পর্ব–০১

বাদাম - বাদাম - বাদাম, চিনাবাদাম ।
কুড়মুড়ে ও মজাদার,
খানিকটা নূন-মরিচ গুড়ো সংগে হলে তার,
জিহবায় দিয়েই দেখুন না ভাই কি দারুণ ঐ রসনার বাহার,
বালু নয় লবনে ভাজা, একেবারে মচমচে ও তরতাজা আমার এ চিনাবাদাম ।
দিনভর বেঁচি আমি তাই,
চুরি নহে ভাই, এ জীবিকা বুকে ধরে কাজ করে খাই,
মৃদু হেসে কহে সে নিশ্চয় তা গর্ব আমার নহে বড়াই,
কোন মিছে ছলেও নয় শুধু সততার বলেই মনে এত জোর ও সুখ পাই,
এক ফেরিওয়ালার, না থাক তার সুন্দর বাড়ীঘর আর হাকডাক, বাহাদুরি ও সুনাম ।
বাজার হতে পাইকারি দরে কিনে,
থলিতে ভরে তিনকেজি করে এনে ঘরে প্রতি দিনে,
হোকনা তা রঙহীন ও কোন বিলাস বিনে,
সেইতো অনেক বড় পাওয়া, বাঁধা নেইযে আমি কোন ধার-দেনা কিবা ঋনে ।
জানি আমি তাই লয়েছি মোর পথখানা চিনে,
দিনে দিনে আয়ু যায় কমে, নিত্য কিছু কায়িক শ্রম হীনে,
আচমকা শেষে যমে ধরে ঠেসে নিয়ে যায় এসে মরণের দেশে অসীম অচিনে,  
সততার এ জীবনে যার রণ ওরে প্রতিক্ষণে, ঝড়বেইতো তার একটুখানি বেশী ঘাম ।
ঝাড় দিয়ে করে বাছাই,
দুপুরটা অগুলি রোদেতে শুকাই,
ভেজে এনে ডালায় ঢেলে আমি রাখি তা ছড়াই,
তারপর পড়ন্ত বেলায়, যদি মনটা চায় তবে ফেরি করতে যাই,
দিনভর সারা বছর পাড়া-মহল্লায়, হাট-বাজারে ও খেলার মাঠে আমি ঘুরে বেড়াই ।
আলস্যে দারিদ্র আনে পাপেতে দুঃখ,
পরিশ্রমে ধন আনে আর পুণ্যতেযে আনে ঢের সুখ,
বিশ্বাস ও ভক্তিতে যে মানে তারেই শুধুযে কাছে টানে ও ভরায় সে বুক,
এই দেহটা আমারে চালায়, জীবিকা ওরে গাড়ীটার চাকায়, নিত্য আমার বেঁচাকেনার এই কাম ।
একজন মজদুর ও ফেরিওয়ালা,
কার বুকে লুকানো কি ব্যথা ও কোন জ্বালা,
শত অনটন গ্লানী ও দুঃসহ একটা অঁচল ঘানী টানার পালা ।
ঘুমহীন বিশাল রাত যেন হয়নারে শেষ,
তারচে ভাল ওরে তাই, এইযে আমি ভাই গায়ে খেটে খেয়ে-পরে আছি বেশ,
যদিও কেউ দেয়না আমারে সালাম,
এক দীনজন মলিন বসন, যাতে সদা লেগে থাকা কিছুটা ময়লা ও ঘাম,
আমার এ দেহ-মনটার কষ্ট, অবসাদ ও ভাবনার বাম,  
থাক বা না থাক এ লোক সমাজে আমার চলায়, বলায় ও কাজে সেরা হবার কোন দাম ।
সুদূর চিন দেশ হতে আসি,
আমার এই দেশ ও এ মাটিকে সে ভালবাসি,
হয় ভোজ্যতেল আর চুলের শ্রেষ্ঠ খাবার ও মজাদার পিঠা বারমাসি,
হয়েছে সোনার ফসল সরস লভে পরম সোহাগ পরশ কভু না মানা হার বাংলার যে চাষী,
শত গুণ আর বহু ‍উপকারি চিনদেশী এই বাদাম,
বদলে নিয়েছে সে তার, নিজেই নিজের আপনার শত বছরের অতি চেনা ঐ পরিচয় ও নাম ।

