(ওরে ভাই কাব্যের পরিসর বা আকার দেখেই ক্লান্ত হয়ে যাবেন না যেন । কাগজে-কলমে অংকিত বৈচিত্রময় জীবনের পাঁচমিশালী গল্প-চিত্র একটু বড়তো হবেই । পঞ্চরসের জীবনের গল্পের স্বাদ পেতে হলে একটু সময়তো দিতেই হবে । একবার আমার বড় কবিতা পাঠ করেই দেখুননা - হয়তো কখনও তা মনেই হবেনা বিরক্তিকর বা সময়ের অপচয় । বরং তারপর কি হলো, এমন একটা প্রবল জানার অন্বেষায় হয়তো আপনাকে টেনে নিয়ে যেতেও পারে তার প্রান্ত অবধি । কিছু পেতে হলে ভাই কিছু দিতেই হয় - এ প্রথাতো চিরন্তন বিনিময় ।
আসুন, আমরা সবাই আরেকটু শিখি ও শিখাই । নিজে ভাল কথা বলে ও ভাল কাজ করে সুখ ও সফলতায় জীবন ভরে অন্যকে তার প্রমাণ দেখাই । মানুষের জীবনে এমন কি সমস্যা আছে যার কোন সমাধান নাই । যা এ সমাজে কিবা মানুষের কাছে নাহি পাই, চলুননা তবে তার জন্য আমরা স্রষ্টার অসীম অপার করুণার দরবারে যাই ।
মোহ, আবেগ, মিথ্যা বলার প্রবণতা ও ক্রোধ এগুলোতো মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি ও স্বভাব । তবে সীমার মধ্যে বা নিয়ন্ত্রণে থাকলে তা মারাত্বক ক্ষতিকর বা তেমন দোষণীয় কিছু নয় বলে ধরে নেওয়া হয় । আসুননা আসলে, কি ঐ মেয়েটির দোষ-ত্রুটি ও ভুল তাহা ভাল করে জানি এবং সবে মিলে ভাই তাকে বুঝাই একটুখানি । খুঁজে দেখি ও করি সন্ধান, কিসে তার সমাধান কিবা কেমনে সে ঐ কষ্ট হতে সহসা সহজে পেতে পারে ত্রাণ ।
একটু সময় দিয়ে হয়ত আপনিও পেতে পারেন এমন কিছু মূল্যবান পাঠ যা নহে বিজন বিরান তৃণহীন মাঠ বরং যেথা ছড়ানো এমন কিছু সোনালী বাণী যা হয়ত রাখবে ধরে কেউ যেন না যায় কর্দমাক্ত ড্রেনে পড়ে, অধিকন্তু আলো ও ভালোয় তাদের আনবে টানি । একবার তা পরখ করতে গিয়ে নাহয় একটু ঠকলেনই তাতে কিইবা এমন আসে যায় । ক্ষুদ্র এক টুকরো রতনের আশায় কতজনে ইতো বিশাল ছাইয়ের টাল ঘাটে আর তা উড়ায় । আপনিও নাহয় কৌতুহল বশতঃ কিবা অনুসন্ধিৎসু হয়েই সেই প্রত্যাশায় দুচারটা ছাইয়ের টাল একটু ঘেটে দেখলেন ।)
আলেয়া পর্ব
এসো তারে ডেকে আনি,
তার মোখেই নাহয় ঐ পাঁচালি শুনি ও জানি,
আহা কে ঐ মেয়েটি আর, বদলে দিই তার অগুছালো ঐ কষ্টের জীবনটি ॥
কল্পিত নয় বাস্তবিক,
অন্তরালে থাকা ষোলআনা সত্য সঠিক,
অঁচল নয় তবে হয়ত কোন বিফল জীবন হারানো তার আসল দিক,
চোখ থেকেও যারা কানা দিনের আলোতেও দেখতে পায়না, জীবন জুড়ে শুধু ভুলেরই হিড়িক,
একখানা করুণ গল্প,
দিবে প্রকৃত দরশন হলেও তা অল্প,
সুখ শান্তি ও সফলতার সহজ উপায় ও সুন্দর বিকল্প,
কাগজে কলমে অংকিত ছবি, জীবনের সহস্র রুপের এটিও একটি ॥
কেমন মা তার,
আছে ঢের রুপের বাহার,
বিদ্যা রুপ ও বিত্তধন ছাড়াও সবার,
জীবনে আরও অনেককিছু হয় প্রয়োজন দরকার,
মা তার করে তাকে সদা সমর্থন,
যত তার দোষ-ত্রুটি ভুল অপরাধ ও অন্যায় আচরণ,
মা তার প্রিয়জন,
আর বাবা হলো তার দুষমন,
একেবারে উল্টো, তাই সে কনের চক্ষুশূল,
এত চেঁচামেচি চিৎকার, ভাংচূর দূর্ব্যবহার, তবু নেই তার কোন ভুল,
নেই সামাণ্য ভক্তি, শ্রদ্ধা, মান্যতা ও বিনয়,
বাবা বলেই যারে করেনা স্বীকার, কোন হার মানা নয়,
গুরুজনের দায় সে বিশ্বাস ও নির্ভরতায় বিধাতার করুণায়ইতো সব হয়,
জানিনা ঐ বাপ তার কেমন মানুষ, এই উগ্র অবাধ্য মেয়েটি আহারে যার বেটি ॥
লম্বা ছিপছিপে গড়ন,
দীর্ঘ কালো চুল ফর্সা বরণ,
সহাস্য বদন সুন্দর তার দুটি নয়ন,
পরিস্কার আকাশ হঠাৎ যেন বজ্রপাতের গর্জন,
শোভন কথোপকথন ও বচন,
চমৎকার তার ব্যবহার ও আচরণ,
শুধু হঠাৎ হঠাৎ যার জাগরণ কিবা আগমন,
ঐ ক্রোধ ক্ষোভ জেদটা সে পারেনা করিতে সংবরণ,
তার বিস্ফোরিত ঐ রাগ ও অগ্নি-তেজ,
সহসা গজায় যেন অসংখ্য বাহু অনেক ডানা ও বহু লেজ,
বুঝিনা ভেদ কেন তার এত খেদ, কোথা হতে আচমকা কেন ছুটে আসে এটি ॥
তার দাঁতে বিষ,
বয়স তার হয়েছে ত্রিশ,
কোথা হতে এই রাহু হঠাৎ আসে ইস,
বজ্র কন্ঠ উদ্ধত চিৎকার যেন তৈয়ার ঢাল-তলোয়ার সে এক তেজস্বী রণ মূর্তি,
