ভূমিকা – এ নগণ্য কাব্যটি ভারতীয় বিখ্যাত ও চমৎকার হিন্দি গান – অ যানে ওয়ালে বাবু একটা পয়সা দে দে এর মর্মার্থের আলোকে ও চিরন্তন সত্য জীবন দরশনের উপর ভিত্তি করে রচিত হয়েছে । এর বোধগম্যতা, বিশ্বাস, যথার্থ মূল্যায়ন, জীবনে তার মান্যতা বা বাস্তবায়ন, মন্তব্য ও যত তার মন্দ-ভাল কিবা লাভ-ক্ষতির ষোলআনা সবটুকুই বিচক্ষণ পাঠকগণের একান্তই নিজের ।

পর্ব – ০১

একেশ্বর হে আল্লাহ মহান ।
মহাজগতের শাহানশাহ ভুবনেশ্বর,
হে গড, প্রভু, প্রতিপালক, জগদিশ্বর ও পরমেশ্বর,
অবিনশ্বর তব এক পরিবার একটাই ঘর,
সকলেই তোমার পোষ্য ও প্রজা, পরম আপন কেউ নহে তব পর,
ভুবনেশ্বর মহাচিরতর, স্নেহ মমতার ছায়াতলে, যে যাই বলে ডাকে তাকে ঈশ্বর কিবা ভগবান ।
তুমি করেছো করছো সৃজন,
হে নিপুণ কারিগর যখন যেমন চাহে তব মন,
জাত, রকম, প্রকার ও ধরণ বিস্ময়কর তার অজস্রতার মহাপ্রকরণ,
ক্ষমা করা ও ভিক্ষা দান, কে আছে আর তোমার সমান, তব সম কিবা যেমন তুমি এমন মেহেরবান ।
পরম করুণাময়,
ইচ্ছে, সাধ কিবা বাসনা হয়,
মহাবিশ্ব জোড়া,
তোমার সাজানো ও বড় সাধ করে গড়া,
এক মহা পরিবার,
ভিন্ন সবার নানান মজাদার খাবার,
কারোটা কেউ খায়না, তোমারইতো সব ও সবার রিজিকের দায়ভার,
কোটি প্রাণীর সবারে ভিন্ন মজার হরেক খাবার খাওয়ান, সবারই তিনি কল্যান, মঙ্গল ও ভালোটা চান ।
যত লাভ ও যত ক্ষতি,
সবই তোমার খেয়াল ও ক্ষোভ কিবা প্রসন্ন মতি,
দিয়ে ধন ও জন,
সুখ-দুঃখ, জীবন ও মরণ,
এত যতনের ভরণ-পোষণ ও লালন-পালন,
পরমাদরে আঁধারে দেখিয়ে পথ, নিরাপদ হেফাজত ও করিতে রক্ষণ,
লোকের জয়-পরাজয়, উত্থান-পতন ও লাভ-ক্ষতিটার সবই তোমার কেরামত, নেয়ামত ও রহমতের দান ।
এত কুদরত, রুপ ও বাহার,
চোখ ও মন ভরিবার, মনোরম সহস্র নিদর্শন চমৎকার,
নিত্য দিবস ও রাতি সারাক্ষণ,  
জ্বালিয়ে তোমার তীক্ষ্ণ আলোক বাতি করছি তা দরশন,
হে দাদনের মহাজন, তুমি সে খোদা আত্মার ক্ষুধা, ঐ সে সুধা ভরিয়া মন ও পরাণ করছি আমি সদা পান ।