পর্ব–০২

আমার এই মন,
প্রিয় বধূয়া ও সন্তানগণ,
তারা আমি ছাড়া কত অসহায়,
কত নাবলা প্রয়োজন কতকিছু তারা চায়,
মোখে না বলেও সে বারতা চোখের নিরব ভাষায়,
কে বুঝিবে তা ছাড়া স্বামী/বাবায়, থাকে তারা কোন সে আশায়,
নিত্য যাদের দিনকাটে ও জীবন যায়, নাবলা শত কষ্টে ও নানা সমস্যায় ,
জুটেনা কপালে যার ভরে পাত মাছভাত, দুধকলা পিঠা-পায়েস কাঠাল আনারস ও আমজাম ।
চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদগণে যা বলে,
যদিও বসত আমার ঝুপড়ী ঘরে ঘন সবুজের ছায়াতলে,    
ক্ষুদ্র হলেও আমিও তাদের মত করছিযে সেই মহৎ কাজ তা মিথ্যে না হলে ।
আমার সাতজনের সংসার,
নহেযে অসার যদিও সম তা যেন এক অথই পাথার,
শীত, গ্রীস্ম ও বরষার,
এ জগতে বলো কে খবর লয় কার,
কেউ কেউ বলে তা মিথ্যে মায়া ও ভালবাসার,
দিনমাস যায়, বছরগুলি করছি বড়ই আপদে ও নিদানে পার,
কারো বিনোদন ও তামাসায়, কারোবা অন্তরে বাজে নিরব অসহায় হাহাকার,
চৌদিকে মিথ্যা ও মন্দের ঘের, তাই আজ জীবনের অজানা সব গোমর ফাঁস করে দিলাম ।
বড় বড় যত স্বপ্ন আশা আর,
শেষ নেইযে নিন্দুকের বড়বড় কথার,
না পাওয়া কিবা হারানোর কোন ভয় নাহি যার,
যে যাই বলুকরে ভাই, বিধাতার করুণা যে অসীম ও অপার,
এত ভাল আছি আমি আসলেই যার, কোন জুড়ি নাই আর তুলনাও মিলা অতি ভার ।
শিরে তুলে নিয়ে ছোট্ট একখানা বাজার,
করে চলেছি হামেশা আমি যার বিপণন ও সহজ পসার,
সবাইকে আমি ওরে তাই, আজ এ সুখবরটা ভাই লিখে জানালাম,
হেটেহেটে জনেজনে পাড়া-মহল্লায়, দুধের বিকল্প সস্তায় এমন এক উন্নত ক্যালসিয়াম ।
কি লাভ দুদিনের তরে,
ঐ ধনীদের মত চুটিয়ে শুধু ভোগ করে,
অল্প বয়সে বুড়ো হয়ে শেষে বিছানায় গিয়ে কাবু হয়ে পড়ে,
আলসে কিবা কুড়ে,
নেই যার কোন দাম ঘরে ও বাহিরে,
শুয়ে-বসে না থেকে এবার সবে কাজে চলো, কে চাহে বলো কর্ম কিবা উপার্জনহীন আরাম ।
আমি তা নিজেও জানি,
বিশ্বাস করি ও ভক্তিভরে মানি,
শুনেছি কত চির সত্য ও অগণিত ঐ মহাবাণী ।
পায়ের তলের মাটিখানি,
নিরাপদ ঠাই মাথার উপরের ছানি,
হলে ঐ সে মহান দাতা বিরাগ, ক্ষিপ্ত ও অভিমানি,
পাহাড় সমান যার দান সে’ই আবার তা নিবেন কেড়ে আচমকা টানি ।

