে,
সামাণ্য দান, সেতো তার দানেরই তুচ্ছ বিনিময় ও প্রতিদান,
সারা দেহমনে প্রকাশে গোপনে আপনারে করা সমর্পন আর দেওয়া তার কিছু বিসর্জন ।
আবু হকে কহে, ওরে তা নহে মোর বচন,
মহারাজায় বলছে তার, বাদশাহ গোলাম সব বান্দারে করে সম্বোধন,
ঐশী আলোর সকল ভালোর বীজ বপন ও চারা রোপণ,
চাই সত্য বলা, সুপথে চলা, প্রভুরে চেনাজানা ও মানা তার শাসন, তবেইনা হবে তব পূজা সমাপন ।
পর্ব - ০৫
শুধু যেন তা লোক দেখানো না হয়,
বিনা বিসর্জন হয়কি সাধন, গোলামে রাজার মন করাটা জয়,
কারো অল্পতে ও অতি সহজেই হয়,
যদিও তা ওরে তেমন কঠিন কিবা বড় কাজ নয়,
কারো থেকেও অঢেল ধনরতন আজীবন কেনতা বাকীতে, অনাদায় কিবা নাপাওয়া রয় ।
নিঝুমে নিভৃতে ও গহীনেও প্রভু গোলামেরে চান,
মাঝে মাঝে তার সমাবেশ, জঁমকালো সে এক মস্তবড় অনুষ্ঠান,
হরষে বিষাদে আলোতে ও আঁধারে অধীর কাতর প্রাণ,
শুধু নহে রঙ আর আলোর মেলায় বসে, কঠিন মাটি চষে, একদা কিছুক্ষণ সুবচন বয়ান ।
পিপাসায় কাতর একটু জলের জন্য,
ক্ষুধাতুর জনে চাহে কায়ঃমনে, বুঝে তা কয়জনে, পেটভরে মিলে যেন তার একথালা অন্ন,
করে জীবে প্রেম কিবা ক্ষুদ্র দানে,
একটু করুণা হলে, আবু হকে বলে ঐ রাজার প্রাণে,
সামাণ্য দরদে গলে পড়বে মহিমা ঢলে, সোহাগে দরদে তার পানে গোলামেরে ধরে টানে,
হোক সে যেজন, পায়না যা বাদশায় আবার দীনভিখারিরও তা হয় সাধন, হতে পারে সে জীবন মহাধন্য ।
জীর্ণ পাতার কুটিরে,
বর্ষায় ঘরের সব ভিজায় বৃষ্টির পানি পড়ে,
হাড়কাঁপানো শীতে, কত লোকে কষ্ট পায়,
খোলা আকাশের নীচে রাস্তায়, বারোমাস তাদের দিন কাটে রাত যায়,
নদী ভাংগা নীড় হারা, ছিন্নমূল অগণিত ভাগ্যাহত জীবন রণে পেরেশান দিশেহারা মানুষেরা ভাসমান অসহায় ।
দীনজনে সামান্য দান,
হেন আর্ত পীড়িতের সেবা উপকার ও কল্যাণ,
কেউ নাই আর কিছু নাই যার, জগতে এমন অসহায়, যায় যায় যেন হায় তাদের প্রাণ,
কেউ ফিরে নাহি চায়, দেখি যেন তারা হেন কঠিন পাষাণ,
বুঝি সবে ভাবে দায়, যদি ধন কমে যায়, তবে কি ওরে তাই ভাবে সমাজের যত সব বিত্তবান ।
আপদে ও নিদানে পড়ে,
ডানাভাংগা পাখীর মতন দূরন্ত দামাল নিয়তির ঝড়ে,
ঝিলের পারে সিক্ত নয়, যেই মন খাক হয়ে পুড়ে আছে পড়ে খাঁ খাঁ বালুচরে,
কেমনে করিবে দান, কষ্ট যাতনার একটু নাহি আহসান কিবা অবসান,
কেবা তার খবর রাখে ও পায়, কে সেদিকে ফিরে চায়, আকুল হয়ে নিরবে যারা যাচে ত্রাণ।
নিত্য সকল কথায় ও কাজে,
মমতার বাঁশী যেই মরমে নিরবে নাহি বাজে,
দরদী ভাল মানুষেরা কই,
চুপচাপ আপন গৃহকোণ আপনার মান লই,
কেউবা গেছে স্বেচ্ছা নির্বাসনে কেজানে কোন্ ভয়ে লাজে,
কোন্ বিভোরে সকাল দুপুর দেমাগে ভরপুর, অতি কাছে নহে বেশী দূর রাতে ও সাঝে ।
ফুরিয়ে তার সবটুকু জল, তেল, বায়ু, অগ্নিশিখা ও বল,