পর্ব – ০২

তুমি নির্দোষ পাকজাত,
ধরে ও বহে সকল দিবস-রাত,
নাই যার ওরে কোন অবিচার বা পক্ষপাত,
তিনখানি চোখ মেলি দেখছি তা সারাবেলা,
দেওয়া-নেওয়ার ও আসা-যাওয়ার সে এক নিয়মের অমোঘ খেলা,
মন্দ ভালো আর,
দুনিয়ার যত আলোক ও আঁধার,  
সবই হতে পারে হবে ও হয়, মিথ্যা কিবা ঠেকাবার নয়, লোকের আপন কর্ম দোষেই তার সে পাওনা প্রতিদান ।
হে মালিক ও মহাজন,
মহাজগতের তুমিযে মহান শুধু একজন,
কারো নিরবে গোপনে অদেখা অশ্রু ঝড়ে,
সহোদরা সহোদর কেউ পায়না জানেনা কারো মনের খবর বসত করেও এক ঘরে,  
কেউ অট্ট হাসিতে যেন আর আটেনা হেন ফেটে পড়ে, গড়িয়ে লুটিয়ে পড়ে যার খুশী যেন আহলাদে আটখান ।
ইশারায় হয় সবকিছু সাধন,
আরশে বসে আইন, বিচার, শাসন ও দমণ নিয়ন্ত্রণ,
যা কিছু বলি আমার তা মিথ্যে, আসলে তারও সবই তোমার, এ মহাবিশ্ব জগত ভুবন,
জগত জুড়ে কোটি বিরাজমান, নিথর, সচল ও অচল কত প্রাণ ও স্থাপনা হোকনা তা দৃশ্য কিবা অদৃশ্যমান ।
রোগ-শোক ও বালাই,
কেউ দারুণ কাতর ও অসহায়, কারো কিছুই নাই,
নিত্য সারাদিন, লোকের ও তোমার ঋন, নানা অনটন দূর্ভাবনায় মাথাটা যেন টনটন, শত সমস্যায় পেরেশান ।
কেউ ক্ষুধায় অন্ন যাচে,
হাত পেতে চায়, কোনমতে খায় ও বাঁচে,
কেউ হরষে জীবনের পঞ্চরঙে ও রসে ডিগবাজি খায়, গায় ও নাঁচে ।
যার নাই তার লাগি চাই,
করো নাই একটুখানি মাথা গোজার ঠাই,
কারো আলো ঝলমল বিশাল প্রাসাদ, তবে থাকার মানুষ নাই,
যাই হোক তাই, নাই কোন বাহাদুরি, আক্ষেপ কিবা বড়াই, যার সবইতো তোমারই অবদান ।
কেউ চেয়েও পায়নি,
কেন, তার কোন কিছুই আমি নাহি জানি,
এমন কত মানুষ বিত্তশালী ও ক্ষমতাধর তেমন কোন যোগ্যতা নাই,  
যার মারমুখী পেশী, কারো এত বেশী ঢের যেন পূরো একসের বুঝি পেয়েছেও তারা না চাই ।

পর্ব – ০৩

কোন অভিযোগ নয়,
তবে জানিনা কেনযে, বড় জানতে ইচ্ছে হয়,
প্রভু, কোনটা সাজা আর কোনটাযে কার কোন কাজের পুরস্কার, কোনটাযে তার ইমতেহান ।
নাই প্রয়োজন তবু তাদের কত ধন-সম্পদ,
যোগ্যতা নাই, তবু লভেছে কিবা জুড়ে বসে আছে তারা কত মস্তবড় পদ,
হয়েছে নেতা কিবা প্রধান নাই যার কোন ন্যায়-অন্যায়, হালাল-হারাম ও মন্দ-ভালর বিবেচনা এমন কত বদ ।
অহম, বাহাদুরি ও সিনাজুড়ি খানখান,
এ সবই দাতার ক্ষমতা ও কৌশল এত বেশী যেন পাহাড় সমান,
কত দেখেছি মিথ্যে নয়, নিমেষেও তা শেষ হয়, যদিওবা মনেহয় আসলে তা নয় চিরস্থায়ী বা অফুরান ।
কত নগণ্য অধম,
চিনলোনা, জানলোনা দিলোনা মূল্যটা যার এক দম,
তুমিইতো আছো তার ভিতর,
লুকিয়ে হে মহান করিতে ত্রাণ, যাই বলি তা আত্মা বা অন্তর,
বানিয়ে মানুষ, করে সৃষ্টির সেরা,
রেখেছো তারে করুণায় ঘিরে দিয়ে তব সেরা রহমতের বেড়া,
কত মূল্যবান তব ঐ সে অদেখা করুণার দান, দুদিনের দুনিয়ার মাটির এ দেহটার তুমিই অমর সে মহাপ্রাণ ।
পড়েনা, রয়েছে ঠায় দাড়িয়ে,
অবাক বিস্ময়ে গহীন ভাবনায় আমি অচিন বিভোরে যাই হারিয়ে,
সীমানাহীন ও খুটি বিহীন সুবিশাল, অজানা বয়স তার কত কোটি কাল, একের উপরে আরেক সাত আসমান ।
অ রাখনে ওয়ালে
এ দুনিয়া কি একলা মালিক, হে পালনেওয়ালে,
তুমি নির্বিকার ও নির্ভাবনায় রয়েছ আয়েশে বসে তব আরশে আপন খেয়ালে,
তোমার করুণায় খেয়ে বাঁচে, আকাশে, মাটিতে ও জলে শত লক্ষ কোটি প্রাণ,
প্রতিক্ষণ মহাবিশ্ব বিচরণ, তোমার আলো ও ভালোটার পথ দেখাতে, জনেজনে করিতে সবারে তার পানে আহবান ।  
তুমি অনন্ত মহাকালে,
মহাসৃজনের এ মহাসংসার তুমি সবার ভালে,
তবুও চলছে সব ঠিকঠাক ভেবে বিস্ময়ে হই হতবাক, সংগী তুমি সব নিদানে ও বেহালে,
তোমারই সব বিধান,
সবারই করিতে হবে মরণের বিষ পান,
এক মানুষের এক জীবনের হবে দুই ভুবনে বসবাস ও অবস্থান,
যার ষোলআনা সবকিছুই তোমার, রহিলে ভাগিদার হতো ছারখার, তব মহান সত্তা কভু হয়না এতটুকু পেরেশান ।

