পাঠ-০১
সে এক ক্ষুদ্র বাতিঘর,
তীক্ষ্ণ তার আলোর ছটা মহাবিস্ময়কর,
মুগ্ধ করা ভালোয় ভরা চির মনোরম ও মনোহর,
গোটা বিশ্বটারে আজও সহস্র বাহারে রেখেছে ধন্য করে অনন্য পসর,
নগন্য নয়, যদিও সাধারণ অল্প পাঠ, সে এক বিশাল আলোর মাঠ, আমার পড়ার ঘর ।
এসো মিতালি করি,
মিলেমিশে একসাথে বসে সবাই পড়ি,
বেশী সময় নয় ওরে, নিয়মিত শুধু তা একঘরি,
বন্ধু কিবা বোন-ভাই, একে অপরের হাত দুখানা টেনে ধরি,
আমরা চাহি কেউ যেন নাহি, নিদানে আপদে বিপাকে বিষাদে কভু যায়গো পড়ি,
বসতঘর পড়ারঘর একটাইতো ঘর, এক পরিবার তবে কেন এমন হয়, যেন সবাই সবার পর ।
বিশ্বাস করো সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়,
বলো কজনে জানে চিনে, তার নাম ঠিকানা ও পরিচয়,
এক মহা পাঠশালা,
নাই তার কোন দুয়ার জানালা,
দিবানিশি সারাক্ষণ আজীবন তা চিরখোলা,
মহাবিশ্ব প্রভুর,
এক ঈশ্বর আমার গুরুর,
শান্তির নীড় এক পরবাস পরম মধুর,
গোলাম ও প্রভুর এক ঘরেতে বাস তবু কেন এত দূর,
এক সূতায় বাঁধা মমতার, জগত জোরা তার আকাশ ও মাটির নিবিড় একতার ঐ সে পড়ার ঘর ।
অনুভবে ও চেতনায়,
আত্মার অচেতন পিপাসায়,
গহীন ও অসীমের তীক্ষ্ণ আলোক ছোয়ায়,
অতিশয় মধুর,
মনেহয়, আসলে তা নহে দূর,
অরুপ শোভা আর পরম সৌরভে কানায়কানা ভরপূর,
মিথ্যা ও মন্দের ঘের,
হেথা কেনরে মোহ ও মায়া যেন পূরো এক সের,
হলোনা তার ভেদ জানা, কেমনে জানিব আমিযে কানা, দুদিনের ঝামেলার বেড়াজালে কেন এ সফর ।
যারা হেথা ভর্তী হয়,
নিয়মিত একটু পড়েই পাশ করে মস্ত ডিগ্রী লয়,
পিএইচডি – ডক্টর অব হাইয়েষ্ট ফিলোসফী বুঝি হয়ত তারেই কয়,
চক্ষু ফুটে মহাজ্ঞানী হয়, আকাশ ও মাটি মহারাজার সৃজন খাটি তা চষে তারা করে জয়,
তারাই আসলে আসল মানুষ হয়, মুছে যায় তার মহাজনের সব ঋন, মন দিয়ে অল্প কিছুদিন পড়ার পর ।
পাঠ-০২
ঐ পড়ার ঘরটাই ওরে আমার,
আমি এক নগন্য অধম ছাত্র হয়ে রয়েছি যার,
লেখি আর পড়ি, নিরবে বসে বিচরণ করি গহীনে ও অসীমে তার,
সবাই বলে আমি নাকি ঠকেছি,
বারবার প্রশ্ন করে আমারে শুধু বিব্রত করে আমি কি পেয়েছি,
বিবেক ভাবেনা কেন এমনই ভোতা হয়েছে যেন, রাজা-প্রজা কার লাগি কবে আমি কি করেছি,
ঐ পড়ার ঘর পাঠশালার,
যখনই যারা ছাত্র হয়েছে একবার,
আজও কারোই কভু ওরে হয়নি বা হয়নাতো হার,
যারা কানা দেখতে পায়না, নেই আয়না হয়নি দেখা তাই বদনখানা তার,
হয়নি যার আপনারে চেনাজানা, কেমনে দীক্ষা লই বলো তার শিষ্য হই, কি মূল্য তার ঐ শিক্ষার,