নাইরে খাঁচাটার খবর,
প্রাণ পাখীটা একবার হলে পর দেশান্তর,
সারাক্ষণ দমেদমে, যাচ্ছে যার দাম কমে, হচ্ছে দুরন্ত দামাল দেহটার রসাতল ।
তা না হতে ওরে,
বিজন মরু প্রান্তহীন প্রান্তরে,
তব গাড়ীটা যদিরে হঠাৎ হয় অঁচল ও বিকল,
যেতেও পারে হঠাৎ থেমে, মরিচা ও গাদ জমে জমে শূন্য হয়ে যাচ্ছে তার আয়ুটা কমে ।
রাখিও স্বরণ, চাহিলে সাধন,
ওরে মন হও তুমি যেবা, থাক যতই বিদ্যা ও ধন,
যার হাতে মরণ, যেদিন দাদনের মহাজন তার সব দান করিবেন হরণ,
পূজা কারে কয়, পূজা মানে আর কিছু নয়, বিশ্বাস শ্রদ্ধা ভক্তি বিনয় মান্যতা ও ভয় তাই দিয়ে জয় করা বিধাতার মন ।
তার চরণে পড়ে,
ভুবন জুড়ে একখানা পূঁজার ঘরে,
সামাণ্য দান, সেতো তার দানেরই তুচ্ছ বিনিময় ও প্রতিদান,
সারা দেহমনে প্রকাশে গোপনে আপনারে করা সমর্পন আর দেওয়া তার কিছু বিসর্জন ।
আবু হকে কহে, ওরে তা নহে মোর বচন,
মহারাজায় বলছে তার, বাদশাহ গোলাম সব বান্দারে করে সম্বোধন,
ঐশী আলোর সকল ভালোর বীজ বপন ও চারা রোপণ,
চাই সত্য বলা, সুপথে চলা, প্রভুরে চেনাজানা ও মানা তার শাসন, তবেইনা হবে তব পূজা সমাপন ।
পর্ব - ০৬
ভিখারি ও বাদশাহ বা গোলাম,
আছে কিবা নাই যার সুখ, ধন, জাত, লম্বাহাত, বিদ্যা ও সুনাম,
নাই ছাড়, কোন ভেদাভেদ এই তার কাম,
মহাবিচারক পাকজাত দিবেন সত্য ও ন্যায়ের পুরষ্কার ও যথা দাম,
নাই কোন অবিচার পক্ষপাত, হক্কের হাকিম হয়না পেরেশান দেয়না তার কোন অবসাদের ঘাম,
করিবেন জাহানের সবার সঠিক বিচার, কারেও কভু করেনা ও করবেনা খাতির আহারে দারুণ ঐ মরণ যমে ।
দেহ ও মনে,
কায়ঃমনে প্রকাশে গোপনে,
পেতে রাজমন পুণ্য সাধনের প্রয়োজনে,
দিয়ে একটু সময়, একটু শ্রম ও একটু ধন বিসর্জনে,
এ জীবন নহে, তা মেনে লয়ে মনে,
কাটিবে আরও ধন, বেশী সুখ-বিলাস ও বেশী ভোগবিনোদনে,
গড়িমসি যার করুণ দশা তার, জীবনের মহাজনের দায় ও দেনার ঐ হিসাবখানা সমাপনে ।
মননে ও গহীন গবেষণে,
সহন, বহন ও জীবনের অনুক্ষণ রণে,
কি যাবে সংগে তোমার, তব আপন ঘরে ফিরে যাবার সনে,
কি লাভ কি ক্ষতি, শেষে হয় কি গতি, কেজানে কোন মতি কি করে দাদনের ঐ মহাজনে ।
কারোবা অদেখায়,
ভারী বোঝাটা তুলে লয়ে নিজ মাথায়,
বেশী রাত হয়ে গেলে ওরে শেষে, অচিন পথে হবে কি উপায়,
যদিরে ভিনদেশী পথিক ভুলে গিয়ে দিক, ঘন আঁধারে তার আপনার পথটা হারায়,
সাধ্য কার মাথা ঝেড়ে দেবে তা মাটিতে ফালায়, অজানায় তার কাঁধ ও ঘাড় হয়ে যাচ্ছে গুজা ।
নামাজ আদায় করে নহে শুধু পাঁচবার,
তা কায়েম করার অর্পিত ও গৃহীত ঐ গুরু দায়ভার,
শেষ হয়ে যায়না সব দায় সব কাজ, ওরে সে ভাবনাযে শুধু বোকার,
আরও কত কাজ ভুলে গেছো আজ, অনাদায় পড়ে থেকে জমেছে তা যেন এক পাহাড়,
