পর্ব – ০১
হ্যালো কে, হ্যালো কে আপনি,
কেন মোর মনটারে লয়ে করছেন বড়ই টানাটানি,
অহরহ এক মিথ্যে হাতছানি,
ভয়ংকর নিন্দুকের ঐ রসের কানাকানি,
দেয়ালেরও যে কান আছে, মনের উপর সে আঘাত হানি,
অযথা যদি হয় মানহানি, মন্দ লোকের বাজে কথায় বেড়ে যায় পেরেশানি,
আপনার না থাক, আমারতো আছে, মান-ইজ্জতের ভয়,
এইতো নিয়ম হবে সেইতো উত্তম, দিয়ে নিজ পরিচয় কথা বলাটাই কি বেশী ভাল হয় ।
দোষ কি হলে একটুখানি,
তারচে ভালো গহীনে গোপনে চেনা ও জানাজানি,
আপনার সময় হলে, কিবা অনুমতি দিলে আপনি,
অ মোখ পানে রবে পড়ে নিথর দৃষ্টিখানি,
খাবো শিক-পরটা, দধি-মিষ্টি ও কফি কিবা বোরহানি,
পার্কে বা রেস্তোরায় বসে দুজনে কথার ফাঁকে নাহয় কাচ্চি বিরিয়ানি,
প্রস্তাবখানা দারুণ, মোটেও মন্দ নয়,
যদিওবা পা পিছলে রাস্তায় পড়ে, রয়েছে হোঁচট খাবারও ভয়,
অসুবিধা নেই, হবে দেখা হবে জানা-পরিচয়,
যুগের হালেযে ভাই হিসেবে চলতে হয়, তাই দেখবো ভেবে নিশ্চয় তা ভবানার বিষয় ।
হলো ভাবনা,
প্রয়োজন কিছুটা জানা,
তার বাপ-দাদার নাম, ধাম ও ঠিকানা,
মিথ্যে নয়, মূর্খ চোরের ঘরেও দেখেছি হয় বিদ্যান মাওলানা,
তাতেইবা কি লাভ, আলো ও ভালোর অভাব, বড় জাত বা ভাল ঘরে কি মন্দ হয়না,
আবার সুফী পন্ডিতের ঘরে, বলো জন্মে কেমন করে, কুলাংগার সন্তান যা অবক্ষয় ।
এমন কত বিয়ে হয়,
নহে আগের কোন দেখা-জানা পরিচয়,
আমি তাদের ঘরে দেখেছি জনম ভরে হাসি-খুশী লেগে রয়,
এত দেখে জেনেইবা কি হবে হয়, সুখ হবে কিনা কে দেবে কারে সেই গ্যারান্টিখানা,
সবার কি লাভের হয় বেঁচাকেনা,
এ জগতে সবচে কঠিন কাজ, ওরে ভাই মানুষ চেনা,
সুখের ঠিকানা কেউ খুঁজে পায়না, যদিরে দাতার অপার করুণার একটু ঘাটতি হয় ।
বিধাতার ঘরে,
নিভৃতে বিনয়বনত শিরে পড়ে,
বিশ্বাসে ভরে ও ভরসা করে যাচনা করিতে হয়,
যদিওবা কেউকেউ ওরে না চেয়েই পায়,
তবুও জানিও নিশ্চয় যাচনার কামনা কভু বিফলে নাহি যায়,
যেখানে বেশী ভয়-ভাবনা, বেশী আশা, চেষ্টা ও কামনা, বুঝি সেখানেই যত বিপর্য্যয় ।
কেজানে সাধুবেশী চোর কিনা,
না দেখিয়ে কেন সে তার ঐ নিজ মোখখানা,
যার সংগে নাই, কোন চেনাজানা তবু বারবার কেন দেয় হানা,
এমন জনের সনে কথা বলতে, এ মনটা যেন মোটেও তার মনের সাড়া পায়না ।