রুক্ষ ভাষা ও বচন, যেন বাজে ঝনঝন, নিমেষে করে বিলীন সব হাসি-খুশী তামাসা ও স্ফুর্তি,
হৈ চৈ ঠাসঠুস ভাংচূর অকারণ,
অতিব তুচ্ছ বিষয়, নহে তা বিতর্ক কিবা ঝগড়া হবার মতন,
দেখেনা ফিরে কারো পানে, কোন কথাই তার যায়না কানে, সে তখন কিছুই করেনা শ্রবণ,
কেউ বলে হয়েছে তার মানষিক রোগ,
কয়দিন পরে হবে আধপাগল হলে তাতে সামান্য আরকিছু বাড়তি যোগ,
কেউ বলে না, হয়ত তার উপর,
যাদুমন্ত্র তাবিজ-তুমারের বলে জ্বীন এসে বুঝি করে ভর,
কে করিল হায় এমন দুষমনি ক্ষতি, হয় হেন ডাইনী যেন এক দস্যুরাণী সবাই অচেনা পর,
পানিপড়া খায় তবু খোদার ভরসায় তার কালামের বরকতে ও করুণায় ভালো হয়ে যাবে হয়ত দেমাগের ঐ ঝড়,
হক্কের হাকীম হে পরওয়ার দেগার,
তুমি ছাড়া অসহায় দূর্বল ও অক্ষমের কে আছে আর,
তুমি ঐ অনিষ্ঠকারীর করিও নায্য বিচার মোট তার প্রাপ্যটার অর্ধেক শাস্তি দিও এই দুনিয়ার উপর,
তুলকালাম কান্ড যত তৈজস ভান্ড ঘরের সকলের সব কাজ এলোমেলো শান্তি পন্ড, যেন সবারে এখনই সে ঘর থেকে তাড়াবে ঝেটি ॥
অতি কাছ থেকে আমি দেখেছি তারে,
এভাবেই সে জেতে ঘরে, কারো কাছেই কভূ সে নাহি হারে,
সবাই দর্শক শ্রোতা অসহায়,
নিরবে ফেলফেল করে রহেযে তাকায়,
কে আছে এমন বুঝাবে তারে কিবা নেবে তার ঐ দায়,
কি লাভ হয় নাকি শুধু পরাজয়, কেজানে কতটুকু সুখইবা তাতে সে খুঁজে পায়,
জানিনা কভু হিসাব করে দেখেছে কিনা, নাকি কোন প্রাপ্তি বিনা ফেলিছে সে সকলই হারায়,
তবেকি সে ওরে কোন সন্ত্রাসী রাজার বেটি লোকে আমারে প্রশ্ন করে কেবলই শুধু তা জানিতে চায়,
সবারে শুধুই যেন সে ধমকে পাছাড়ে, ভাংবে কোমড় হয়ত এখনই এক আছাড়ে, ভীমের বেটি সে নামটি তার কেটি ॥
করেনা ঘরের তেমন কোন কাজ,
খিটখিটে ব্যবহার, যেন সে ই এই ঘরের রাজ,
কোনদিন ধরলেও, তা হবে তার ইচ্ছেমত যেই কথা সেই কাজ,
যেমন ইচ্ছে কিবা যতক্ষণ খুশী যত, কেউ কিছু বললেই হয় বজ্রপাতের আওয়াজ,
সবারই সাবধানতা কিবা ঐ একই ভয়, যেন সে ক্ষিপ্ত না হয়, সদা হয়ে রয় তার উগ্র ক্ষিপ্ত মেজাজ,
মধ্যবিত্ত শিক্ষিত ভদ্র পরিবার,
ঘরে কোন কাজের লোক নেই, ঘরে বৃদ্ধ মাতা আর,
আর বুড়ো বাবা তার, চাকুরী থেকে সেই কবেই বেচারা করেছে রিটায়ার,
এমএ পাশ করে সে এখনও রয়েছে বেকার,
জীবিকার চেষ্টা আর আশার চেয়ে হতাশাটাই যেন বেশী ও প্রবল তার,
দিন কাটে যার একটানা শুয়ে থেকে,
এনরয়েড মোবাইল টিপে আর টিভিতে শুধু হিন্দি মোভী দেখে,
সে এক অন্য জগত, প্রকৃত জীবনটারে তার যেন বুঝি রেখেছে কোন মোহজালে ঢেকে,
নাওয়া খাওয়ায় করে বড় বেশী অনিয়ম,
জানিনা আহারে, কে শিখালো তারে ঐ কুমন্ত্র যম,
সে নাকি মোটা হয়ে যাবে, এই ভাবনা তারে তাড়া করে হরদম,
খাবার নিয়ে অনেক বাছাবাছি, এই ভয়ে তাই বুঝি সে আহারও করে কম,
অতিশয় বেশী কিবা কম কোনকিছু ভালো নয় একদম, ক্ষতিকর তাই ভাবনার বিভ্রম,
শরীরে তেমন মাংস নাই,
আগেতো স্বামী সন্তানের সুখের সংসার চাই,
আর রুপ নহে তার দেহমনের সুস্থ্যতা ও বেশী দরকার শান্তি-সুখের সাফল্যটাই,
মেয়েদের জীবনে কেমনে বুঝাই,
সবচে বড় প্রয়োজন, চাওয়া কি পাওয়া ও কৃতিত্ব বড়াইতো ওরে ওটাই,
নামাজ পড়েনা তবে হিজাব করে,
বাহিরে অতিশয় বন্ধু বৎসল বদমেজাজি সে হলেও ঘরে,
বড়ই অসহিঞ্চু ও রগচটা ওরে রাগের কথা নয় তবু রাগ করে, নিজেও কষ্ট পায় আর কষ্ট দেয় সবারে ঐ মেয়েটি ॥
এমনিতেও খুব বেশী কথা কয়না,
কারো সাথে কোন বিষয়ে করেনা আলোচনা,
চায়না কারো মতামত, কভু কোন কাজে অনুমতিও নেয়না,
হোকনা বাবামা গুরুজন, নেই পরামর্শটার প্রয়োজন বুঝি এই তার ধারনা,
সবার বলায় চলায় তুচ্ছ শত দোষ ধরে, নিজের দোষগুলি একটা’ও তার চোখে পড়েনা,
অযথাই তাই নিয়ে হট্টগোল ও মাথা গরম করে নিজের বড়বড় দোষগুলি একটাও কেন খুঁজে পায়না,
এখনও তার শিখা জানার রয়েছে অনেক বাকী,
নাহলে কেমনে হলো তার এমন সোনালী জীবনটা ফাঁকি,
সাঁতার না জানা বাবুর মতনই ষোলআনা,