পর্ব-০৩

যখন বন্ধ আঁখি দেহটা নিথর ও নিরব হবে,
গুটি গুটি পায় আঁখি মুছে হায়, যে যার ঘরে চলে যাবে সবে,
ঘরে রেখে দিয়ে তার দেনার খাতাখানি,
বেচারা ফেরিওয়ালা সংগে লয়ে তার দুঃসহ জীবনটার অপবাদের গ্লানী,
তাই এ বারতা ছড়াতে চাই, সকলের সব ধনজন ও ক্ষমতা নিরুদ্দেশে হবে একদা নিমেষে নিলাম ।
যত মন্ত্রী ও আমীর,
বুদ্ধির ঢেকি, ক্ষমতার বাহাদুর মহাবীর,
জগতের সব কোটিপতি, সেনাপতি, রাষ্ট্রপতি, উজির ও নাজির,
আছে কি স্বরণ তাদের উদ্ধত বচন, ধন ও ক্ষমতায় যারা হয়েছিল অন্ধ, অবিবেচক, অবুঝ ও বধীর ।
বাদশাহ স্বয়ং সেনাপতি হয়ে বিশাল হস্তী বাহিনীর,
ফেরাউন, নমরুদ, কারুন ও আবরাহা ছুড়েছিল খোদার আরশে তীর,
কাজী কিবা হাজী যারা গোপনে পাজী কি লয়ে হায় ঐ মহারাজসভায় দিনশেষে তারা হবে হাজির,
রবে কি বাহাদুরি, বড় মোখ ও উঁচু শির, না গড়ে ঐ রাজার সনে মিতালি বা না হয়ে গোপনে তার সাম ।
কে ছোট আর কেবা কত বড়,
বিবেকের ঘরে নিরবে বসে একটু যাচাই করো,
সবারই হবে হিসাব ও বিচার পাবে আপন পুরস্কার কিবা সাজা,  
কথায় কাজে মহান ও মূল্যবান, এ মহাবিশ্বটার সব বাদশার বাদশাহ ও রাজার রাজা
মনে রেখো একদিন শোধিতে হবে মহাজনের সব বকেয়া ঋন, হলেও বেঁচে ধনীদের গায়ের চাম ।
ওরে কে বলেছে,
তাদেরও বোধ-বিবেক আছে,
নাহলে কেমনে আকাশের ঐ মহারাজার কাছে,
জীবন লভে ধারে তারা কেমনে পারে রঙ মেখে সঙ সেজে গায় ও নাঁচে,
এ ধরায় উড়ে উড়ে সকলে বেড়ায় ঘুরে বিলাসে তামাসায়, অন্যরা সবে যেথা কোনমতে খেয়েপরে বাঁচে ।
সাঁঝের বেলায় পথ হারায়,
সব অপরাধী প্রাণ আঁধারে হয়ে নিঃস্ব, একাকি ও অসহায়,
কাকতি মিনতি ভরে যে রাজার কাছে সামাণ্য করুণা, ক্ষমা, মুক্তি ও ত্রাণ যাচে ।
সে ভেদ জানা হয়েছে কার,
ফুটেছে যাদের আঁখি ও খুলেছে মনের সব জানালা দুয়ার,
এত আলোতে জনম ও দীক্ষা যার কেন তা আজও অন্ধকার, তার কাছে আসলে কার কত দাম ।
জনম ভর ফেরি করে,
একদা অবশেষে নিশ্চয় যাবে সে মরে,
হয়তোবা বিনা চিকিৎসায় পড়ে থেকে বিছানায় আপন ঘরে,
নতুবা একদিন কোন রাজপথে ধনীদের গাড়ীর চাকার তলে পিষ্ট হয়ে চাপা পড়ে ।
মরণ নামের ঐ সফরে,
অদৃশ্যমান এক হাওয়াই গাড়ীতে চড়ে,
সবকিছু ফেলে আর সবারে ছেড়ে ওরে চির জনমের তরে,
আসলে ভাই মরণ নহে, আবু হকেযে কহে জীবনের সে এক আজব অচিন দেশান্তরে ।
হতে পারেনি সমাজে সুজন,
নাই পুণ্য কেমনে হবে ধন্য তবে গরীবগণ,
না লভে তারা মহারাজবাড়ীতে রাজ কুটুমের পত্র নিমন্ত্রণ,
কোন পরোপকার, সেবা ও দান হয়নি সাধন ছিলনা বলে তেমন কোন বিত্ত-ধন ।