পর্ব – ০২
আমার এমন একজন,
মানুষ এখন বড় বেশী প্রয়োজন,
পারবেন কি ওরে,তারে খুঁজে দিতে আনি,
বহুত খেয়েছি, রাখেন আপনার বিরিয়ানি,
যেজন নিত্য প্রতিক্ষণ,
গোপনে মিথ্যা ও মন্দটার সনে করছে রণ,
নিদান ও নিয়তির বেদন ও সুখটারে লয়ে মানি,
পারিছে না তবু চেষ্টা প্রাণপণ, টানিছে তার সত্যের ভার মন্থর ঘানি,
নিজেরে ঢাকা, দূরত্বে থাকা, ইশারায় ডাকা, ভাল লাগেনা অন্তরালের ঐ সে অভিনয় ।
গ্রাম পোষ্টাফিস,
কেন অবিরত কথাবলা ফিসফিস,
কোথা পাবো তার হদিস,
না হয়ে ওরে যে এত বিরস ও নিরামিষ,
হতো যদি সে, মোর কাছে এসে, রসিকা বন্ধু একটুখানি ইশ,
কি চান অ ভাইজান, দিতে পরিচয় সেকি অপমান, তাতে কিসের সরম কিবা ভয় ।
কেন লুকোচুরি,
মগজে দিয়ে সুড়সুড়ি,
চটপটি, ফুচকা নাকি ঝালমুড়ি,
খেতে কি মন চায়, ডানহাতের কনুইয়ের তুড়ি,
গরম বকাঝকার তীক্ষ্ণ তীর মারবো নাকি ছুড়ি, অকারণ এত জ্বালাতন কত সয় ।
কে আপনি বলুন,
ঢাকনা তুলে এবার ঐ মোখটা খুলুন,
আঁকাবাঁকা ঐ পথটা ছেড়ে এসে এই সোজা পথে চলুন,
কি বাসনা মনে, যদি ভালই বাসুন,
কিবা কিছু পেতে বা দিতে হলে, আড়াল হতে সামনে আসুন,
ভনিতা ভুলে রহস্যের জটটা খুলে, সত্য বলুন কি চান আর কিবা আপনার পরিচয় ।
নাড়ছেন বারবার কড়া,
দেখাবো মজা, একবার সাহেব পড়লে ধরা,
সকাল, দুপুর, বিকাল, সন্ধা কিবা রাত নাই, বড়ই তাই বিরক্তি ভরা,
হতেও পারে মধুর,
যদিরে হয় তা এমন, নহে বেশী দূর,
প্রভাতে শিশিরের কান্না ভেজা বকুল ও যে রাত হয় সিউলি ঝড়া,
সহজ ও সরল, নাই কূট-কৌশল, নহে কোন ছল তারাইতো সফল হয় ও লভে বিজয় ।
আমিযে জিয়নে মরা,
বেহায়া বাসনাগুলি সব জ্বালাতন করা,
আমার ভূবনটাযে এক পোড়াবন ও ধূসর বিজন বালুচরা,
ওরে বন্ধু বিহনে, পুড়েপুড়ে সে অদেখা আগুনে, পরম সহনের এ সুনাম গড়া,
রাত দুপুরে ঘুমের ঘরে, শুধু রহস্য ভরে বিরক্ত করা, বলুন চিন্তা করে সে কি শোভন হয় ।
ভালতো লাগেনা,
এ পরানে ওগো আরযে সহেনা,
একাই যার বহিতে হয় ভার, সব পেরেশানি ও তাড়না,
সেতো বন্ধু নয় যেজন যাতনা হয়, কেন মন্দ না হয়ে লোকে ভাল হতে পারেনা,
কেমনে সে ভাল মানুষ হয়, তামাসার খেলা যার খেলিতে বাসনা, অসহায় অবলারে লয় ।
পর্ব – ০৩