বুঝি এখনও রয়েছে সে শিশুর মতই বোকা একেবারেই অবুঝ কানা,
খুব প্রয়োজন ছিলযে তার,
স্বভাব, আচরণ ও মনটার মোখ দেখার,
একটা বিশাল বড় আয়না, বলো কে দেবে কোথা হতে এনে কবে তারে সেটি ॥
ভাইবোনেও নেই বনিবনা,
আত্বীয় স্বজনদেরে দেখতে পারেনা,
রুক্ষ কিবা কটু কথা বলতে সে কাউকে ছাড়েনা,
আমি সব জানি সব বুঝি সব পারি,
ভাবেনা তাই হয়ত বুঝেনা, কেন ঘাটে ঘাটে সে যাচ্ছে হারি,
যা আসলে তার স্বেচ্ছাচারিতা, অতি মাত্রায় স্বাধীন,
এই করে করে জীবনের কাছে হয়ে গেছে যেন তার এক পাহাড় সম ঋন,
বড়ই অসহিঞ্চু ও রগচটা ওরে রাগের কথা নয় তবু রাগ করে, নিজেও কষ্ট পায় আর কষ্ট দেয় সবারে ঐ মেয়েটি ॥
এ পরিনতি আত্বঘাতী সব চিন্তা কথা ও কাজের,
ভুল করে করে যেন তা ওরে হয়েছে পূরো এক সের,
কেজানে চারিদিকে তার কেন এত মোহ আর ভুলের ঘের,
যেজন বেশী লায়েক, পেতেই হয় তাকে তার কৃত কর্ম্মের জের,
দেখেছি জীবনে তার এমনই করুণ এসেছে কতনা নির্মম নিয়তির ফের,
আমার জীবন সংগী আমিই বেছে নেবো ভাই, কোন বুঝাপরা নাই সুখী হবো তাই ঢের,
অসহায় বাবামায়,
দেখে ও শোনে অনুভবে চেতনায়,
আর জিম্মি হয়ে আছে যেন ভাইবোন সবায়,
তার কষ্টগুলি কেমনে ঝেড়ে ফেলে দেয় কিবা ভুলে যায়,
তাই পড়ে বিষম ফাঁদে গোপনে সবাই অশ্রুহীন চোখে নিরবে কাঁদে ও কষ্ট পায়,
ওরে এ জগতে যে করে ভুল,
এইতো নিয়ম, শুধু তাকেই দিতে হয় তার তিক্ত মাসুল,
প্রেম করেছে এক ডজন,
সহজে মন পায় তাই দিয়েও দেয় মন,
কেন সে পেলোনা স্বামী-সন্তানের সুখের জীবন,
হয়তো রুপসী বলেই ওরে কি হয়েছে তার জীবনটা এমন,
কই সুখতো হলোনা, তার কি কারণ বসে করেনি সে তার কভু কোন গবেষণ,
দেখেছি জীবনে কত গরীবের মেয়ে শুধু রুপের কারণেই হয় রাজরাণী,
সেই রুপই কেনরে, ধূলায় মিশিয়ে দিলো তার সোনালী এ জীবনখানি,
কেউকি ওরে ফেলে দিতে পারে সন্তান,
যতই দিক যাতনা তাড়না রাখুক করে তার বাবামারে পেরেশান,
বড়ই অসহিঞ্চু ও রগচটা ওরে রাগের কথা নয় তবু রাগ করে, নিজেও কষ্ট পায় আর কষ্ট দেয় সবারে ঐ মেয়েটি ॥
এখনওতো কোটি মেয়ের হয়নি বিয়ে,
জীবনটাতো গড়া যায়না কভু, জীবন থেকে শিক্ষা না নিয়ে,
ছিল নিজ পছন্দ ও সিদ্ধান্ত তার,
আর এই করেকরে এই বয়সে বিয়েও করেছে দুইবার,
নিজের ও বাবামার উপর তা ছিল কেমন স্বেচ্ছাচারিতা ও জুলুম তার,
ভাগ্যের এমনই নির্মম পরিহাস ও জের আহা টিকেনি শেষে হায় তার একটিও সংসার,
ওরে ছোট্ট আমাদের এ জীবন,
সাধনা বিনা ওরে কভু হয়নাতরে কারোই কোন সাধন,
জীবনের মধ্যাহ্ন বেলা, অর্ধেক হয়েছে গত,
হয়েছে সময়ের আহা ঢের অবহেলা, বলো অপচয় আর কত,
এই যদি হয় তবে জীবনটারে সাজাবে কবে, আর তা উপভোগইবা করবে কখন,
তবে কিসের মানুষ হলেম যদি ভুলগুলি সব পিছে লেগে রয়, আর আজও তা না করা হয় সংশোধন,
তারাই জেতে না গিয়ে ক্রোধে মেতে, হাসিতে সবকিছু সয় গহীনে ভেবে সমাধান খুঁজে লয়, নীচু গলে কম কথা কয় না গিয়ে চটি ॥
লোকের মন্দ কথা ও ব্যবহার গরম,
সেইতো শিক্ষা ঞ্জান ও জাতের পরিচয় তা করা নিরবে হজম,
বাহিরে নাকি সে অতিশয় চটপটে,
কেউ কেউ বলে ওভারস্মার্ট তাও অনেকটাই সত্য বটে,
চোখকান খোলা নহেতো আত্বভোলা তীক্ষ্ণ সজাগ চারপাশে কোথায় কি ঘটে,
শুধু কেন নয় কেনযে এমন হয় এলোমেলো আপন ঘর, অপটু ও ব্যর্থ যেন তার অদৃশ্য জীবন পটে,
নাহলে কেন সে এত পেরেশান,
তার কষ্ট আর হতাশার হাহাকার হয়না কেনরে অবসান,
কি করিবে হায় অসহায় বাবামায় দেখে কষ্ট পায়, তার দোষ ভুল আর কষ্ট ও অসুখের কথাই শুধু বাতাসে রটে,
বড়ই অসহিঞ্চু ও রগচটা ওরে রাগের কথা নয় তবু রাগ করে, নিজেও কষ্ট পায় আর কষ্ট দেয় সবারে ঐ মেয়েটি ॥
মাঝেমাঝে বলে, মরে যাবো করে বিষপান,
আহারে মরণ, ঐ মরণতো নহে ওরে তার কোন সমাধান,
ওরে বোঁকা মরণে হয়না কভু জীবনের কোন সমস্যা বা কষ্টের অবসান,
সেই পরকালেও আছে যেমনই সুখ সম্ভার,
তেমনি অসীম অপার কষ্টবেদনার সমাহার,
আপন আপন কর্ম্মে ফয়সালা কিবা ধার্য্য হয় যার,