পর্ব – ০৪

কখনো ভীষণ প্রসন্ন,
ক্রোধ ও ক্ষোভে কখনো ক্ষিপ্ত বিষন্ন,
তবুও ক্ষমা, করুণা ও দানের সবকটি দ্বার খোলা উদার ও অনন্য,
দান ও নেয়ামতে ভরা,
এত সাধ করে ও পরম যতনে গড়া,
এ মহাজগত সৃজন ইনসান নামের যে গোলামের জন্য, তারা যদি হয় এত অকৃতজ্ঞ, অবাধ্য, খেলাপি ও বেঈমান ।
কারুণের পাহাড় সমান ধন,
হে দাতা নিমেষে কেড়ে নাও যদি ও যখন চাহে মন,
আবরাহা, নমরুদ ও ফেরাউনের সেনাপতি ও যত সৈন্য-সামন্ত ও চাটুকার লোকজন,
জুলুম, অত্যাচার ও শাসন ও খেদমতের নামে শোষণ এক প্রহসন,
তোমার দেওয়া ক্ষমতার করে অপচয়, অপব্যবহার ও ভেঙ্গে অঙ্গিকার, তুমি কেড়ে নিয়ে ফের করো তার অবসান ।
জগতের যত দুঃখীজন ও অসহায়,
তুমিতো সবই জানো, তাদের কি নাই আর তারা সবে কে কি চায়,
লোকে না জানা ফরিয়াদ,
বুকভরা অজানা কত নিরব ও গোপন বিষাদ,
ভালমানুষের নাই কোন দাম কিবা ঠাই, তাদের চারদিকে যেন পাতানো ফাঁদ ।
মনিব তুমি কবুল কর,
তুমিযে একক প্রভু, একজনই মালিক সবার বড়,
যারা সমস্যায় পড়া ও আপদ ও নিদানে ভরা তাদের সবাইকে কূলে তুলে ধর,
যত দূর্বল ও মজলুমের যত আক্ষেপ, অভিযোগ ও আকুল আকূতি ও সকরুণ আরজি ও ফরিয়াদ, করো আহসান ।
যারা কম পায় ও কম খায়,
কেউবা ছটফট করে, রোগ যাতনায়,  
ঘরে কত মুখ ক্ষুধায় মরে ও আশায় বসে পথ চায়,
ছাড়েনা ঐ ঘের, দুঃক্ষ ও কষ্টে যাদের বারোমাস এমনই জীবন যায়,
মহাজগতে এমন কি আছে যা নাই তোমার কাছে, কিবা তুমি কি পারনা, বলোনা শুনি হে খোদা মেহেরবান ।
বিহানে বাহিরে তারা যায় ছুটি,
পেটভরে খাবে বলে ঘরের সবাই মিলে ভাত ও রুটি,
কারো ছোট্ট সুখের আশা,
মনের মানুষ বুকের তাজমহল আনচান টানটান ভালবাসা,
কত সাধ ও বাসনা বলো তুমি কি পারনা, কেন মন ভেঙ্গে যায়রে টুটি, লোকে কেমনে হয় শুধু তুমিযে শাহজাহান ।