বিশ্বজোরা ঐ পড়ারঘর পাঠশালাটার, নেই মানা চির খোলা দ্বার আসা-যাওয়ার, সে যে চির অবিনশ্বর ।
জমিনে তার বিশাল বিছানা পাতা,
ঐ বইয়ের পাতাগুলি, আকাশে ছড়ানো রয়েছে খুলি, আবার ওটাইযে তার লেখার খাতা,
লেখাপড়ার ইচ্ছা যার, আছে তেষ্টা সামাণ্য চেষ্টা ও বাসনা শেখাজানার, নাইবা থাকুক তার ধন কিবা পিতামাতা,
আকাশবাণীর পাঠ বা ঐ পড়াগুলি,
চুপচাপ একটু বসে, কখনও কেউ দেখলোনাতো যতনে খুলি,
কোন সে বিভোর নেশার ঘোরে, রইলো ভুলি পিছন ফিরে, নিজেরে বঞ্চিত করে হতে সুধা চিরন্তন ঐ চির সুন্দর ।
ওরে হেথা ভর্তী হতে,
কিবা ছাত্রের খাতায় নাম লিখাতে,
কোন টাকা লাগেনা, মহাজনের মানা, ফ্রি করে দিয়েছেন তা পাকজাতে,
মন মনন ও মেজাজটা ঠিক থাকে যাতে,
মেধা মগজ গবেষণ ও দরশন যেন বিকশিত হয়ে চৌদিকে মাতে,
পড়াশোনাটা টেরই পাবেনা, নাই পেরেশানি তাড়না, চলবে তা একটানা দিনেরাতে,
অজানায় দমেদমে, কেউ বেশী কেউ কমে, যখনই আচমকা আসুক যমে, নাই কোন তার ক্ষতি বা ভয়-ডর ।
আমার সংগে চলো ভাই,
গিয়ে মোরা ঐ কাফেলায় নাম লেখাই,
দলবেধে হরষে মেতে আলোয় ভরা ঐ পাঠশালে যাই,
চড়ে হাওয়াই রথে কোন ক্লান্তি নাই,
কিবা হেটে চলার একটু ধকল যার, নিয়ে যায় পথ দেখাই,
আসা ও যাওয়ার ঐ পথে পথে মানিক রতন যেথাই যেটুকু পাই,
কোন দীনতা নাই, দেখা হলে সবারে তা দেবো বলে ও দেবোযে বিলাই,
যে যেদিকে যাকনা চলে, সে রতন এমনই ধন, দিলেও ঢেলে কভু কমেনাতো তাই,
বলেছেন অন্তর্যামী, হবে খাটি সোনা হবে দামী, রবে তা অবিনশ্বর, তুমি আর তোমার ঐ মাটির অন্তর ।
পাঠ-০৩
এক নগন্য অধম,
ওরে সবকিছু যার কমকম,
বিনয়ী অনুগত ও বিশ্বাসী যে গোলাম,
হবে উত্তম, সেরার চেয়েও সেরা অতি বেড়ে যাবে তার দাম,
যখন সব হারাবে, তারচে অনেক বেশীই পাবে, ভুলে যাবে নিজ পরিচয় ও নাম,
বলছি আমি বৃথা যাবেনা, একটি ভালোকথা, ক্ষুদ্র ভালকাজ ও কভু ঝড়ানো তোমার একফোটা ঘাম,
তুমি ওরে জীবনে যখন,
প্রতিদিন প্রতিক্ষণ করেছ রণ আর রণ,
একটা আরকেটার পরে,
বড় বড় সব ঢেউগুলি দুহাতে ঝাপটে ধরে,
পাশে তখন ছিলনাতো কেউ কেটেছ যখন হাবুডুবু জলেতে সাঁতার ও করেছ শুধু সবর আর সবর ।
মেনে রাজার ফরমান,
কত সাধ বাসনা প্রয়োজন করেছ কোরবান,
তেজে সুখ ও আরাম, অসহায় দীনজনে করে সামাণ্য কিছু দান,
ওরে তব ঐ ত্যাগ তা ক্ষুদ্র হলেওতরে বিধাতার কাছে ছিলযে বিশাল ও সুমহান,
মিথ্যে নয় ওরে তা মিছেও হবেনা, ঐ তালিকায় তুমিও রয়েছ হয়েছে যারা মহারাজার খাস মেহমান,
তা বিশ্বাস কার হলো কি হলোনা,
ওরে তাই লয়ে নেই মোর কোন মাথাব্যথা কিবা ভাবনা,