মহা যন্ত্রনাময় ঐ শাস্তি-সাজা কিবা পরম সুখ-শান্তিময় পুরস্কার,
যার পাওনা হোক যাই, কেউ বাড়াতে কমাতে পারেনা তাই, কেহ ভাগও লয়না তার,
তাতে কোন দোষ নেই দয়াময় বিধাতার,
মহা পাকজাত, ঐ বিচারক নেই যার কোন পক্ষপাত, শতভাগ নিখুঁত বিচার,
যারা নামাজ পড়ে ও সবরের রণ করে জীবন কাটান,
নিত্য হোক নব নব সৃজন কিবা উদ্ভাবন বিধাতায় কায়ঃমনে চান,
হোক তাদের হাতে সৃষ্টির কিছুনা কিছু সেবা উপকার ও এ সমাজের মংগল-কল্যাণ,
তারাই সাহসী বিজয়ী ও সফলকাম, স্রষ্টার কাছেও তাদের মেলা দাম, জীবনে মরণে তারা সব পান,
মানুষের এ জীবন ওরে বিধাতার,
মানুষের তরে সে এক পরম নেয়ামত ও উপহার,
সেইতো সফল,
হোকনা যতই দীন অসহায় ও দূর্বল,
যে বেশী বহে সেইতো রহে, পার হতে পারে সব ধকল,
পিছপা হয়না হতাশা মেনে লয়না চুপকরে বসেও রয়না ব্রতে লেগে রয় কভু কোন ভালো কাজে সে যায়না হটি ॥
ঞ্জান নিতে নয় শুধু ঞ্জান দিতেই চায়,
তার কথা শোনে আর সে মতই যেন চলে সবায়,
তা কি কভু হয় সবাই চলবে আর সবকিছুই হবে তার ইচ্ছায়,
আমার পছন্দ নয়, তবু এমন কত কিছু ঘটে হয় এই দুনিয়ায়,
কেউ জেতে কেউবা হারে, সবাই কি সব পারে কিবা ওরে সবকিছু পায়,
করেনা আপন দোষ স্বীকার, নিতেই চায়না কাঁধে তার অন্যায় বা ভুল কর্ম্মের দায়,
সে আবার কিসের মানুষ যার,
নেই মন্দভাল কাজের হিসাব নিত্যকার,
কি মূল্য কি প্রয়োজন, তবে এই এত শিক্ষার,
কেমনে হবো দামী যদি শুধু ভুলই আমি করি বারবার,
এ জীবন নদীটার কূল খুঁজে না পাই, না ই পারি তা হতে পার,
জীবন মানে সেতো সবাই জানে ও মানে সুখ-দুঃখ এ দুইয়ের সমাহার,
মন্দভালো সাদাকালো ও আঁধারআলোর উত্তাল ঢেউয়ের সে এক অথই পাথার,
সহনেই সাফল্য আনে, হাতছানি দিয়ে ডাকে কাছে টানে, খুলে যায় প্রাপ্তির অসংখ্য দুয়ার,
আপন দোষে অনেক না পাওয়ার দিনের শেষে, বলো কি লাভ হবে আর তুমি দোষ ইবা দিবে কার,
বড়ই অসহিঞ্চু ও রগচটা ওরে রাগের কথা নয় তবু রাগ করে, নিজেও কষ্ট পায় আর কষ্ট দেয় সবারে ঐ মেয়েটি ॥
গরীব ঘরের অশিক্ষিত কত মেয়ে শুধু রুপসী বলে,
পরম শান্তিসুখে যাচ্ছে খেয়ে স্বামীর ঘরে যেন শুকনায় ধেয়ে ওরে তাদের ঐ জীবন নৌকা চলে,
তদুপরি দেখেছি মিথ্যাচার,
হয়েছিল যেন নিত্য দিনের সংগী তার,
সে ওতো এক অনাসৃষ্টি ও আত্বঘাতি বড় অনাচার,
কিসের মানুষ নাহলে সময় সময় কিছুটা সদয় সুবিবেচক মহৎ মহান ও উদার,
কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয়, চাই সঠিক প্রতিদান ও বিনিময় লাগে কিছুটাও দেওয়া ছাড়,
জীবনের দেনাপানা ও লাভক্ষতি তার,
হতে পারে হয় তা, দুদিনের ধার কিবা উপহার,
বিদ্যা রুপ কিবা ধন ও এ জীবন দান বিধাতার,
ভাল নহে তা ধ্বংস করে, ক্রোধ তেজ চোপা ও অহংকার,
কি হয়েছে সৃজন কত বাকী কতটা ফাঁকি তা যাচাই ও গননা দরকার,
জিততে হলে দিয়ে সামাণ্য ছাড়, কখনোবা মেনে নিতে হয় কিছুটা হার,
টানা হাল্কা হেয়ালিপনা সোনালী জীবন একখানা হতে চলেছে যেন হায় ছারখার,
এই কি জীবনের পথ ও পাথেয়, এই কি জীবনের লক্ষ্য ও শিক্ষা কিবা তার সঠিক বাহার,
হতাশা ঝেড়ে আত্ববিশ্বাস আর বিধাতার ভরসার শক্ত ভিত গেড়ে, এখনও সময় আছে তার জীবনটা গড়ার,
বড়ই অসহিঞ্চু ও রগচটা ওরে রাগের কথা নয় তবু রাগ করে, নিজেও কষ্ট পায় আর কষ্ট দেয় সবারে ঐ মেয়েটি ॥
নাই নিজের ভুলগুলির পর্য্যালোচনা,
ভেবে দেখেনা, তাই বুঝি তা হতে সে ছাড়াও পায়না,
নেই বুঝি বিবেকের আয়না তাই কিরে হয়নি স্বরুপটা তার দেখা ও জানা,
নাই খোশামোদ তোষামোদ অনুরোধ আপোষরফা সমঝোতা বিনয় আফসোস কিবা তার কোন অনুশোচনা,
জানিনা গলদ কোথায়,
কি সে খুঁজে মরে কিবা পেতে চায়,
আসলে সে কি বোঁকা না চতুর তাও বুঝা দায়,
কেন এত কষ্ট ক্ষোভ মোহ নাকি লোভ কোন্ যাতনায়,
অগাধ বিত্তধনেও কত অশান্তি ও কষ্টযে গোপনে রয়েছে লুকায়,
কোন কারণে এত অভিযোগ অভিমান জ্বলে মরে সে কোন ক্রোধে নাকি হিংসায়,
