( কবিতার আকার বড় হয়ে যাওয়া ও কিছু ভূলত্রুটি ইত্যাদি ) এর প্রাসংগিক কলম আলোচনা
পরম শ্রদ্ধাভাজন প্রিয় মান্যবর কবি মহোদয়গন ও পাঠকবৃন্দ,
এ প্রংসগে শুরুতেই আসরের অগ্রদূত কবি শ্রদ্ধেয় জনাব অনিরুদ্ধ বুলবুল, যাদের হাত ধরে চলায় উদ্দ্যম, উৎসাহ, সাহস ও প্রেরণা পাওয়া যায়, ভাইকে স্বরন করছি ও তার পরিপূর্ণ সুস্থ্যতা কামনা করছি ।
যারা অনূগ্রহ করে আমার বড় কবিতাগুলি র্ধয্য ও মনোযোগ সহকারে পাঠ করেছেন বা করছেন, তাতে কোন প্রকার মন্তব্য, আলোচনা, গঠনমূলক সমালোচনা ও মূল্যবান অনূরোধ/পরার্মশ দিয়েছেন, কি দেন নাই তাদের সকলের কাছেই আমি সবিনয় কৃতঞ্জতা প্রকাশ করছি এবং এজন্য তাদেরকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ ঞ্জাপন করছি । আমি কোন কবি নই । একজন নগন্য নবিস হিসাবে কিছু একটা লেখতে চেষ্টা করছি মাত্র । সে এক অসম দুঃসাহস - বিঞ্জ ঞ্জানী ও গুনীজন কবিগনের সান্ন্যিধ্যে থেকে কিছু শেখা ও লেখার চেষ্টা এবং মরমী পাঠক গনের দরদী আত্বার আত্বীয় হতে চাওয়া । আর সে প্রত্যাশায়ই, পারি কিবা না পারি, কলম ছাড়ছি না । বয়সে প্রবীন লেখনীতেও ঠিক তাই, তবে কাব্যালোকে প্রবেশ বা আবির্ভাবের দিক থেকে নেহায়েতই নবীন।
সে যাই হোক, বিদ্যা, শিক্ষা ও ঞ্জানের ভান্ডার সবার সমভাবে প্রসন্ন, বিকশিত, প্রসারিত ও সম্মৃদ্ধ হয়না বা থাকেনা । তা না হলেও অনেকেই লিখেন বা লিখতে চেষ্টা করেন । সে বিবেচনায় হয়ত অনেকের মতই আমার লেখায়ও কিছু ভূলত্রুটি বিদ্যমান । যেজন্য আমি দুঃক্ষিত ও সংশোধনে সচেষ্ট । তবে আমার বিবেচনায় কবিতার ভাব, বিষয় ও তার সহজবোধ্য প্রকাশ বা উপস্থাপনা টা ই মূখ্য । কবিতায় কঠিন কঠিন অপ্রচলিত বা অপরিচিত শব্দের ব্যাবহার এক ধরনের পান্ডিত্য হলেও তার সমাহার, কাব্যের দুরুহ ভাব বা বিষয় ও জটিল বাক্য বিন্যাস কবিতাকে ক্রমেই র্দূবোধ্য করে তুলেছে এবং তুলছে না কি ? সাধারন পাঠকের কাছে কবিতা যেন ক্রমাগতভাবেই বিরস, অরুচি, অনীহা ও রীতিমত ভীতির কারন হয়ে উঠেছে । অবশ্য এ ধারনা ও মতামত আমার একান্তই ব্যাক্তিগত । তদুপরি, নিজ ভূলত্রুটি গুলি শুধরে নেবার চেষ্টা করছি । বিঞ্জজন যাদের রয়েছে সহযোগীতার সময় ও মন, অনূগ্রহ করে তা দেখিয়ে বা ধরিয়ে দিলে সংশোধন লাভ করাটা হয়ত সহজ হয়ে যেতো ।
লেখার সক্ষমতা আমার সামান্য হলেও, এ বুকে যেন কিছু একটা সৃজন ও তা জনে জনে বিলিয়ে দেবার এক র্দূনিবার পিয়াস । লেখতে বসলে তাই, কলম যেন থামতেই চায়না, কোন নিয়ম বা সূত্র মানেনা । কবিতা কেবলই বড় হয়ে যায় । এজন্য বিশ্বময় ছড়িয়ে থাকা আমার প্রিয় পাঠকগনের কাছে আমি কিছুটা বিব্রত অনূতপ্ত ও ক্ষমাপ্রর্থিী হয়ে রলাম । তাই লেখা বড় হয়ে যাওয়া ও লেখনীতে কিছু ভূলক্রুটি এ বিষয়ে প্রাসংগিক কিছু আলোচনা নিয়ে প্রিয় পাঠকগন সমীপে হাজির হওয়া আবশ্যক মনে করছি । আর এ দায়বোধ থেকেই যেন আপনাদের সদয় অবগতির জন্য এ কলম আলোচনার ক্ষুদ্র প্রয়াস।
আমার লেখনী যেন রান্নাঘরের তেল নূন মসল্লার পরিমাপ ও নাড়নি কাঠি এবং খাবার টেবিলে স্নেহময়ী মায়ের হাতের এমন এক সোহাগী চামচ যা শুধু যেন পাতে তুলে দিতেই চায় । লেখতে বসলেই মনে হয়, আমি যেন কোটি পাঠকের জন্য মাছের পেটিতে পাঁচ ফোড়ন দিয়ে ভেংগে সাত মিশালী এক মজাদার অভিনব সবজি রান্না করছি । আর তখন এমনই এক অনূভূতী আমাকে তাড়া করে - কি যেন তাতে দেওয়া হলোনা, কি যেন কম হয়ে গেল, আরও কি যেন একটু দিতে হবে ইত্যাদি। মনেহয়, যেন এটাও আমারই দায়, কিছুটা হলেও আমার নিজস্ব জীবন দরশন এবং আলো ও ভালোয় ভরা সামান্য কিছু মূল্যবান বাণী ও পাঠ লেখনীতে ঢেলে দেওয়াই চাই । আর তা দিতে গিয়েই যেন অনিচ্ছাতেই ঘটে যায় বিপত্তি, প্রকৃতির শত রঙ ও জীবনের সহস্র রুপ এর কিছুটা বলর্পূব্বক অনূপ্রবেশ।
যাই হোক, সাদর আমন্ত্রন ভিন্ন ধাঁচের ও নতূন স্বাদের জীবনমুখী বড় কবিতার জগতে । পূরো কবিতাটি একবার গভীর মনোযোগে পড়েই দেখুন না, হয়ত এক বিশেষ আবেশ ও অন্যরকম এমন এক ভাল লাগায় আপনার মন ভরেও যেতে পারে, যেমনটি আপনার খু্উব পছন্দ । কাব্য রচনা ছোট রাখার বা ছোট করারও প্রাণান্ত চেষ্টা চলছে।
সকলের র্সাব্বিক কল্যান ও মংগল কামনায় ----- ধন্যবাদান্তে,
আপনাদের দোয়া র্প্রাথী
আবু হক মুসাফির