একটু সুখের লাগি গোপনে কাঁদে,
আজ নাহয় যেমনই কাটিছে দিন নানা কষ্ট, আপদ ও বিষাদে,
দেখিযে হায় কত সুজন বিনাদোষে অকারণ, পড়ে আছে যেন ভীষণ এক নিদানের ফাঁদে ।
নয়রে কোন অতীতের ক্ষতি,
বর্তমানের হাল ও ভেবে কি হবে ভবিষ্যতের গতি,
মানুষ এগিয়ে যায়, ছুটে সুখের আশায়, নবজীবন গড়ে ঘর বাধে পোড়াভিটায় বন্ধুটিরে লয় ।
কে বলেছে হয়না,
সেযে মিথ্যে রটনা, তাই আমি তা মানিনা,
সুখতো ওরে আবার,
দুঃখের পালা বদলের পরে তার,
ফিরে আসতেও পারে,
এতদিন অনাহুত সে কাঁদিয়েছে যারে,
হবে দুঃখী ঐ দুজনা,
পরম সুখী সোহাগ ও আহলাদে আটখানা,
একটু সুখেওতো ভরে যেতে পারে ঐ সে নতুন পাতার ঘরখানা,
অল্প কয়দিন পরে ঢের, ঐ ঘরেই সে আসিবে ফের, লয়ে ফিরে সুখ পূরো একসের নিশ্চয় ।
সুখ ও দুঃক্ষটার,
হতে চাহে চির জনম জনম ভাগিদার,
ভাল কাজ করে ও ভাল কথা কয়,
এ মন ও দেহটারে দিয়ে, উজার করে বিনিময়,
মন মনন চলন বিদ্যা ও ধন কিবা প্রকাশ ও বলন কি এক হয়,
সবার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা, বৈশিষ্ট্য, গুণাবলী, ভাগ্য কিবা তার পরিচয়,
দৃশ্যমান মন্দের ভিতরেও আছে কিছু ভালো,
আবার আলো ছড়ানো বাতির তলেও রয় লুকানো একটু আঁধার কালো,
যারা বন্ধু হতে বাড়ায় হাত, কাটেনা দিন কাটেনা রাত, তাদের সবাইতো ওরে মন্দলোক নয় ।
হতো যদি মাঝেমাঝে দেখা,
নাহলে হতো দারুণ মজার পীরিতির পত্র লেখা,
মনটা ওরে যেন ভরে যেত,
মাসে একবার যখন ডাকপিয়নে বাড়ী আসিত,
দিদি তখন আমার, পত্রটা হাতে পেয়ে তার, হরষের বানে ভাসিত ।
চুরি করে পড়ার আরাম,
দেখে ডাকপিয়নের হাতে নীল খাম,
মধুর প্রেমের রঙীন চিঠি, লিখেছে প্রিয় বন্ধু সাম,
আজ কেন হায়, নেই মনের দুনিয়ায়, আগের প্রেমের সেই সুনাম,
মরমে লেখে নাম, করে মন বিনিময়,
কখনও হলে চার চোখের মিলন, বলুনতো তবে তা মন্দ নাকি ভাল হয় ।
শুধু আমরা দুজনে একা,
নতুন জীবনের একে অপরের বুকে বেধে রাখা,
ফুল বিছানো চাদর ও একখানা ছবি আঁকা সাতরঙ রেশমী ঝালরে ঢাকা,
দুজনের চাওয়া যদি এক হয় তবে কভু হতেতো পারে আকাশ মাটিরে স্বাক্ষী করে শুভ পরিনয় ।
দুজনে দুজনার কাছে হতো প্রেম শেখা,
বাধনের গন্ডির বাহিরে এসে ক্ষণিকের চোখের দেখা,
মেঘের সনে দূর বিজনে ঘুরে বেড়াতাম, মেলিয়া মনের দুটি পাখা,