সেকি তা জানেনা, চতুর কাকের বাসায় কোকিলের ছানা, পেট ভরে খায় ও ডানা গজায়,
আদরে যতনে বড় হয়ে শেষে একদিন, নাই কোন ভয় কিবা দায় ঋন, বাসা ছেড়ে উড়ে চলে যায়,
রুপের অহংকার নাকি বিত্তধন ভোগবিনোদন ঘাটতি অনটন ও প্রাচুর্যের নেশা কোনটা আহা তাহারে তাড়ায়,
বড়ই অসহিঞ্চু ও রগচটা ওরে রাগের কথা নয় তবু রাগ করে, নিজেও কষ্ট পায় আর কষ্ট দেয় সবারে ঐ মেয়েটি ॥
আহা সুস্থ্য হবে সে কেমনে কবে,
অবুঝ শিশু সুস্থ্য হলেই হয়ত সে চেতনায় অনুভবে,
দেখিব হঠাৎ একদা সে বড় হয়ে গেছে প্রিয় বন্ধু তার হয়েছে সবে,
তারে লয়ে যারা উৎকন্ঠায় ও দিশেহারা হায় কেমনে তারা প্রশান্তিতে রবে,
সকলের দুঃখসুখ দেবে-নেবে ভরে বুক, প্রসমিত ও ভাগাভাগি করে সে আপনি লবে,
তার পরিবার ধ্যানে মগন চক্ষু বুজে পায়না তার সমাধান খুঁজে কেমনে পাবে ত্রান গেলে কোনপথে ছোটবড় সবে,
আবার হবে নতুন বর,
গড়ে নতুন জীবনটা তার মধুর ও সুন্দর,
পাবে ভালো বন্ধু স্বামী ও আদরের সন্তানের প্রিয় একটা ঘর,
পরম শান্তিসুখের নিরাপদ ঘের মায়ার সংসার বিয়ে করে ফের, নিবে এসে সুন্দর কোন মায়ার দেশে অচেনা এক সুজন শেঠী ॥
খাবার টেবিলে তার,
হলেও পঞ্চ রকম খাবারের সমাহার,
কিছুই পছন্দ নয়, বলে মা এছাড়া বলো কি আছে আর,
ইলিশ মাছের ডিম, চিংড়ি মাছ ও গরুর মাংস কোনই তুলনা হয়না সনে যার,
খাবার নিয়ে নিত্য এত বাছাবাছি, কেমনে বলিব আমরা কত ভালো আছি, বলোনা তা ভাল লাগে কার,
তাই হবে আয়োজন আজ কি করা আর,
সিদ্ধ ডিমের বেগুন আলু টমেটুর তরকারি নাকি দারুণ মজাদার,
বড়ই অরুচি ও বিরক্তি তার ফার্মের মুরগী ছাড়াও সবজী ও মাছ-দুধ সহ আরও অনেক খাবার,
এ জগতে কিছু নহে আর হয় সম তার, সবই নগন্য নাহয় হোকনা তা বড় মাছের মুড়ি কিবা কোলের পেটি ॥
অতি কাছ থেকে দেখা,
যখন সবার মাঝে কিবা সে ছিল একা,
সে অনেক দিনের চেনা,
নিমেষে বদলে হয়ে যায় যেন বড় অচেনা,
কারো সনে নেই যেন কোন দেয়ানেয়া লেনদেন কিবা দায়দেনা,
কোটি টাকা দিয়েও যেন এখন কিছুতেই আর মনটারে তার যাবেনা কখনও যায়না কেনা,
জানিনা এমন কেন অতি আপন হয়েও যেন পর,
ভাবে সবাই তার দুষমন আর জেলখানা যেন প্রিয় ও মধুর তার বাবামার আপন এই ঘর,
আসলে বাবামার প্রতি তার অনেক টান,
একবার চটে গেলে সবকিছু বিফলে ও হয়ে যায় ম্লান,
নিমেষে আবার কখনও বদলে হয়ে যায় রুক্ষ বর্বর বৈরী ও কঠিন পাষাণ,
আবার তুচ্ছ বিষয় নিয়েও করে অতি মাতামাতি, বাড়াবাড়ি অযথা হয় ক্ষিপ্ত ও পেরেশান ।
কঠিন প্রশ্ন তার আজীবন,
বাড়ীগাড়ী বিলাস ও বিনোদন চাহে মন,
কেন এত অনটন, আর নেই তার বাবার ঢের বিত্তধন,
কেমনে তারে বুঝাই, সুখের মোহ সেতো এক চোখের জ্বালাতন,
দেখেছি অনেক কোন ভুল নাই, ধন্য করে এজীবন ভোগ নহে ত্যাগ ও বিসর্জন,
ধনে নহে, সুখতো মনের ব্যাপার বিধাতার করুণার দান,
কত সুখী ঘাম বেঁচে দিন এনে দিন খাওয়া ঐ সাধারণ মানুষের প্রাণ,
কেনযে পেলোনা এ পরিবার ও হলোনা ঝলমলে তার জীবনের মান,
অতিশয় তুচ্ছ ও হেয় করে তাই দেখে সে, তার জীবনে বাবামার নগন্য কিবা শূন্য অবদান,
বাঁকা তার রগগুলো রঙ মাখা সুন্দর আবরণে ঢাকা, রাগিলে অনেক লম্বা সময় লাগে সোজা হতে বাঁকা তার ঐ ঘেটি ।
আমি সব জানি, সব বুঝি ও সব পারি,
চালাকিতে হবে সব জয়, তবে কেন যাবো হারি,
চিৎকার চেঁচামেচি হুংকার হাকডাক দূর্ব্যবহার ও বাড়াবাড়ি,
বুঝতে নয় বুঝাতে চায়,
ভাবে সে এমনি করেই বুঝি জিতে যায়,
কতযে মিথ্যা বলে,
নিজের মত ফন্দি-ফিকির ও কৌশলে চলে,
মা যদিও সান্তনা দিতে আসে, চুখের জলে,
বারবার ভুলে গিয়ে তার সব অন্যায় অত্যাচার দরদী হয়ে আসলে,
সবারে করেছে তিক্ত ও রুষ্ঠ, সকল স্বজন তার হয়েছে পর, এ ঘরের কেউ নহে আর তার দলে,
তাতেও আর কাজ না হলে,
তার শেষ ভরসার ঐ বলে কিবা ছলে,
দিয়ে সবারে শত অভিযোগ ও অপবাদ মিটায় তার মনের ক্রোধ ও বিষাদ হাউমাউ কান্নার রোল তুলে,
বসে বসে ভাবি আহা কবে,