সেইতো ছিল আমার কাজ ও দায়, আমি করিলাম তা প্রচার ও বলে গেলাম সবারে ঐ সে খোশ খবর ।
যারা ধন ও ভোগেতে বিভোর,
আর তারা দুধ বেঁচে আপনি যেচে হয়েছে মন্দ ও মদখোর,
মোহ ও মায়ার যাদুর নেশায়, দুলছে পরম মজার এক সুখের দোলনায়, কত বিবেকের চোর,
করেছি অনেক ডাকাডাকি,
আর কত তাদের লাগি রাত জাগি বসে থাকি,
আমিযে ওরে রাজ পেয়াদা ঢাকি,
ঐ কাজটা কেমনে আমার বলো বাকীতে ঝুলিয়ে রাখি,
বলেছিতো আর বলবো কত,
করবোনা আর তাদেরে জোর, চলুক তারা নিজেরই মত,
সে ইতো দেবে তার মাসুল ও খেসারত, যার অপরাধ ও ভুল খতিয়ানে রয়েছে যত,
পাঠশালার ঐ পড়ার ঘর,
দুই জীবনের পথগুলি সব করবে পসর,
হবে সবারই জানা, যত অবুঝ নির্বোধ পাগল ও কানা, কি মধু ও সুখ-নেয়ামত রয়েছেযে তার ভিতর ।
পাঠ-০৪
সেতো ওরে আমার কথা নয়,
যারা বিধাতায় কিবা মরণে বিশ্বাসী, হয়েছে তার সনে জানা-পরিচয়,
অবিশ্বাসে অনেক দূর,
বিশ্বাসে গোলামী ও নির্ভরতায় হয় সহজ ও মধুর,
একটু মিনতি, মুখাপেক্ষিতা ও বিনয়, ক্ষুদ্র আশা ও একটু চেষ্টাতেও হয় স্বর্গ বিজয় ।
জানো কি সেযে তোমার অতি কাছে,
সংগী হয়ে সংগে,
বেশী কষ্টে ও অল্প রংগে,
প্রভু মনিব এক মহারাজা নিরাকার, শতকোটি তার গোলামের দুয়ারে দাড়ায়ে আছে ।
মহান দাতা ও প্রভু হয়ে হায়,
ভিখারীর মত এসে গোলামের কাছে কি সে চায়,
জানিতে চাহিলে তা হানা যায়,
জানতেই হবে ও এই জানাটা, সব গোলামের মাথায় হয়ে আছে তার দায় ।
আহা কত দয়ালু ও করুণাময়,
চিরসত্য বয়ান, আমার কথাতো মোটেও মিথ্যে নয়,
দুনিয়ায় যারা দূর্বল অক্ষম ও অসহায়,
যে খোদায় করে সৃজন, করছে লালন-পালন ও খাওয়ায় পরায়,
কেউ পড়ে গেলে, যেন হাত ধরে টেনে তুলে, তাদের ভার বয়, কষ্টেরও ভাগ নিতে চায় ।
যত খেলাপী ঋনদার,
অপরাধী আসামী পাপী ও গুনাহগার,
দেখিবে মরণের পর,
বন্ধ হয়ে গেছে সব প্রার্থনা ও পূঁজার ঘর,
আর ছিল যার করুণা অপার, এত মায়া-মমতা, দরদ ও আদর,
জীবনের ঐ বিধাতায় মরণে কত অচেনা, কোন আরজি-মিনতি আর শোনবেনা, পর নিষ্ঠর ও ভয়ংকর ।
প্রভু নিচ্ছে তার সব গোলামের খবর,
কেউ না যেন হয়ে রয়, সেও হতে চায়না তার কোন প্রজার পর,
আবু হকে কয়,
তা কারো বিশ্বাস হয় কি নাহয়,
সবে যেন তার আপনার, এখনইতো সঠিক সময়,
মহাজনের অনাদায় ঐ বকেয়া দায়-দেনার হিসাবখানা ঠিক করে লয়,
কেজানে বিনা নোটিশে, কখন হঠাৎ পড়বে এসে, অদেখা অচেনা দস্যুর বেশে নির্মম মরণ ঝড় ।
কত কাজ ও কত দায়,
পড়ে আছে অনাদায় অনাদরে অবহেলায়,