ওরে সে দায়গুলি লয়ে, খেলাপী এক অপরাধী হয়ে, ঐ কাফেলার মুসাফির কেমনে হবে দিগন্ত পার ।
অটল অবিচল এক সাচ্চা ঈমান,
নামাজ, রোজা, যাকাত ও হজ্ব - বয়ে টেনে লয়ে মেনে, বিধাতার সকল বিধান,
সব ঘরে ঘরে বিশ্ব জুড়ে সবাই যে বীজের চারা লাগান,
আলো ও ভালোর এমন একটা বীজতলা উঠে গড়ে, দুনিয়ার বাদশায় তাই চান,
তার গোলামে প্রতিধামে, বিনাদামে প্রতিষ্ঠা করে ইনসানিয়াত, ন্যায়বিচার ও দুর্বলের হক প্রদান ।
পূজা হওয়া চাই,
নাই কোন অহং নাইরে বড়াই,
তুচ্ছ নগন্য অধম, সত্য বচন আমার কিছু নাই,
কাঙালের মত নিত্য অবিরত, তার দরবারে গিয়ে শুধু চাই,
সকলই যার করুণার দান কিবা ধার, কি হিসাব দেবো তার কাছে ফিরে যাই ।
এমন কোটি ইজারাদার,
কিছুই নাই যার, সকলই ঐ মহারাজার,
নত হয়ে যেন এক ক্ষুদ্র বিন্দু,
অসীমের কাছে হারমানা ও হারিয়ে যাওয়া অকূল মহাসিন্ধু,
আসল মানুষ, যে হবে খোদার ভক্ত প্রিয় দাস,
পূজারি সে, যে যেমনই হোক তাতে কি যায় আসে, পূজায়ই হয় হবে তার পরিচয় ও ফেল পাশ ।
রাখিও স্বরণ, চাহিলে সাধন,
ওরে মন হও তুমি যেবা, থাক যতই বিদ্যা ও ধন,
যার হাতে মরণ, যেদিন দাদনের মহাজন তার সব দান করিবেন হরণ,
পূজা কারে কয়, পূজা মানে আর কিছু নয়, বিশ্বাস শ্রদ্ধা ভক্তি বিনয় মান্যতা ও ভয় তাই দিয়ে জয় করা বিধাতার মন ।
তার চরণে পড়ে,
ভুবন জুড়ে একখানা পূঁজার ঘরে,
সামাণ্য দান, সেতো তার দানেরই তুচ্ছ বিনিময় ও প্রতিদান,
সারা দেহমনে প্রকাশে গোপনে আপনারে করা সমর্পন আর দেওয়া তার কিছু বিসর্জন ।
আবু হকে কহে, ওরে তা নহে মোর বচন,
মহারাজায় বলছে তার, বাদশাহ গোলাম সব বান্দারে করে সম্বোধন,
ঐশী আলোর সকল ভালোর বীজ বপন ও চারা রোপণ,
চাই সত্য বলা, সুপথে চলা, প্রভুরে চেনাজানা ও মানা তার শাসন, তবেইনা হবে তব পূজা সমাপন ।
পর্ব - ০৭
থেকে মাটির দুনিয়ায়,
দুহাত উচিয়ে ধরে দূর নীলিমায়,
জিতে যেতে চায়, কেউ কেউ তাই পায়, নিজেরে সমর্পন আর উজার করে দিয়ে বিলাই ।
যদিরে মরণের পরে,
শোন তুমি, প্রভু বান্দারে বলে ভর্ৎসনা করে,
খোদার সিপাহীরা তোমারে হাতপা চক্ষু বেধে নিয়ে যায় অচিন ঐ দেশে ধরে ।
যদিরে শেষে সব মিথ্যে হয়ে যায়,
অভিনয়, ছল, ধোকাবাজি ও কৌশল যা করেছিলে এতদিন দুনিয়ায়,
শূন্য হাতে লয়ে মাথায়,
সহস্র অপরাধ, অভিযোগ, গুনাহ ও দেনা-দায়,
রোজ হাশরের আদালতে, যখন হবে অসহায় দাড়িয়ে আসামীর কাঠগড়ায় ।
তুলে দিয়ে সব পাল্লায়,
গুনাহের পাল্লাটা যদিরে শেষে বেশী ভারী হয়ে যায়,
দেখো পুণ্য নাই, কোন পূজা’ই হয়নি কবুল তাই হয়নি লেখা তোমার জমার খাতায়,
গোপন দোষ-ত্রুটি সকল,
যা ছিল নিছকই ছল বা মিথ্যে ও নকল,
প্রকাশিত ও প্রমাণিত হয়ে যায়,
নিতে হবে মেনে সব দায় ও সাজা, হাশরের আদালতে মহাবিচারকের আসে যেই রায় ।