বচনে ও ব্যবহারে সে মিষ্টি মধুর হবে,
আর নিম তিতা নয়, মিছরির মত যেন মিঠা হয়, কোকিলের কন্ঠে সব জয়, বিনয়ে যেন হয় ভিজা কাদামাটি ॥
জ্যোতি পর্ব
সবার দুঃক্ষগুলি কবে যাবে,
আর কষ্টে থাকা হৃদয়গুলি সব সুখ খুঁজে পাবে,
একটু আলো দেখে মন্দ আর আঁধারগুলি সব প্রাণ ভয়ে ছুটে পালাবে,
আহারে তারে কে বুঝাবে কে শিখাবে কে মানাবে,
বসে রাগ করে চুপচাপ তার ঘরে সে না খেয়ে আর কত রাত কিবা দিন কাটাবে,
কভু হারবেনা সে কারো কাছে, সবারে সে হারাবেই হারাবে,
জানিনা কিম্ভূত কিমাকার সরষের এই ভূত অদ্ভুত কদাকার কেমনে কবে কে তাড়াবে,
হায় আমারে বিধাতায় আশায় আশায়, জানিনা কি ভেদ তার কি সে চায়, কতকাল আর এমনি ভাড়াবে,
ঐ যেন সন্ধা ঘনায়,
বিজন পথটা সামনে আর কতদূর যায়,
বিষন্ন মন ও ক্লান্ত দেহটা যেন হারিয়েছে বল চলতে আর সে নাহি চায়,
আপন মনোবেদনে বুক বেধে তবু আমি তার সনে, নিরবে অতি গোপনে চুপিচুপি পিছুপিছু চলেছি হাটি ॥
ওরে অবুঝ বোঁকা মন,
কেন হতাশ ওরে তুই কষ্ট পাস সারাক্ষণ অকারণ,
ধন সেতো তুচ্ছ বিষয়, তার আধিক্য কিবা অনটন দেয় কিবা করেনাতো জীবনের সুখ বা শান্তি হরণ,
জানি শুধু রুগ্ন হৃদয়ই তাতে ব্যথিত হয়, অযথাই সে পায় বেদন,
সুখতো শুধু মনেরই ব্যাপার জনে জনে তা হয় ভিন আর যার কাছে তা যেমন,
যে বুঝেনা তারইতো হয়, ঘাটে ঘাটে হার কষ্ট বেশী ও পরাজয়, যেন জীবনটা তার বিরস অসার ও জিয়নে মরণ,
নাই বুঝিরে তোর কোন তৃতীয় নয়ন,
মনজগতে হয়নি ভোর অশুচি তোর জীবন দরশন,
বন্ধ যার আলোক তৃষার হাহাকার মনের সকল জানালা দ্বোর,
রয়েছে মিথ্যে মায়ার ধাঁধার পাহাড় নেশার ঘোর মোহ আর আবেগে বিভোর,
কেমনে পসিবে আলো ঘটিবে সকল ভালো হবে পসর তব ভুবন,
নাহলে কেমনে ভরিবে হৃদয়, হবে আকাশ ভুতল জয় হবে তার সাধনার সাধন,
নয় কি বৃথা তব এ জীবন,
যদি নাহয় গঠন আকাশ ও দরিয়ার মতন মন,
উদার ও মহৎ এই দেহমন হেন সহনশীল সম যেন ঠিক চরণ তলের মাটি, পাদুকা পায়ে যেথা মোরা সবে হাটি ॥
ঢের বলেছি তবু এসো ফের বলে দেই,
ওরে না বুঝিলেও আর তাতে আমার, কোন কষ্ট কিবা ক্ষতি নেই,
এইতো মানব জীবন,
ভালো বীজের কিছু চারা রোপণ,
আদরে ও যতনে তা করা লালন পালন,
শোভা আর সৌরভে ভরিবে এ বিশ্বজগত কানন,
গাছে গাছে শত ফুল ও ফলে সাজিবে তারা চৌদিকে যখন,
স্বামী-স্ত্রী দুজনার ভালোবাসার প্রিয় সন্তানগন করিবে অকাতরে তা বিতরণ,
আর বিধাতার সৃষ্টিরা সব উল্লাসে বারবার ফিরেফিরে এসে নেঁচেনেঁচে ঐ মধু করিবে আহরণ,
সবুজের নির্মল বায়ু বাড়াবে দূর্বলের আয়ু, মুছে ক্লান্ত পথিক ও ফেরিওয়ালার ঘাম, একটু আরামের কত দাম জানিবে হলে ধারণ,
এ বদলে যাওয়াটার হবে সাধন,
কবে যত অবোধ অচেতন আত্বার হবে জাগরণ,
বিবেকের আদালত দিতে তার নির্ভীক মতামত যখন হবে উম্মোচন,
ওরে জানিবে তখনই সবে তুমি কে, কারে কয় আর কেন ইবা এই মর্তজীবন,
আহা না জানিলে তাহা সমূহ ভয় ও ক্ষতি নিশ্চয়, জীবন সেতো নয় শুধু ভোগ ও বিনোদন,
না যদি হয় তা পরের তরে,
শুধু বন্দি হয়ে আপন ভুবনে তুমি ক্ষুদ্র তোমার মনের ঘরে,
কোন মহা অবদান সৃষ্টির কল্যাণ ও সেবা উপকার না যদি পায়, কেউ নাই কিছু নাই যার ঐ অসহায় জন,
জীবন মানে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের,
হলেও অল্প দিনের অল্পশান্তি সুখের নিরাপদ এক আবরণ ঘের,
সেইতো ঢের যেন পিঠ লাগাতেই হায় আরামের ঘুম এসে যায়, মাটির মেঝেতে বিছানো এমন একখান শীতল পাটি ॥
দোয়া করি যেন নাহোক এমন,
করিতে স্বার্থ হাসেল কিবা হতে সাফল্য সাধন,
কাজের আবার ছোট বড় কি ওরে শুধু চাই তার ঠিকঠাক সমাপন,
হতে হলে হয়ে চাটুকার আপনার কল্যাণ ও উপকার জীবিকা ও পেশাটার পদচুম্বন,
এ ভুবনে দেখেছি কতজনে অতি কষ্ট করে বাঁচে,
জীবন চলে ভেসে জোয়ার ভাটার জলে, আপন ধারায় অমোঘ ধাঁচে,
পরের তাবেদারি ও খেদমতে খেটে মরে, নিজেরে দিনভর উজার করে তবুতো তারা হরষে নাঁচে,
ম্যানহোল ও ড্রেন সাফ করে,