পর্ব – ০৫

যারা ক্ষুধায় মরে,
দিলে দিলে অন্তরে অন্তরে,
তোমায় ডাকে কতনা বিনয় ও ভক্তি ভরে,
মিনতি করে, অনেক আশায়,
যার যা নাই এমন সব কিছুইতো চায়,
আরতো মনিব, প্রভু ও পালক নাই যাবে কোথায়,
বলছি যাদের কথা, তারাযে আসলে বড় অসহায়,
কাতরে চেয়ে থাকে মনেমনে চায় ও ডাকে, ভিতর ও বাহিরের দুটি হাত পেতে ও থালাটা বিছায়,
ঐ জনেজনে নিত্য সবারে হে ভগবান,
তুমি দয়া ধরে তাদের একটি টাকা করে ও একটা রুটি করো দান, পেটভরে যেন যায় করে জলপান ।  
কে বলেছে তুমি অনেক দূরে,
বিদ্যান হলেও তারা মূর্খ কানা, তুমি নিঝুম বিজন অন্তপুরে,
তারা কিছু জানেনা, দেখেও দেখেনা তাই খুঁজে পায়না, জীবনটা গোলক ধাঁধাঁর চক্করে ঘুরে,  
দিনভর হেটে হেটে পথে পথে ওরে, হাত পেতে পথচারি সব বাবুদের কাছে কাতরে একটি টাকা চায় হে ভগবান ।
যদিও কেউ কেউ দেয়, অনেকেই দেয়না আবার,
কতনা কটু কথা বলে ও করে ভর্ৎসনা ও তিরস্কারের ছলে নানান দুর্ব্যবহার,  
তুমি সবার সব মিলিয়ে দাও,
শুধু তুমিই জানো ও নিমেষে পারো যদিরে তাই চাও,
যারা অথই সাগর জলে যেন হাবুডুবু খায়, কূল নাহি পায় দয়া করে তাদেরে তড়াও,
তোমার নিজের নাই কোন প্রয়োজন, কে আছে আর তোমার সমান ভান্ডারও তোমার এমনই অনন্ত ও অফুরান ।
হে মোর অন্তর্যামী,
যে নামে তোমায় ডাকিনা কেনরে আমি,
তুমি দেখতে ও শুনতে পাও, বিনয়, মান্যতা ও মিনতিযে অতি দামী,
জাত যাবার দুর্ভাবনায়, যারা নাম চায় জানিনা কেনরে তাদের সবায় অন্তরের অন্তরখানি উঠে ভীষণ ঘামি ।
কেমনে তার সাক্ষাত পাওয়া যায়, থাকেন কোথায়,
এ মহাবিশ্বটার ষোলআনা একক মালিকানা যার ঐ সে মহারাজায়,
মিথ্যে নয় হয়তো রয়েছে জানা, চিরসত্য বদ্ধমূল ঐ বারতা সব বিশ্বাসীদের ধারণায় ।
সব নিমেষের প্রতিক্ষণ,
কে কি করেছে মন্দভাল ও পাপপুণ্য আজীবন,
সকলের সব কথা ও কাজ হে মহারাজ তুমি রেখেছো করে তা নিবন্ধন,
রোজ হাশরে সব সত্য করিবেন অস্বীকার, এমন জন রয়েছেন অগণন,
করিতে নিখুঁত বিচার, সবার ছবি সমেত স্বাক্ষী ও প্রমাণ, চিরসত্য অক্ষয় ও অমোচনীয় ঐ বালামের সব খতিয়ান ।  
ঐ ডাক নিরবে গোপনেও হলে একবার হায়,
অদৃশ্য হেকমতে মহাকরুণার ঐ দরবারে তোমার জানি নিমেষে পৌছে যায়,
যে খোদায় বহুদূর প্রাচ্যের এক কবুতর ও পিপড়াকে হজ্ব করায়, সে কত বড়, কত মহান ও কত অসীম ক্ষমতাবান ।