পর্ব–০৪

সুখ-শান্তি অপার,
দায় সমাপন ঐ অনন্ত জীবন হবে যার,
যেথায় রবে অঢেল উদার ভোগ-বিনোদন ও মজাদার সব পানাহার,
অসীম সুদূর আকাশের খোলা দুয়ার,
অদৃশ্য সোনার সিড়ি কিবা পংখীরাজ ঘোড়া এসে করে দিবে তা নিমেষে পার,
সুরভিত মৌভার প্রণয় অভিসার,
অগণিত সব হুর-পরীরা হবে তাবেদার,
মাখিয়ে সারা গায় ষোড়শী পঞ্চরসি যৌবন সম্ভার,
বাতাসে মৌ মৌ মাতাল করা সৌরভ ছড়াবে যার,
চোখ ফিরানো যেন দায় স্বচ্ছ রেশমী পোষাকের দেহটায় হেন মধুভার ।
ভালবাসার সে খেলায় বিভোর মেতে যুগ যুগ হয়ে যাবে পার,
নহে জ্বালাতন নেই ভাবনা এমনই মজার,
কোন ক্লান্তি কিবা নাপাকি নাই সাধ্য হবেনা তা কারো দেখার,
নাই কোন বাধা কি মানা, মান যাবেনা হবেনা গুনাহ, কেউ খুঁজে পাবেনা সীমাণা তার,
দূর নীলিমার অপরুপ ঝিল-বাগিচার রঙ মাখানো চোখ ধাঁধানো সে বাহার বিশাল প্রাসাদ ধাম ।
যে যাই বলুক ভাই,
আসলে আমার কোনই দুঃক্ষ-কষ্ট নাই,
খেয়ে-পরে তাই ওরে আমি ভাই মোটামুটি নয় খুব ভাল আছি,
চৌদিকে শত মন্দের রঙ মাখানো ঘের, তবু নহেরে ঐ আপদ কিবা নিদানের কাছাকাছি ।
মম সবকিছু যার,
তবুও আমি ঐ এক বিধাতার,
ছোট্ট একটা জীবন অণুক্ষণ যার পরীক্ষা বেসুমার,
ক্ষমা ও করুণার তরে, দেহমনে প্রকাশে গোপনে ভক্তিভরে তার চরণে পড়ে জানাই প্রনাম ।
যেটুকু কামাই করিতে পারি,
হয়না তাতে সোনার বালা জড়ির লালশাড়ী,
জানি হবেনা, সবার কি নসিবে হয় দোকানপাট ও বাড়ী-গাড়ী ।
দেখেছি এ দুনিয়াটা ঘুরি ঘুরি,
যায় কেনা শুধু এক কেজি করে গুড়, চিড়া ও মুড়ি,
হয়নি বৌ-ঝিয়েরে কভু দেওয়া আলতা, লালফিতা ও রেশমী চুড়ি,
যদিও এসব কম টাকায়ই পাওয়া যায় তবুও সাধের এ জগতে আমি গিয়েছি হারি,
বুঝিবা তাই খুশীর দিনেও কোন খুশী নাই, দেখিযে আমি সদা তাদের সবার যেন কিছুটা মন ভারি ।
ভাই এই চিনাবাদাম,
অতিশয় পুষ্টিকর ও অল্প দাম,
রাতে ভিজিয়ে সকালে কাঁচা খেলে পাবেন দেহটায় আরাম,
তাই সবে কিনে খান ওরে বাড়ী নিয়ে যান, বেশী নাহোক নাহয় মাত্র শুধু এক/দুইশত গ্রাম ।
ঝর্নাধারা অবিরল ঝরে ভরায় নদী-হ্রদ,
পাহাড় বেয়ে উঠে জল, তার সে অবাক কোন বিলাস প্রমোদ,
কেজানে কোন সে টানে,
অবিরাম ঢেউগুলি সব সুদূর সাগর পানে,
ছলছল টলমল কেনযে বহে ঢল মোহিত ভূতল ঐ সে তানে,
যত দার্শনিক কবি আঁকেন সে অপরুপ ছবি হয়ে মুগ্ধ আকুল ঐ সে মধুর স্বর্গীয় গানে ।