নিখুঁত পূজা হতে হবে তাই,
যেথা কোন গড়মিল কিবা গোঁজামিল নাই,
এখনই সবে ওরে ভাই সচেতন, সাবধান ও তৈরী হওয়া চাই,
যে যাই বলুক ওরে, হবে সাধন কেমন করে, আমরা সবে প্রভুর করুণাভরা প্রসন্ন মনটা না যদি পাই ।
ভাল করে জানা প্রয়োজন,
যত বিদ্যান, ধনবান ও ক্ষমতাবানগণ,
সত্য বলা ও সুপথে চলা, দমেদমে ওরে সারাক্ষণ,
প্রকাশে ও গোপনে শুধু আরাধনা, উপাসনা ও তার গুণকীর্তন,
কদমে কদমে চলায়, সব কাজে ও কথায়ই নাকি হয়রে ঢের পুণ্য সাধন,
হচ্ছে কি সঠিক পালন, নাহলে জানিবে হয়েছে এ সফর বিফল, বৃথা তব এ জীবন,
ক্ষেপে আছে জীবনের সব দান বা দাদনের মহাজন,
মহাবিশ্বটার মহারাজার দেওয়া ঐ অতি সাধারণ কাজগুলি হয়নি বলে সমাপন,
যার দান এ জীবন ধন-জন, যার হাতে আবার হবে মরণ, ভরিছে কি তার মন তোমার পূজা ।
খুলেছে যার তৃতীয় নয়ন,
ঘুণেধরা এ মনটারে ভেংগেচুরে আবার গঠন,
জাগাতে জগতের যত অসচেতন মানুষের অচেতন আত্মা ও দরশন,
সবে বিস্ময়ে হতবাক,
সব প্রশ্নের সঠিক জবাব তারা খুঁজে পাক,
কে ওরে আমি,
কেন দামী হয়েও হইনি দামী,
কে মোরে করে সৃজন দিয়ে মানুষের জীবন ও ধন-জন,
কে সে মহাজন সবার বড় আর, সব ফেলে সব ছিড়ে যার কাছে আবার ফিরে সবে করতেই হবে গমন ।
রাখিও স্বরণ, চাহিলে সাধন,
ওরে মন হও তুমি যেবা, থাক যতই বিদ্যা ও ধন,
যার হাতে মরণ, যেদিন দাদনের মহাজন তার সব দান করিবেন হরণ,
পূজা কারে কয়, পূজা মানে আর কিছু নয়, বিশ্বাস শ্রদ্ধা ভক্তি বিনয় মান্যতা ও ভয় তাই দিয়ে জয় করা বিধাতার মন ।
তার চরণে পড়ে,
ভুবন জুড়ে একখানা পূঁজার ঘরে,
সামাণ্য দান, সেতো তার দানেরই তুচ্ছ বিনিময় ও প্রতিদান,
সারা দেহমনে প্রকাশে গোপনে আপনারে করা সমর্পন আর দেওয়া তার কিছু বিসর্জন ।
আবু হকে কহে, ওরে তা নহে মোর বচন,
মহারাজায় বলছে তার, বাদশাহ গোলাম সব বান্দারে করে সম্বোধন,
ঐশী আলোর সকল ভালোর বীজ বপন ও চারা রোপণ,
চাই সত্য বলা, সুপথে চলা, প্রভুরে চেনাজানা ও মানা তার শাসন, তবেইনা হবে তব পূজা সমাপন ।
পর্ব - ০৮
এসো পূজা করি,
কপালে চরণে পড়ি কি না পড়ি,
প্রভু মনিব ও রাজার ঘরে না করে আর চুরি,
হৃদয় খুলে সব হিংসা, ক্রোধ ও মোহ ভুলে এ পরাণ ভরি,
প্রকাশে নাহয় নাহোক, গোপনে বিজনে সব ছেড়ে সব ভুলে মগন গুজারি,
একাকি কিবা সমবেত হয়ে দলে, ঐ পূজা থুয়ে মূলে, না থেকে তারে ভুলে, সারাক্ষণ দিবস-রজনী ধরি ।
দেখে দেখে সে চুপকরে হাসে,
না ধরে দেয় ছেড়ে, এত উদার ও এত ভালবাসে,
ঐ বিচারক মহাপাকজাত,
নেই কোন কারচুপি, অপ্রতিরোধ্য তার হাত,
আমার ভুবনে না আসিতে গভীর আঁধারের অন্তহীন সে ভয়াল রাত,
আখেরাতে শেষ বিচারে, কেজানে কে জেতে কেবা হারে, সংগে রবে কার ঐ মহাকরুণার সওগাত ।
সংগী হবেনা কিবা রবেনা সে,