সারাদিন ক্ষুধায় কাতর বদন মলিন রাস্তায় থাকে পড়ে,
দিনমজুর ঝাড়ুদার ও মেথর,
তাদেরও আছে স্বামী-স্ত্রী সন্তান সংসার ও ঘর,
তাদের কি ওরে ঝলমলে প্রাসাদের দিকে কখনও পড়ে নজর,
নাকি ভাইবন্ধু প্রতিবেশী ও আত্বীয় স্বজন সবারে তারা করেছে ত্যাগ কিবা পর,
তাদেরও আছে আনন্দসুখ কষ্টদুঃখ বুকভরা কত আশা ভালোবাসা সুন্দর ও ভালোর খবর,
এইতো জীবন, কখনও কাঠফাটা রোদ কখনও হাড়কাঁপা শীত কত রদবদল হিত বিপরীত দূরন্ত বাদল ঝড়,
আগুনে ঘর পুড়িলে,
রাক্ষুসী নদী ভিটটাও কেড়ে নিলে,
তারাকি যায় বনে চলে, হয়না জীবন অঁচল যায়না থেমে তারপর,
মেনে লয়ে নিয়তি,
কি এমন ক্ষতি যেদিকে তার গতি,
আমিও সেই মতি করে গোপনে তার সনে হারমানা মিতালি পীরিতি,
জীবনের এইতো রীতি দমেদমে কায়ঃমনে মরমে যতনে যখন যেমন তখন তেমন বাঁচিব আমরা সবে ভাগ্যটার চরণ চেটি ॥
নহে কোন কোন্দল,
ঘৃন্য ফাঁদের নষ্ট বাদের দল,
এই বিশ্বাসে ওরে একতাই উত্তম বল,
শুধু তাদেরই লাগি ভোগ বিনোদন সাফল্য সকল,
সততা আর অসীম মনোবল, সেইতো দূর্বলের বড় সম্বল,
তবু নেই হিংসা জেদ জিঘাংসা নয় হোক তাদেরই জয় তারাই সফল,
বিধাতার ভান্ডার শূন্য হয়নি কভু হয়না উনা, কে বলেছে তা হয়েছে অ গর্ধভের দল,
কেউরে না পেলে তোমার দলে আত্ববিশ্বাস আর বিধাতার করুণার আশায় রহো অটল অবিচল,
যখন মোদেরে কেহ করবে ক্ষতি কিবা আঘাত হোক দিবস কিবা রাত তখনই শুধু মারবো ছোবল,
তাদেরই সংগী হবো ও কষ্টের ভাগ লবো, হোকনা তারা যতই সর্বহারা অক্ষম অসহায় ও দূর্বল,
এ জগতে কেউ নাই আর কিছু নাই যার, আমি হতে চাই অসহায় ঐ মানুষের মাথা গোঁজার ঠাই আশ্রম কিবা দূর্গ ও ঘাটি ॥
এসোনা সবাই,
আবার ওরে উঠে দাড়াই,
শির উঁচূ ও দাড়া সোজা করে ভাই,
নব বিজয়ের নীল সবুজের নিশান আমরা উড়াই,
কে বলেছে তাই, প্রতিরোধ কিবা প্রতিশোধের শক্তি মোদের নাই,
কত কাজ রয়েছে পড়ে আজও হয়নি করা, তবে কেন লাজে মরি,
ঘরের কোণে আর নয় বসে বিশ্বটা ঘুরে ভুবন চষে বাহিরে এসে হাতে হাত ধরি,
ঘুণে ধরে খাচ্ছে তিলেতিলে কুড়েকুড়ে তাই ভেংগেচূরে নতুন করে ঐ সমাজটারে আবার গড়ি,
স্বজন ও প্রতিবেশী সবারে সংগে লয়ে,
আপদ ও নিদানের দুঃক্ষকষ্টের সকল ভার নিরবে বয়ে,
সব মানুষের যারা এ সমাজের গননার বাহিরে তাদের দরদী আপন ও বন্ধু হয়ে,
মানুষের পরিচয়ে সবটুকু সয়ে,
দূরে কোথাও পালিয়ে না গিয়ে মিথ্যা ও মন্দের ভয়ে,
এসো বুদ্ধি আর ধর্য্য দিয়ে দীপ্ত আলোর পথে সাহসে পা বাড়িয়ে, অটল আশায় চিকন কঞ্চিগুলির বাঁধি শক্ত আঁটি ॥
দুদিনের ছোট্ট এ জীবন,
ওরে তাই জীবনে নাই প্রয়োজন,
বেশী বিত্তধন আর বেশী ভোগবিনোদন,
বড় হতে চাই অন্য পথ নাই, কিছু ত্যাগ ও বিসর্জন,
আগে পিছে হায় দিগন্তে দেখিতে পায় চাইযে এমন,
একটা তৃতীয় নয়ন, রয়েছে যার পলক পড়েনা কভু তার অনুক্ষণ,
মানুষেরে উদার ও মহৎ করে, আসল মানুষ রুপে নতুনে গড়ে গবেষণ ও দরশন,
কবে কথায় না বড় হয়ে কাজে ও গুনে বড় হবে, জগতের সবে ঐ মানুষ একজন,
আমি তার সনেই করিব ভাইয়ালি হোকনা বসন তার ছিন্ন কিবা জোড়াতালি ঐ জীর্ণ কুটিরে করে গমন,
এদেশ সমাজ ও বিশ্বটারে,
বাধিবে এক সূতায় এক ঘরে এক পরিবারে,
ওরে দূর্বলে কি দেখেছ কখনো, সবলের সনে পারে,
শুধু ছল বুদ্ধি ও কৌশলই একমাত্র কেবল পারে হারাতে তারে,
হোক জগতটা এমন, কাউকে যেন না যেতে হয় কভু আর কারো দুয়ারে,
যেথা কেউ বেশী কেউ কম কেউবা শূন্য, কেউ যেন আর ওরে না ঠকে কিবা হারে,
দুদিন পরে যখন,
নিবে ওরে যমে ধরে হবে মরণ,
বিশ্ব সৃজন প্রতিপালন দাতা ও দাদনের মহাজন,
রেখো স্বরণ, কেড়ে নিবেই নিবে তখন তার দান সকলের সব ধনজন,
তখন আর ঢের বেশী তাই দিয়ে কি হবে, সবইতো পড়ে রবে এ ভবে, সোনার থালা সোনার চামচ ও সোনার দুধের বাটি ॥
অন্তরে যার মহারাজার বাস,
হয়েছে তার ভক্ত গোলাম ও প্রিয় দাস,
নাই ক্রোধ ক্ষোভ মোহ লোভ আবেগ ও উচ্ছাস,
আহা রোধ করে তার আপন কর্ম্মদোষের সকল সর্বনাশ,
সব ঘাট হয়ে যাবে পার, সব ইমতেহান যেন সে করেছে এমন পাস,