পর্ব – ০৬

মনিব আমার এমনই একজন,
তার ইচ্ছার শুধুযে হুকুম জারির মহাজন,
হয়না দেরী তিলক ক্ষণ,
বিশাল অগ্নিকুন্ড কেন পারেনি তার কাজ করিতে সাধন,
মাছের পেটে থেকে চল্লিশ দিন, সাগর তলের গহীন দেশ করেছেন ভ্রমণ,
ইশারায় সব হয়ে যায়, ক্ষুদ্র মশা ও পাখীর দল করেনি রাজা ও বিশাল এক রাজ বাহিনী নিধন,
লোকের চোখ ও দেমাগের দুনিয়ার যত দৃশ্যমান,
সব ক্ষমতার সীমানা দিয়ে বাড়িয়ে ডিঙিয়ে ছাড়ি, অনন্ত অসীমে গিয়েছে যে রাজা একজন তুমিযে ঐ ক্ষমতাবান ।  
হে সর্ব গুণের অধিকারী,
এ মহাবিশ্বটা তোমার অনেক বাড়ীর একটা বাড়ী,
হে আকাশ ও জমিনের মালিক, একক ও চিরন্তন তব এ মালিকানার জমিদারী ।
তোমার সাজানো ঐ সে মেলা,
নানান রঙের মেলায়, আহা সে যে কত রকম খেলা,
দারুণ সে নেশায় ও মায়া-মমতায় জড়িয়ে কোন ফাঁকে হায় কেটে যায় সারাবেলা,
পায়নি বলে সন্ধান, পায়না একটু সময় মিলাতে পারেনি যারা অনন্ত যার অন্তরালে ছোট্ট এ জীবনের হিসাবখান ।  
নিজেরে ভাবে সব জানা,
শুধু তারাই করে, যারা আসলেই অবুঝ ও কানা,
বললেও হয়না কাজ করলেও তাদের শত মানা,
লোকে যা বলে সব মিথ্যে, দুনিয়ার এ ধন-সম্পদের তার যে মালিকানা,
ছোট-বড় সহস্র পরীক্ষায় করেছে ফেল ও রণে গিয়েছে হারি না বাড়িয়ে তার পুণ্যের জমাখানা ।
তবুও, যতই তারা গুনাহগার,
ক্ষমা করে, এখন আগে বাড়িয়ে দিয়ে ঐ সবার পুণ্যখান ও তার নাম্বার,
মাফ করে দিয়ে সবার সব ঋন, পাশ ও বিজয় নয় কোন বিষয় কঠিন, হে খোদা তুমিইতো তার সব সমাধান ।
অটল বিশ্বাস বুকে ধরে,
আজও তোমার কাবা বানিয়ে তারা মনের ঘরে,
দেখি কোটি কবুতর দলবেধে উড়ে নিত্য ঘুরেঘুরে তা জিয়ারত ও তাওয়াফ করে ।
যদিও সে বাণী সবারই জানা,
আল্লাহপাক কোন প্রাণীরই হিসাব লবেননা ও শাস্তি হবেনা,
সৃষ্টির সেরা হবার যেমনই দাম, রয়েছে দায় অনেক কাম, নাইরে কারোই জাহান্নাম, ছাড়া শুধু জিন ও ইনসান ।
সামাণ্য নড়চড় হয়না ও কভুই হবেনা,
চিরসত্য মহারাজার জবান, অঙ্গিকার, বয়ান ও সব ঘোষণা,
একথা সকল প্রাণী জানে ও বিশ্বাসে মানে, জানিনা শুধু মানুষ কেনরে ঠিক তেমন হয়না ।
তার চিরন্তন স্বাক্ষী ও প্রমাণ, হয়ে ও বুকে লয়ে অক্ষয় বহমান, আজও সবারে ডেকেডেকে হয়রান পাক কোরআন ।