মিথ্যা, মন্দ, অন্যায়, অপরাধ, অবিচার ও কোন গুনাহের পাশে,
ছিল যারা বিদ্যান চোখ থেকেও দুখানা,
যত ধনবান, দুনিয়ার সব জুলুমকারী ও অবিচারি কানা,
যদিরে সত্য হয় সুজনের এ বচন,
তবে হয়তো ধন্য হবো কেজানে আমরা হাতেগণা কয়জন,
সত্য কহন, লিখন, পঠন ও বিতরণ সে’ও এক দায়, যদিরে পালন হয়ে যায়, এক অনন্য পূজন ।
হলে জীবনের সবটুকু চেনাজানা,
হবে বিনাদামে আকাশের বিশাল ঐ প্রাসাদ-বাড়ীটা কেনা,
সেইতো ওরে,
মনের ঘরে ঠেসে এঁটে ভরে,
মৃত্যুহীন নাই মাথাভারী ঋন যার দুই জীবনের তরে,
মানুষের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ও অর্জন, যায়না যাবেনা হারায়, কেউ পারবেনা কভু যা করতেও হরণ ।
লয়ে কি কাজ কিবা দায়,
করে অংগীকার স্বেচ্ছায় তুলে নিয়ে নিজ মাথায়,
অ মানুষ হয়তো ছিলনা হুস, এসেছিলে তুমি দুদিনের রঙীন এ দুনিয়ায় ।
এ বিশ্বের যত মুসলমান,
জগত জুড়ে হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদী ও খৃষ্টান,
লভিতেই হবে কেমনে কোথা মিলিবে ঐ তীক্ষ্ণ মহান চক্ষুখান,
মানুষ হতে হলে আবু হকে বলে, অতি প্রয়োজন চাই সে দরশন, জগতের যত আদম সন্তান ।
বিজ্ঞজনে বলে ওরে ভাই,
নাই আর কোনই তার বিকল্প নাই,
ভক্ত গোলাম অনুক্ষণ আজীবন আমরণ তাই,
শুধু তারাই সেরা দেহমনে ঐ চরণে পড়ে থেকে যারা করে শ্রেষ্ঠ ও ধন্য হবার বড়াই ।
রাখিও স্বরণ, চাহিলে সাধন,
ওরে মন হও তুমি যেবা, থাক যতই বিদ্যা ও ধন,
যার হাতে মরণ, যেদিন দাদনের মহাজন তার সব দান করিবেন হরণ,
পূজা কারে কয়, পূজা মানে আর কিছু নয়, বিশ্বাস শ্রদ্ধা ভক্তি বিনয় মান্যতা ও ভয় তাই দিয়ে জয় করা বিধাতার মন ।
তার চরণে পড়ে,
ভুবন জুড়ে একখানা পূঁজার ঘরে,
সামাণ্য দান, সেতো তার দানেরই তুচ্ছ বিনিময় ও প্রতিদান,
সারা দেহমনে প্রকাশে গোপনে আপনারে করা সমর্পন আর দেওয়া তার কিছু বিসর্জন ।
আবু হকে কহে, ওরে তা নহে মোর বচন,
মহারাজায় বলছে তার, বাদশাহ গোলাম সব বান্দারে করে সম্বোধন,
ঐশী আলোর সকল ভালোর বীজ বপন ও চারা রোপণ,
চাই সত্য বলা, সুপথে চলা, প্রভুরে চেনাজানা ও মানা তার শাসন, তবেইনা হবে তব পূজা সমাপন ।
পর্ব - ০৯
যাদের অনেক লম্বা হাত,
অনায়াসে রাতকে করছে দিন আর দিনকে রাত,
দেখায় তেলেসমাতি, করছে সবখানে বাজিমাত,
করে জুলুম অত্যাচার করলো জীবনপাত,
ঘনিয়ে আসা অস্তবেলায়, দিচ্ছে তাদেরে অভিশম্পাত,
তাদের তরে মম বড় আফসোস ওরে, দেখলোনা পেলোনা তারা আলো ও ভালোয়ভরা সোনালী প্রভাত ।
বাঁধা ও বাঁধন টুটে, ছুটে যায় তারা সীমানা ছাড়াই,
করে বিদ্যা, ধন ও ক্ষমতার অপব্যবহার, উদ্ধত স্বেচ্ছাচার ও বাহাদুরিতে নিজেরে উড়াই,
আজও হলোনা হুষ,
শুনেছে বুঝেনি দম ফুরালে ঠুস,
মোখ থুবরে মাটিতে যখন পড়বে তার রঙীন ফানুস,