যত সব ব্যর্থতা ও ঘাটতি কাটিয়ে লভেছে বিজয় করে তারা একঘরে বসবাস,
তার এ ভুবন চারপাশ,
করেছে দখল ঈমানের বল অটল বিশ্বাস,
নহে কপটতা কিবা ছল বুকভরা আশা ও আত্ববিশ্বাস ছিল একরাশ,
ধন কিবা ধনীর লাগি নয়,
শেষ ফলাফল যাই হয় জয় বা পরাজয়,
যাই হোক কিবা যা বলে বলুক সমাজের সাধারন লোক,
নেই মোর তাতে কোন আক্ষেপ অভিযোগ আফসোস ভ্রুক্ষেপ ক্ষোভ বা শোক,
মোর সারা দেহমন,
গোপনে প্রকাশে সব কথায় কাজে সারাক্ষণ,
এখন নতশিরে তার চরণে পড়ে কায়ঃমনে করে ভজন কীর্তন ও র্পূঁজন,
জীবনের ছবি আঁকা,
সাদাকালো কিবা রংধনুর রঙমাখা,
হোক সেপথ মসৃন মন্দভালো আঁকাবাকা,
কুয়াশা তমসা হতাশা কিবা আবিরে ঢাকা,
দৃষ্টিহীন ও পথহারাদের আনিতে আলোর পথে একটু ডাকা,
মরণ যাদের ঐ পরজীবনটাকে বানাবে বোঁকার ধোকা একেবারে শূন্য ফাঁকা,
যারা অন্ধ মূক ও বধীর,
হৃদয় জুড়ে শুধু মোহ আর রঙের ভিড়,
প্রলোভন ও প্রতারণার জালে পড়ে হয়েছে বড়ই ক্লান্ত অধীর,
মগজে মননে যাদের ক্ষুদ্র সীমানার ঘের, হেথাও ধরেছে ঘুণে ধরেছে চির,
অর্থ ও ক্ষমতার জোড়ে নিজেরে তবু মনে করে যেন সে এক মহাপন্ডিত ও দিগ্বিজয়ী মহাবীর,
যারা ভ্রান্ত মতে, আকুল বিপথে যেতে, পিছন হতে তাদেরে দুহাতে টেনে ধরে রাখা,
যারা আসলেই অসহায়, এ সমাজের কাছে তারা কি যেন নিরবে চায়, কঠিন জীবন চলায় তাদের সংগে থাকা,
মোর লেখনীর এ সুবচন,
সে এক সুমহান জীবন দরশন,
হলেও তুচ্ছ ক্ষুদ্র, সেওতো এক সৃজন,
আঁধার পথের ভাংগা রথের এক দীপ্ত আলোকন,
নগন্য হলেও ওরে তাতো নিশ্চয়ই একখানা অতি ভালো কাম,
আলোর দিশারী শত কাফেলার সবুজ খতিয়ানে লেখানো সোনালী অখরে নাম,
কে করিল পঠন কে করিল না কার পছন্দ কিবা বোধোদয় হলোনা, এ সমাজে নাইবা হোক তার কোন দাম,
ক্ষুদ্র ভালোর একটি ক্ষণ যেন সে এক মহারণ, প্রাপ্তী নয় তেমন বিসর্জন যা কভূ বৃথা যাবার নয় ঐ এক বিন্দু ঘাম,
তার খাস গোলামেরে দয়াল বিধাতায়,
বারবার ফেলেন নানাবিধ কত কঠিন পরীক্ষায়,
সহনের বাধ যদি ওরে তার শেষাবধি না ভেংগে যায়,
দেখিতে চাহেন কাছেই বসে, কি করে কি বলে ও কিবা সে চায়,
যেজন পাস করে যায় তার করুণাও পায়, সেইতো একেবারে ধন্য হয়ে যায়,
সোনার মাঝে রয়েছে লুকানো সামান্য যেটুকু খাদ,
পুড়িয়ে পিটিয়ে পরে খাটি অলংকার গড়ে, তার গা হতে তাই দিয়ে চিরতরে বাদ,
দিন শেষে ওরে,
নিয়ে যায় তারে জোড় করে ধরে,
তার অতিথিশালার মহারাজকীয় ঐ ঝলমলে প্রাসাদ-কানন ঘরে,
মাটির মানুষেরে আবার নতুন করে,
তার ইচ্ছেমতই তারে আবার একেবারে সোনার মানুষ গড়ে,
হলেও তার সবকিছু কমকম একেবারে উত্তম সেরা ও সফল জীবন সফর আগুনে পোড়ানো ভেংগে জোড়ানো একদম খাটি ॥
এ দেহে এখন আমার সব সয়,
মনটা মেনে, সব জেনেও তা বুকে টেনে লয়,
আর নাহি বাড়াবাড়ি, অতি হাহাকার ক্ষতি কিবা কোন ভয়,
যেই আমি আগে, অল্প রাগে হতেম আকুল অল্প শোকেই অধিক কাতর,
হয়েছি এখন আমি হলেও অল্প দামী আর করেছি হেন জয় যেন এমনই এক কঠিন পাথর,
নেই কোন আর কষ্ট আমার সংকোচ কিবা দ্বিধা ভয়,
বুঝি এবার থেকে হয়তো আর নয়কো হার, হবেই হবে জয়,
মোরে কোন কিছুতে, নাহি ডাকে টানে আর পিছুতে নেই কোন সংসয়,
ছিলেম আমি মজে ভুলে,
সব বন্ধ দুয়ার আজিকে মোর গিয়েছে খুলে,
আমি আমার সব অভিমান অভিযোগ অবিচার এবার নিলাম তুলে,
নাহয় আমিওতো এতদিন,
মাথে লয়ে বোঁকা হয়ে বয়েছি এক পাহাড় ঋন,
কেউ বলে হারাম হারাম,
কেউবা উলু দেয় বলে ওরে রাম রাম,
ছিল মোর কত নেশার ঘোর মিথ্যে পরিচয় এক ধ্বজাধারী নাম,
ছিলনা বুঝি আমার মানুষ হবার কোন পথ কিবা অধিকার কিবা তার সেই দাম,
ধনের এ জগতটারে করিতে জয়, সব ছিল মোর মিথ্যে অভিনয় ছিলনা তেমন কোন ভালো কাম,
গা হতে হায় খুলে নিয়ে যায় মোর শাহী কটি সারা জীবন দিলো যেটি মোরে সুখ সমৃদ্ধি ও সুনাম,
আজিকে দিয়েছে আমার অন্ধ চক্ষু খুলি, মেরেছে এলোমেলো সব ভাবনাগুলি মোর চেপে ধরে তার টুটি - ঐ মেয়েটি ॥