যেথা আর কেউ নেই, উঞ্চ মধুর মোহ লগ্ন সেই, দারুণ মধুর মদির নেশা মাখা ।
কত কথা বলা আর কত কাজ রয়ে যায় বাকী,
জীবন মেলার এ খেলা বুঝা ভার, হঠাৎ মরণ এসে নিয়ে যায় ধরে ডাকি,
জানি জীবন মানে জোয়ার-ভাটা,
চলার পথে রয়েছে কত খাদ ও ছড়ানো কাঁটা,
তা সয়ে ও মেনে লয়ে শত পাওয়া না পাওয়ার সব সুখ-দুঃক্ষটা,
মোটেও ওরে তা বড় কিছু নয়, যদিগো প্রিয় বন্ধু একজন, সোহাগী ও দরদী সারাক্ষণ পাশে রয় ।
পর্ব – ০৪
আগে হোক পরিচয়,
তা ওরে না যদি হয়, তারে কি জীবন কয়,
আজীবন রলে কানা, না হলে চেনাজানা কারে যে কয় জীবন,
বাঁচন-মরণ সবই সমান, সব ধন-জন, এত সুখ-বিনোদন সকলই মিছে ও বৃথা অকারণ ।
মন খুলে কথাবলা,
সাদরে হাতে হাত ধরে নির্ভয়ে দুজনে চলা,
যাদুর ঐ বিনি সূতার বাঁধন, যদি হয় দুজনার দুটি মন করে বিনিময়,
আলো বিনা কোন ভাল নয়, পথহারা ও আকুল বিজন আঁধারে বাতি ছাড়া ঐ সফর কালিমাময় ।
বিজয়ি, সফল ও ধন্য হতে,
আছে কার স্বরণে, জীবনে ও মরণে দুই জগতে,
স্রষ্টার সনে তার মহাসৃষ্টির,
চাই অটুট সে বাঁধন মমতা ও মহাকরুণার দৃষ্টির,
চির জনমের ঐ ঘের,
জীবন ও মরণ, সকল কথা ও কাজের,
আজীবন প্রতিক্ষণ, সব রণ ও যত ধন-জন ওরে ছিল মানুষের,
বলছে সুজনেরা ডেকে, সাবালক হওয়া থেকে, সচল বার্ধক্যের প্রতিদিন প্রতিক্ষণ সময়ের,
মনেহয় বুঝি ভুলে গেছে সবে, সবকিছুর ষোলআনা হিসাব দিতে হবে, হয়ে শূন্য একা হলে সময় ।
মনিবের সনে গোলামের,
মহান ও উদার এক রাজার সনে ঐ দাদনের,
দাতার সনে অতিব গোপনে গ্রহিতার ও পালকের সনে খাতকের,
কেমনে শোধ হবে দাদনের ঐ দায়ঋন,
না যদি হয় সঠিক জানা-পরিচয়, আর টিকে রয় তাহা চিরদিন,
সঠিক লেন-দেন, দান-প্রতিদান ও বন্ধু সুলভ সবকিছু বিনিময়,
সেতো নয় সাধন, সাধনা বিনা কি হয় কভু মন, সে যে মানুষের এক ভয়ানক অবক্ষয় ও পরাজয় ।
বারবার কাছে আসে,
উজার করে পরাণ ভরে যে ভালবাসে,
কথায় কথায় আলতো ছোয়ায়, দুষ্টুমিতে হাসায় ও হাসে,
যদিগো মন ভরে যায় শুধু ঐ টুকুতেই, তবেতো আর কোন কষ্ট নেই উপবাসে,
ফুল দিয়ে হাতে বাহুতে জড়াতে, কোলে তুলে নিয়ে চুমোতে, ভরানো মদির নেশায় ভালবাসাময় ।
দুজনের যদি হয় ঐ একই কষ্ট-বেদনা,