দেখিবে কুপোকাত হয়েছে তার, সকলই বিলীন শূন্য ও অসার, ছাড়া মাথাভারী ঋন আর কিছু নাই কেউ নাই ।
মহাবীর দর্পে চলে,
বুকটান করে হাত উঁচিয়ে দাম্ভিকতায় কথা বলে,
ধমকে পাছাড় দেখিয়ে হাতিয়ার, সবারে মানায় হার তাদের পোষাক আর রুপের বাহার ছড়িয়ে চমকাই ।
তাদের জানা হয় নাই,
মানুষ হয়েছে কিনা শুধু এইটুকু তাই,
জন্মিলেই মানুষের ঘরে সবাই ওরে মানুষ হয়না ভাই,
মানুষ হতে হয়,
নয়রে এ বচন কভু মিথ্যে নয়,
আচরণ, চলন, বলন ও কাজে বিধাতার আলো ও ভালোটা ছড়িয়ে সাজিয়ে দেখাই ।
স্রষ্টার চোখে শ্রেষ্ঠ হবার,
ঐ গুণগুলি অর্জন হয়েছে কিনা তার,
বিবেকের আদালতে, কবে করবে তারা নিজেই নিজের বিচার,
মানুষ এমন আছে কয়জন সে যোগ্যতা হয়েছে সাধন, পরের চোখে ভাল করে একবার নিজেরে দেখার ।
ধুয়েমুছে এ দেহ-মন,
রিপুর হস্ত-পদে দিয়ে লৌহ শিকল বাঁধন,
দুনিয়ার যত একেশ্বরবাদীগণ,
সেইতো খাটি পূজন ওরে সেইতো পূজন,
আজীবন প্রতিটি কথায় ও কাজে যদি পুণ্য হয় সারাক্ষণ,
যে যেমনে যেভাবে পারে হয়, রাজি-খুশী, পুলকিত ও প্রসন্ন বিধাতার মন,
ঢেলে তার দেহ-মন করবে আরাধনা, ইবাদত ও উপাসনা যে যার নিজের ইচ্ছে মতন ।
কথা শোনা ও মেনে চলা,
মজবুত করে শিরে ও বুকেতে ধরে পাকিয়ে ঐ বিশ্বাসের দলা,
শুদ্ধ করে ও নতুন করে গড়ে মগজ ও মন,
যাই বলো ঈশ্বর গড কিবা প্রভু তার, ওরে ঐ এক বিধাতার সব বিধি-বিধান আর সকল অনুশাসন ।
সহজ হবে সব জানা,
ওরে ভাই তার সবকিছু মানা,
খুলে গেলে একবার, হবেইরে তার সে সাধন,
অন্তরালে থাকা সাত পর্দার তলে ঢাকা তার দেয়া ঐ তৃতীয় নয়ন,
করে বাসনা দমন ও চোখ ও মনের কঠোর শাসন, এমন পুণ্য সাধন পূজারি হোক সবাই ।
পূজার শেষ নাই, নাইরে পূজারির কোন ছুটি,
ধন-জন বিদ্যা ও রুপ কিবা ক্ষমতা কিছুই নহে জীবনের লাঠি ও মরণের সম্বল কিবা খুটি,
পেতে বা নিতেই হবে, দেখবে কবর থেকে উঠি,
সবার ছোট-বড় সকল কাজের শাস্তি-পুরস্কার ওরে যাবেই যাবে জুটি,
প্রভুর সনে জীবনে মরণে, গোলামে যে বাঁধনে বাঁধা কোনদিন তা যাবেনারে আর কভু টুটি ।
বিশ্বজগত ঘুরে এনে তুলি,
চোখের সামনে ছড়িয়ে বিছিয়ে দিয়ে তা খুলি,
হোকতা যেমনই, কারো সহন, বহন, সত্য কহন, পঠন ও লিখনগুলি,
কৃতঞ্জতা বা শোকারিয়া জানানো গোপনে গহীনে দরবারে তার হৃদয়ের ধন্য তোমার হাত দুখানা তুলি ।
হতেও পারে মহামূল্যবান,
যদিরে কভু তা দয়াময় মহান প্রভু করুণায় চান,
আবু হকে বলে, মানুষ হতে হলে, এসে খাটি পূজারির দলে, চাই আরও শিখন ও এ বিষয়গুলি বুঝা ।
মহাসৃষ্টির এ মহাজগতটার,
স্রষ্টা ও প্রতিপালক, ষোলআনা একক মালিকানা যার,
সচেতন বিবেক যা বলে, তা ওরে মিথ্যে না হলে, পূজো পাবার রয়েছে শুধু তারইতো একমাত্র অধিকার ।
হে মহারাজন,