পর্ব–০৫

কেনযে আবার হায়,
কখনওবা ভাসিয়ে নিয়ে যায়,
কোন সে অপরাধে কি চাহে মহারাজায়,
সাজানো লোকালয় ‍দুরন্ত দামাল উতাল বেসামাল বানে ।
কেন ছেড়ে যেতে হবে কেউ নাহি তা জানে,
নেই কেন ভয় যদিরে মূল্য দিতে কিবা তা হারাতেই হয় নশ্বর এ প্রাণে,
ভুলে গেছে কি সবে, কেন এ জীবন হয়েছে এ ভবে এত সুন্দর কোন মহিমার কার সে মহান দানে ।
হুকুম করে রদ,
অকারণ কতনা সৃজন ও শত প্রাণ বধ,
কলকল ছলে কেজানে কি কথা বলে ছুটে চলে শত নদী-নদ,
জুলুম, অন্যায়, অবিচার, অপরাধ ও ভুল কমিয়েছে মানুষের দাম,
সেতো স্রষ্টার নহে আবু হকে কহে, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হওয়া মানুষেরই ঘাটতি, গলদ ও কলংক-বদনাম ।
কোনমতে এই পেশায়,
যার অল্প আশা ও অতি ক্ষুদ্র সামাণ্য দায়,
বারোমাস ওরে এই ঝুপড়ীতে বাস করে ভালইতো দিন কেটে যায়,
তাতেই জুটে মোটাভাত ও মোটা কাপড়,
চেয়েও আজও পারিনি হতে কারোই আপন, হয়ে রয়েছি সবার পর,
বুঝেছি হলেও দেরীতে এ জগত সংসার কেউ নহে কার সঙ সাজা এক রঙমাখানো শুভংকর,
সত্য বলা ও সুপথে চলা এক বাদামওয়ালা বলে, এমনি করেই মোর জীবন চলে দিন-মাস-বছর ।
বাদাম বেঁচি ও খাই,
আরতো ভাই নাই উপায়, নাই কোন কামাই,
লোকের দয়া এড়িয়ে আড়াআড়ি,
সেইতো অনেক যাইনি বিপথে কিবা হারি,
নাই পুঁজি, বলো এ ছাড়া আর কি আমি করিতে পারি,
কিসের খোটা কিসের লাজ, কেমনে তাই এই কাজ আমি দেইরে ছাড়ি ।
মরণে খোদার কাছে হইওনা মূল্যহীন,
অপরাধী হয়ে মাথায় লয়ে মহাজনের মাথাভারী ঋন,
তাই ওরে ভাই সবে সাবধান,
সত্য বলো হিসাবে চলো, এমনি সবে দিন করো গুজরান ।
পুণ্যবানের কষ্টের শ্রমের একফোটা ঘাম,
রোজাদারের মুখের গন্ধ হবে সম খুশবো ছড়ানো বেহেস্তী বারাম,  
কে হবে মহারাজার খাস কুটুম যেন প্রিয় সাম,
নকল মানুষেরা সবে, আসল মানুষ হও হতেই হবে, খেয়ে এক মুঠি বাংলাবাদাম,
সোজা পথে তবে দৌড়ে, হেটে নাকি চড়ে সোনার রথে, যেতে হবে চলে ভালকথা বলে করে ভালকাম ।