দুটি দেহমন আকুল হয়ে রয়, মোখে নাহি কয় একই সাধ, প্রয়োজন ও বাসনা,
যদিও জানি ওরে সবেতো তার সবটুকু পায়না,
তবে আশা ও চেষ্টা করায়, কিসের বাধা কিবা তা কে করেছে মানা,
বলো কি নেই ঐ বিধাতার কাছে, ফুল ফুটে ও ফল ধরে মরা গাছে, আর কোনটা সে পারেনা ।
ক্ষতি কি যদিরে আবার সুখের,
ধূসর জীবনে রঙ আর, একটু মধু সঞ্চার নাহোক তা ঢের,
জোড় বেধে ফের, উপচে পড়া ভরা জোয়ারের, একটা নতুন জীবন পূরো একসের দুজনেরই হয় ।
সে’ই হবে মোর মানিক ও রতন,
নাহি ধন, চাই সোনার মানুষের ভিতরে একটা মাটির মন,
জাগাবে তোলপাড় আলোড়ন শিহরণ, রাঙাবে ভরাবে দুজনের দেহমন যখন তখন ।
পালিয়ে নির্বাসনে কেন সুমতি,
ঐ দিনগুলি গেলো কই, আজ কোথা ঐ সতী,
সবকিছু যেন যাচ্ছে চলে নির্বাসনে হয়েছে বলে তারা আধুনিক অতি,
করেনা শয়ন সারাটা রাতে,
হয়না ভোজন অন্ন পড়েনি বলে তার সংগীর পাতে,
বলবো কারে বুঝিবে কে আহারে, হয়েছে মানব জাতির কি সে মহাক্ষতি,
এখনও ঘরে আসেনি ফিরে বলে তার, আত্তা ও দেহটার আধখান পরম আপন প্রিয়জন পতি,
সে কিগো নয় তবে, হয়তো এমনই হবে, ভালমানুষ আর আস্থা ও নির্ভরতার ঐ প্রেমের পরাজয় ।
পর্ব – ০৫
কই সে ওরে ঐ মমতার ভালবাসা,
কেন নাই একটুখানি শ্রদ্ধা, বিনয়, আস্থা ও নির্ভরতার ঠাই ও আশা,
কেন মানুষগুলি বদলে আজ যেন হয়েছে এমন,
আচরণ যেন পশুর মতন, তবে কি আবার তারা আহারে সুন্দর এ ভূবনটারে বানাতে চাহিছে বন ।
আজ কেন দেখছি এমন,
স্বামীর হাতে স্ত্রী আর স্ত্রীর হাতে হচ্ছে স্বামীর করুণ মরণ,
উল্টো হলে কি হবে তখন, যদিরে কভু হয় এমন, না হয়ে উর্ধে শির ও ভূতলে চরণ ।
মানুষ কেমনে খুনী হয়, খুন করে প্রিয়জন,
সীমানাহীন, বিশাল বড় এ বিশ্বজগত মহাভূবন,
কিইবা ওরে ক্ষতিটা এমন, নাহলেইবা বেশী সুখ ও বেশী ধন,
এককোণে পড়ে থেকে তার কেটে যেতেও পারে, যায়রে হেন কত ছোট্ট এ জীবন ।
যদিরে আসে হয়,
হতেও পারে সেতো অলীক কিছু নয়,
না যদি ভরে, আর শুধু আনচান ও ছটফট করে, এ দেহখান, নয়ন ও মন ।
এইতোরে জীবন ওরে এইতো জীবন,
যেথা রবে অনটন, কিছু সুখ কিছু হর্ষ ও কিছুটা কষ্টবেদন,
কিছুতেই আর না যদি সয়, তুমি কি জানো কতযে ভাল এই বেশী সহন,
আর কি কোন সহজ ও ভাল পথ ছিলনা, সালিস, সমঝোতা, তালাক কিবা পলায়ন ।