ছাড়া আমার এ নগণ্য বচন ও লিখন,
তোমায় প্রভু দেবার মতন নেই কোন মোর পূজা তেমন,
পাঠালাম দরবারে তোমার,
যেটুকু দেখা ও জানা হয়েছে তাই আমার,
তব সত্যের বিজয় তোলপাড়,
শত মাহিমা মহাবিশ্বময় করিতে প্রকাশ ও প্রচার,
অধম গোলাম তব, আর কোন অবদান নেই যার,
মোখ কই কোন যোগ্যতা নেই, বড় হতে ও বড়কিছু আমি চাহিবার,
তবু আশা করি তব কোটি গোলামের তরে সাজিয়ে রাখা অনন্ত অরুপ চিরমহান পুরষ্কার,
তব এ গোলাম মোহতাজ হে মহাবিশ্বরাজ পুণ্য কাজে নয় লভে তব কোন বিশেষ ছাড়, অসীম অপার ক্ষমা ও করুণার,
তাই দিও প্রভু তুমি তাই দিও, হরষে-পুলকে উথলে উঠা তব বিগলিত মন চাহে যখন যেটুকু যেমন ।
রাখিও স্বরণ, চাহিলে সাধন,
ওরে মন হও তুমি যেবা, থাক যতই বিদ্যা ও ধন,
যার হাতে মরণ, যেদিন দাদনের মহাজন তার সব দান করিবেন হরণ,
পূজা কারে কয়, পূজা মানে আর কিছু নয়, বিশ্বাস শ্রদ্ধা ভক্তি বিনয় মান্যতা ও ভয় তাই দিয়ে জয় করা বিধাতার মন ।
তার চরণে পড়ে,
ভুবন জুড়ে একখানা পূঁজার ঘরে,
সামাণ্য দান, সেতো তার দানেরই তুচ্ছ বিনিময় ও প্রতিদান,
সারা দেহমনে প্রকাশে গোপনে আপনারে করা সমর্পন আর দেওয়া তার কিছু বিসর্জন ।
আবু হকে কহে, ওরে তা নহে মোর বচন,
মহারাজায় বলছে তার, বাদশাহ গোলাম সব বান্দারে করে সম্বোধন,
ঐশী আলোর সকল ভালোর বীজ বপন ও চারা রোপণ,
চাই সত্য বলা, সুপথে চলা, প্রভুরে চেনাজানা ও মানা তার শাসন, তবেইনা হবে তব পূজা সমাপন ।
পর্ব - ১০
এমনও রয়েছে একদল,
ছলে বলে কৌশলে তারা হয় দুরন্ত সবল,
মোখে নয় মনে বিষ, গোপনে এসে বন্ধুর বেশে মারে ছোবল,
নাপেলে আরও বেশী ধন ভোগ-বিনোদন ভাবে এইবুঝি হেরে যাওয়া জীবনই বিফল ।
চরম একজন স্বার্থবাজ,
গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল, যেন রণহুংকার সাজ,
নাহলে কেমনে এমন হয় সেরা চালবাজ, ধোকাবাজ, পলিসিবাজ ও ঘৃন্য জুলুমবাজ,
তা নহে কোন অভিশাপ,
জনমভর সহস্র পরীক্ষার সেযে এক পরিমাপ,
জীবনের নেই মরণ, সেতো শুধু ওরে দুদিনের দুনিয়ার শেষ ধাপ,
আর আখেরাতে হবে শুরু শুধু পাওয়া, কোন পথ নেই পালিয়ে যাওয়া, দুনিয়ার সব কর্ম্মের ফল ও ফসল ।
কেমন আপন তারা,
নির্লজ্জ বেহায়া বেসরম যারা,
ঝোপ বুঝে মারে কোপ, সুযোগ পেলেই করে চুরি,
চটাং চটাং কথা বলে, বাহাদুরি করে চলে, সে যেন এক সিনাজুরী,
নাই বিবেক বিবেচনা সহানুভুতি, মমত্ববোধ অনুভুতি মানবতা কিবা কোন চক্ষুলাজ,
চকচকে পোষাক ও বদন, অতিশয় ছোট তাদের মন, চক্ষু ও দুখানা হাত ।
আনাগোনা ও বিচরণ সে আশায়,
দিতে নয়, শুধু পেতে, খেতে ও নিতেই তারা চায়,
বিনিময় বা প্রতিদান সবে চায় বুঝি নেই তা কারো ধারণায়,
হক বা পাওনা নিয়েও ভাবটা এমন যেন আরও দাবী আরও তারা পায়,
কৌশলে ইশারায়,
তাই যেন শুধু যেচে দাওয়াত নিতে চায়,