তা যার অজানায়, সে কেমনে আবার ওরে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হতে চায়,
আসল মানুষ হওয়া আর, প্রিয় হয়ে পাওয়া খোদার মহান পুরস্কার, সে কিরে সবে পায়,
এত অনায়াসে বিনাদামে, কিবা বিনা কোন বড় ভালকামে, তা কিরে কভু কোথা পাওয়া যায়,
দুহাতে শক্ত করে,
ওরে তার ঐ রশিটা ধরে,
অচেনা সব ঘাট হতে চাওকিরে তোমরা কেউ পার,
যখন তুমি একা, শূন্য তোমার দুহাত, নিঝুম গহীন রাত ও যেথা গভীর অন্ধকার,
আবার সামাণ্য বিশ্বাস ও মান্যতায়,
হতে পারে কথা মিথ্যে নয়, একটু ভয় ভক্তি বিনয় নির্ভরতা চেষ্টা ও আশায়,
কত অধম গোলাম ছাড় ও পার পেয়ে যায়,
বিশেষ তার করুণায়, শুধু একটি বচন, একটি কামে, কিবা শুধু এক সিজদায়,
তার অপার কুদরতি ইশারায়,
যদি সে একবার ওরে খোশ হয়ে যায়,
হয়ে বিধাতার ভক্ত গোলাম আর, যত অধম ও অসহায় দুনিয়াতে তার, বিশ্বাসী ও প্রিয় অনুচর ।
পাঠ-০৫
এ যুগের মানুষ হয়েছে এমন,
পড়তে বা শোনতে চাহেনা যেন তাদের কারো মন,
ভাবে অনেক পড়েছি অনেক শিখেছি আজীবন, আর কত, আর কি শিখব এখন ।
যদি কোন মনোযোগী শ্রোতা কাছে পায়,
কেউ কেউ আছে কাজে নাহোক কথায় পটু, শুধু তারা জ্ঞান দিতে চায়,
ক্ষুদ্র জানায় জানিনা কেমনে মানুষ, আকাশের সোপান ও সাগরের তলটা খুঁজে পেতে চায় ।
যাই হোক ওরে মন,
ঐ পড়াগুলি হলে তব সমাপন,
পরম সুখের ঘুমে তুমি হয়ে যাবে অচেতন,
জানবেনা কেউ তা, নিজেও টের পাবেনা তুমিযে কখন,
তবে জানা হবে মন – কেন নশ্বর এ জীবন ও সাজানো জগত ভুবন ।
তারে ছাড়া তুমি ও এ মহাবিশ্ব,
কত মূল্যহীন, অসহায়, কত অঁচল ও নিঃস্ব,
তুমি কে, এ জগতে কেন এসেছ আর,
কবে কি করেছ কার কোন সেবা কিবা উপকার,
রাজা-প্রজার হিসাবটা চাওয়া-পাওয়ার, যার দান কার সৃজন ও কতযে তা মনোরম ও মনোহর ।
নেই এখন আর সেই, বদলে গেছে দিন,
চতুর মানুষগুলি তার সীমানার বাঁধন খুলি, হয়েছে চটকদার বাহারী রঙীন,
রাজ খতিয়ানে হায়, অদেখা ও অজানায়, বাড়ছে দিনে দিনে মানুষের ঋন ।
সাবাস, অ জগতের মানুষ,
বিদ্যানরাই দেখছি ওরে প্রকাশ্যে এখন তারা খায় সুদ-ঘুষ,
শুনেছি সেকথা লক্ষবার,
হারামে নাকি কোন আরাম নেই আর,
উন্নতি আছে, তবে নেই রহমত, বরকত ও সাফল্য-বিজয় তার ।
তার কি কারণ ও কি উপায়,
দেয়না ছেলেদের বিয়ে ঘরে আছে বলে ঐ দায়,
বাবামার চোখের দেখায়, ঘরেঘরে কুমারী মেয়েগুলি বুড়ো হয়ে যায় ।
হলে হারামের রোজগার,
তিলেতিলে ঘুণে খায়, গহীনে গোপনে করে দেয় ছারখার,
বলো তবে সে সাধ্যটা কার,