চুরি করে কেন তারা ঝুটা খাবার খায়,
বিয়ে নয়, জানিনা পরকিয়ায় কেন তারা এত বেশী মজা পায়,
তাই দেখে দেখে, যদি এ সমাজ থেকে, বিয়ে ও সন্তান এ প্রথা ও বিধানটা উঠে যায় ।
চারিদিকে শুধু খুন আর খুন,
দিনকে দিন তা লাফিয়ে বাড়িছে দ্বিগুণ ও ত্রিগুণ,
বিচারের নামে সবখানে চলছে পক্ষপাত, জুলুম, অন্যায়, অবিচার ও প্রহসন ।
অবাধ সহস্র অপরাধ, কে করিবে তা দমন,
পথে পথে ঘুরে আর জনে জনে দ্বারে দ্বারে গিয়ে করিছে ক্রন্দন,
বিচারের লাগি কেন অসহায় মজলুম, মনে নাই শান্তি চোখে ঘুম, রাজ দরবারে না করে গমন,
রাজা বাহাদুর অতিশয় বিজ্ঞ ও বিচক্ষণ, তার আইন, বিচার ও প্রশাসন কি তার লাগি দায়ী নয় ।
আসামী ধরা পড়ে, জামিন পায়,
অপরাধ ও আনন্দের জীবনে ফের ঘুরে বেড়ায়,
এমনি বহুদিন কেটে যায়,
হয়না তা কার্য্যকর হলেওবা কোন মামলার রায়,
যত মন্ত্রী, উজির, নাজির ও কাজি,
সবাই দেমাগে ও অন্তরে পাঁজি, হলেও বাহিরে উদার, শ্রেষ্ঠ ও মহান গাজী,
এসব জেনে, দেখে ও শোনে কেজানে কিবা সুখ পায়, কেমনেবা ঘুমায় ঐ গুণধর রাজা মহাশয় ।
কি দারুণ মজা চলছে,
কাজের কাজ কিছুই নাই, বড়বড় কথা সবাই বলছে,
যুগ যুগ বহু বছর মেতে টাকার খেলায়,
নেতা ও আমলা, আরদালি, পেয়াদা ও কামলা, মহাব্যস্ত সবায়,
চলছে আইন ও বিচার ব্যবস্থার ব্যবসায়,
একে অপরকে দোষ দিয়ে শুধু ঠেলছে, তবে কে নেবে ঐ দায়,
তারিখের পর তারিখ পড়ছে, বাদী-বিবাদী নিয়মিত ঘুরছে, হাজিরায় আদালতে তারা আসে যায় ।
এখন বড় প্রয়োজন তা জানা,
বেপরোয়া পরকিয়া প্রেম কেন হয়ে উঠছে যেন হার না মানা,
কে করিল কেমনে ওরে সবার লাজ-ভয় হরণ,
কিসে সমাধান আর, কিবা তার ঐ অজানা রহস্য ভেদ ও কি কারণ ।
পর্ব – ০৬
সে কিরে জীবন,
অবাধ অনাচার যৌন বিনোদন,
কেউ বলে তা পথ হারা লক্ষ্য ছাড়া ডিজিটাল দরশন,
বিয়েতে নাই কেন, বেশী শিক্ষিত ও অতিব বিত্তশালী যুব সমাজের মন,
যারা অতি আধুনিক ঠিক কি বেঠিক, বুড়িগঙ্গার নষ্ট জলে গা ভাসিয়ে চলে সে উদ্ভট জীবন ।
বিকৃত মানসিকতা ও মন,
নানা নিয়ম, নীতি, আদর্শ ও তার অনুশাসন,
যারা পুরুষের মতন নারীরও চার বিয়ে চায়, কিবা করছে তা সমর্থন,
কভু হয় কি জীবন,
স্বামী-স্ত্রী ছাড়া ও সন্তান বিহন,