সেই আগের মত লুটেপুটে কব্জি ডুবিয়ে খেতে ফের এসে বিছিয়ে বড় পাত ।
নেই কোন দায়,
লোকের ও বিধাতার খাতায়,
হায় অজানায় তারা পা হতে মাথায়,
পানাটা যেমন তেমন জড়িয়ে আছেযে দেনায়,
মাথাটা ঘামেনা, নেই তা দেমাগের ধারণা বা ভাবনায় ।
মানবে কেন, নগদে হাতে না পাওয়া বিনা,
লোকের ও খোদার পাওনা যত দায়-দেনা,
যবে করলেও মানা কিবা কান্নাকাটি কেউ তা আর শোনবেনা,
সব পুণ্য দিয়েও তার, কেজানে তখন শোধ হবে কিনা তার দুনিয়ার দেনা,
যাকিছু সম্পদ-ধন সেতো এখন সব রয়ে গেছে দুনিয়ায়, শূন্যযে তার হাত দুখানা ।
আর নেই ক্ষমা, সে আশা করোনা,
বন্ধ হয়ে গেছেযে খোদার করুণার দুয়ারখানা,
বলো তাতে কার কি আসে যায়,
ঠিক এমনই কঠিন ছিলেযে তুমি দুনিয়ায়,
তুমি হয়ে গেছ বলে আজ নিঃস্ব, দেউলিয়া ও অসহায়,
কেউ দেবেনা তুমি আর পাবেনা সামাণ্য ধার, কিবা কোন ছাড় খোদার করুণায়,
ওরে চতুর ধোকাবাজ, তুমি ভুলে গেছ বলে কিবা করিলেও অস্বীকার সব মিছে হয়ে যাবে তা ভেবোনা ।
কি মূল্য ওরে,
বোকার ঘরে ও বাহিরে করে,
এত রসনা ও শত বিলাস বাসনার আয়োজন ও সাজ,
কেমনে ভুলে গেলো তাদের ঐ কাজ,
বহুদিন গত হয়ে গেছে, তবুও সে স্মৃতি কেন বলো মুছেনি আজ,
না হলে রাজার কাজগুলি শেষ ও ঋন পরিশোধ,
করে বিদ্যা, ধন, অঁচল বল ও ক্ষমতার বড়াই জগতের যত মূর্খ ও নির্বোধ ।
ঐ বিচারক মহাপাকজাত,
নেই যেথা কোন অবিচার পক্ষপাত,
যত মজলুম ও জুলুমবাজ কিবা অত্যাচারী রাজ,
পাবে সবাই তার হক্, সঠিক শাস্তি-পুরস্কার যে যা প্রাপ্য ও মোহতাজ,
দিতে যেথা হয়না নালিশ কিবা চাহিতে কোন বিচার, মাথার উপর ঝুলছে অদেখা ভয়ংকর ঐ আসমানী বাজ ।
লওহে মাহফুজে মানুষের দুনিয়ায়,
অক্ষয় দলিল ও প্রমাণ হয়ে অনন্তকাল রবে তা সুরক্ষিত হেথায়,
জীবনের যত ছোট-বড় ও মন্দ-ভাল কাজগুলি সব আপনা হতেই তাতে লেখা হয়ে যায়,
কভু তা মুছে নাহি যাবে যায়, মহারাজার ঐ মহাআদালতের এইতো বিধান ও এমনই রেওয়াজ ।
রাখিও স্বরণ, চাহিলে সাধন,
ওরে মন হও তুমি যেবা, থাক যতই বিদ্যা ও ধন,
যার হাতে মরণ, যেদিন দাদনের মহাজন তার সব দান করিবেন হরণ,
পূজা কারে কয়, পূজা মানে আর কিছু নয়, বিশ্বাস শ্রদ্ধা ভক্তি বিনয় মান্যতা ও ভয় তাই দিয়ে জয় করা বিধাতার মন ।
তার চরণে পড়ে,
ভুবন জুড়ে একখানা পূঁজার ঘরে,
সামাণ্য দান, সেতো তার দানেরই তুচ্ছ বিনিময় ও প্রতিদান,
সারা দেহমনে প্রকাশে গোপনে আপনারে করা সমর্পন আর দেওয়া তার কিছু বিসর্জন ।
আবু হকে কহে, ওরে তা নহে মোর বচন,
মহারাজায় বলছে তার, বাদশাহ গোলাম সব বান্দারে করে সম্বোধন,
ঐশী আলোর সকল ভালোর বীজ বপন ও চারা রোপণ,
চাই সত্য বলা, সুপথে চলা, প্রভুরে চেনাজানা ও মানা তার শাসন, তবেইনা হবে তব পূজা সমাপন ।