ঠিকই হলে তাই, কে ঠেকাতে পারে নানা অবক্ষয়, পরাজয় ও পরিনতি তার ।
কার কয়টা বাড়ী, কটা প্লট ও সোনা কয় ভরি,
কতগুলি শাড়ী আছে কার, বোঝাই কয়খানা দামী আলমারি,
ব্যাঙ্কে নগদ টাকার পাহাড়,
চমৎকার সে কথার ঢঙ ও তার রঙের বাহার,
এসব বিষয় তবে, কেন আসেনা ঐ মজলিশের আলোচনায়,
কার স্বামী কত বিদ্যান, কি চাকরী করে ও কত বেতন পায়,
যদি দেখা হয় শোনা ও জানা যায়, বিবিসাবেরা মিলিত হলে খোশ গল্পের আড্ডায় ।
লেখাপড়া শিখে এ কালের সবায়,
আগের মত যেন এখন আর, আসল মানুষ কিবা জ্ঞানী হতে কেউ নাহি চায় ।
কিবা সন্তান কিবা বাবামায়,
কেমনে দ্রুত ও সহজে সোনার হরিণটা পায়,
সুখের ভাবনায় পড়েনা মরেনা, সুখপাখীটা নাহি খুঁজে বেড়ায়,
এখন শুধু চাওয়া তাদের, বাসিন্দা হবে তারা প্রাসাদের, কেমনে বড় হওয়া যায় ধনে ও ক্ষমতায় ।
খুঁজে দেখো পরের নয়, আগে তব আপনার দোষ,
নিমেষে হতে পারো তুমি ও এ বিশ্ব বিনাশ, হলে তার একটু রোশ,
কারচুপি প্রতারণা অভিনয়, তবু অক্ষয় জয় জয়, সবে মুখে পড়ে সোনালী মুখোশ ।
অপরাধীরাই দেখি বিবাদীকে শাসায়,
টাকা আর ক্ষমতার বলে দুর্বলেরে বুড়োআংগুলটা দেখায়,
ধনবান, পন্ডিত ও ক্ষমতাবানরা’ই দেখি বেশী চায় ও হামেশা’ই বেশী পায় ।
আহারে সোনার মানুষ,
উড়ছে আকাশে হয়ে সে এক রঙের ফানুস,
যেতে হবে অবশেষে,
সব ছেড়ে সব ফেলে অচেনা আপন দেশে,
মাটির জগতে এ বসতি তোমার দুদিনের পরবাস,
যেজন করেছে রাজার বানিজ্যে সুমতি, আলো ও ভালোর ক্ষেতি-চাষ,
সেইতো সেরা সেইতো উত্তম,
হোকনা ও থাকনা সবকিছু তার অতি কমকম,
বেঁচে থেকে দুনিয়ায় ও মরে গিয়ে আকাশে হায়, হয়ে মাটির মানুষ নাহয়ে কেউ ছাই, পোড়াকাঠ বা পাথর ।
থরে থরে সাজানো আছে,
মূল্যবান জেনে ওরে নাওনা টেনে কাছে,
অবহেলায় অযতনে, তার উপর কত ধূলিবালি পড়িতাছে,
ঐ বইগুলিতে মূল্যবান কত পাঠ,
গুদারা ঘাটে কিবা চায়ের দোকানের অহেতুক রসের চাট,
ছেড়ে আসো হাতে নিয়ে অল্প সময়, রেখে ঘরকাজ লাভক্ষতির বেঁচাকেনা ও বাজারহাট,
কে আপনি আপামনি ও ভাই,
দেখিলাম পায়চারি করছেন, বললাম আমি তাই,
মনেহয় চঞ্চল অস্থীর, পেরেশানি ও তাড়না আছে, তবে কোন কাজ নাই,
কাটবে অলস সময়,
প্রসন্ন হবে বিষন্ন মন আলো ও ভালোয়,
যাদের বেশী সহন, ওরে অল্পতে মন কখনো নাহি বিরক্ত হয়,
আসুননা ভাই একটু বসুন, সামাণ্য পড়ুন,
হাতে না ধরে, কিবা না পড়ে, কেমনে বুঝিবেন কিবা তার মান ও কত গুণ,
ক্ষতি নেই লাভই বেশী হয়, নহে তা সময়ের অপচয়, নিশ্চয়ই সঞ্চয় ও ঢের বিজয় যদিরে আপনি হোন অবসর ।