পর্ব – ০৭

মক্কা-মদীনা এখনও যেতে না পারা,
ঐ প্রেমেতে মজে মনের কোণে আকুল ও বেচুইন হয়ে রয়েছে যারা,  
নেই কোন পাপ তবু কেন ঐ ভাবনা ও বাসনার চাপ, বেহেস্তে যেতে হতে চায় তারা আরও অধিক পুণ্যবান ।
কেউ যদি এমন বলে,
হে মহারাজন, তুমি কি তখন করবে তাহলে,
থাকতে আমার এতবড় ও এত ধনী একজন মনিব হেন,
এ বিশ্বটা যার কিসের অভাব তার, লোকের কাছে তবে আমি চাইবো কেন,
কোন ভিখারী কভু খালি হাতে, হতাশা লয়ে তব দরবার হতে ফিরেনা যেন ।
হে আমার মালিক মহান,
যারা ওগো অসহায়, রেখো হে প্রভু মোর এ মিনতি খান,
চাইনা আমি মানুষের করুণার দান, আমার মন বলে সাবধান, মহারাজন মহাবিশ্ব বিধাত্রীর
কভু হয়না যেন কোন অসম্মান ।  
শুধু নয় মুসলমান,
দুনিয়ার যত হিন্দু, বৌদ্ধ ও খৃষ্টান,
তারা সবাইতো তোমার নবী বাবা অদমের সন্তান,
সবাই মানুষ সবাই সমান, হলেও হতে পারে তাইতো হারে কর্ম্ম ও ভাগ্য গুণে, জনে জনে হয় তার কদরের ব্যবধান ।
অধম গোলাম যেজন, অটল এ একিনে বলীয়ান,
সত্য বলা ও সুপথে চলার সুজন, যাই হোক তার পেশা ও যেথা অবস্থান,
এক খোদায় ও তার ক্ষমতায় ভক্তি, ভয়, বিশ্বাস, বিনয় ও মান্যতায় ডুবে আছে সদা রয় যে অন্তরখান ।
শুধু তুমিইতো সবার বড় ও স্রষ্টা মহান,
যারা কাল বা সময়ের দুর্বিপাকে, তাদেরে করো আহসান,
তাদের সবারেই দুই দুনিয়ার দুই জীবনেই তব অঙ্গিকার উত্তম পুরষ্কার করো দান,
হে প্রতিপালক,
তব বড়ত্বের বাহাদুরি ও চমক,
হে মনিব ও প্রভু এ জীবন-মরণ সবই তোমারই দান, মিথ্যা নয় তুমিযে পরম করুণাময়, বড়ই মহিম ও মেহেরবান ।
আমি কিঞ্চিত করিনু বন্দনা,
কত সাধইতো মনে, তবে সাধ্যটাতো আমার হাতে না,
তাই মোর কোন দুঃক্ষ নাই,, কত আশার হয়েছে মরণ ও কত সাধ পূরণ হলোনা,  
এইতো আমার কাজ, যার পেয়াদা সে মহারাজ, মনিবের গুণের করিবো প্রকাশ ও যেটুকু জানা ঐ সত্যের প্রচারণা ।
কত এখনও বাকী দেখা, শেখা, চেনা ও জানা,
তাই পড়ালেখা করছি, মনিব যেন না বলে মোরে নির্বোধ ও কানা,
প্রভুর ইচ্ছাতে বিজয়, তিনি মোরে যা করাতে চান আমি করবো তাই নাকরে কভু মানা,
তিনটি নয়ন, একটি মন ও যেটুকু মেধা ও মননের দরশন, সবে মিলে করছে অবিরাম গহীন গবেষণার সাধনা ।
আমারে সদা ঐ বলয়ের ভিতরে টানে ও ডাকে,
আজীবন দিবস-রাতি, আরশের ছায়ার ছাতি, অন্দরে-বাহিরে চারপাশে ঘিরে থাকে,
এই কলমের শূন্য হাতে, আমি ধন্য হবো যদিগো তাতে, মনিব আমার অধম এ গোলামের প্রতি রাজি-খুশী হয়ে যান ।