কি হবে কি করিবে দিয়ে তব এই এত সুখ-ধন,
বুঝি মনে করে তারা, বিয়ে করা মানে নারীর স্বাধীনতাটা হরণ,
নাট্যমঞ্চটা কেমনে হয়রে জীবন,
হয়েছে হরণ যার সবটুকু ঐ দরশন ও শ্রবণ,
নির্বোধ ও অন্ধগণের কবে কেমনে হবে জাগ্রত সে বোধ বা অনুধাবন,
যেথা মেখে রঙ, সেজে সবে সঙ, শুধু ঢং আর ঢং সারাক্ষণ নাঁচন, গাহন ও বিনোদন ।
না, নিশ্চয় তা নয়,
বরং সেযে ওরে পরম ভালবাসাময়,
বুকেতে জড়ায় বলে শুধু চায়, আলো ও ভালোয় করে নিয়ন্ত্রণ,
দুজনে দুজনের উপর, প্রায়ই যেন উঠে ঝড়, চালায়যে এক সোহাগ শাসন ও বাধন,
এইতো চাহে জীবন, যাচে সে তা অনুক্ষণ,
হতে পারে তাতে পুরুষের বেশী ব্যয় ও বেশী দায়, আর নারীরও যেন বাধা পড়ে যায় দুচরণ ।
ওহে অর্বাচীন,
দেশের কাছে তব অনাদায় রয়েছে সহস্র দায়-ঋন,
পরিজন, পড়শীরও পাওনা আছে, জীবন মানেতো দেনাপানা ও লেনদেন বেঁচে থাকো যতদিন,
জীবনের লাগিইতো এত রণ আর এত সব উপার্জন,
কেন সে তোমারে করিল সৃজন,
কি সে চায় কিবা তব দায়, একবারও কি হয়না ভাবনা কিবা তা স্বরণ,
যে করিল সৃজন ঐ বিধাতার দেওয়া সব দাদন, করা অস্বীকার সেকি হবে সমীচিন বা শোভন ।
কেউবা আবার স্বামীর ঘরেই থেকে,
চাহে বন্ধু পাতায়, পরপুরুষকে হায় এনে ঘরে ডেকে,
কেউবা তার ঘরে যায়, তার হাত ধরে ঘুরে বেড়ায়, সব কলংক ঢেকে,
বেশী সুখের আশায়, অলখ্যে পথভ্রষ্ট ও বেহায়া নষ্ট হয়ে যায়, পবিত্র নিজ একটু সুখ পদতলে রেখে ।
যখন যেমন খুশী, হবে তখন তেমন মিলন,
কিবা তার হাত ধরে, চুরি করে অবাধে বাহিরে বিচরণ ইচ্ছে যেমন,
আর যদি এমনই হয় স্বামী-স্ত্রী তারা দুজন,
আর কি কোন পথ নেই তালাক বিহন, চল্লিশ দিনেও না হলে সংশোধন,
সবসময় খাটাতে চায়, না পেলে বেশী জ্বালায়, বেশী চাপ, বেশী অধিকার ও বেশী শাসন নিয়ন্ত্রণ ।
যাই বলি আর নাম দেই তার,
পরকিয়া প্রেম কিবা নষ্ট জীবনের অবৈধ যৌনাচার,
ডিজিটাল এ সমাজে এখন,
ঘটিছে নিত্য বিষানো চিত্ত কতযে এমন,
লাখো গুপ্ত অপমৃত্যু বা অভিশপ্ত জীবন ও তেমনই মরণ,
অনায়াসে, নির্ভয়ে ও অবলীলায় ঘটিছে অহরহ নির্মম ও নৃশংস শত অঘটন,
এ অনাচার, নাই বলে শাস্তি ও বিচার, রাজায় কি তার জন্য দায়ী নয়,
সোনার সিংহাসন, শত সুখ তার ও অসীম ক্ষমতার যদিরে বিলীন হয়, নাই কেন তার কোন ভয় ।