মানূষ নরম,
আয় ছিল অতী কম,
সহনশীল নরম দিল, মোখ বুজে সব করত হজম,
শত অনটন আর অক্ষমতার অপবাদ ও জ্বালাতন ॥
মাথা পেতে লয়েছে,
চুপচাপ সবকিছু সয়েছে,
আমার বাবায় ছিল উওম, সাধক সুধী সিদ্ধ পূরুষ একজন ॥
একজনে কামায়,
শুধু ডান হাতের আয়,
এগার জনে খায়, তাই চাওয়া পাওয়ায় ছিল কত ঘাটতি চাহিদা ও অনটন ॥
সে কথা বলত অতীশয় কম,
লেখাপড়া করত, গবেষনায় রত আকাশের বই লয়ে ব্যাস্ত থাকত হরদম,
নীতি ও আর্দশ সম্বলন,
সহজ ও সরল পথই ছিল একক অবলম্বন,
সংযত সীমিত ও মহা মূল্যবান ছিল তার সব বচন ॥
ছিল তার কঠিন ব্রত ও নিয়ম,
যাহা কিছু মাত্রায় বেশী, ছিল তার যম,
অতী পরিমিত ও নির্বাচিত ছিল নিত্যকার তার ভোজন ॥
প্রত্যুষে আযানের আগে উঠত জেগে,
যদি সবাই না জাগিত যেত সে ভীষন রেগে,
রাত দশটার আগে নিদ্রার লাগি নিয়মিত করত শয়ন ॥
ছিল তার সাধনা,
জানিনা হয়েছিল কিনা,
তার সাধ পূরণ, কিবা আজীবনের সাধনায়, কি হয়েছিল তার র্অজন আহরন ও সাধন,
নিশ্চিত মোর হয়েছিল জানা, ঐ কাফেলায় হয়নি ঠাই মোহ কিবা আবেগের খেয়ালে তাড়ানো ও পথ হারানোগন ॥
ছিল তার সুক্ষ্ন তীক্ষ্ন দৃষ্টি,
লেখনীতে যার ফুটেছিল জীবনের শতরুপ সৃষ্টি,
অনূভবে চেতনায় ছিল তার, যেন অনেক দূরে দেখিবার, জাগ্রত সচেতন অদেখা একটি তৃতীয় নয়ন ॥
সে যে ভূল ধারনা,
বলত, তোমরা কি জাননা,
কেন দেখিতে পাওনা, ওরে মানূষের হয়না, কভূ নাই মরন, এক মানূষের দুই জগতে এক জীবন ॥
হয় কি না হয় বিশ্বাস,
কথায় কাজে ও বিশ্বাসে পাশ,
নহে অনাহুত অযথা এই আসা যাওয়া,
কেউ বেশী কেউ কম, সাধারন কিবা পরম পাওয়া না পাওয়া,
হারিয়ে যাওয়া, হয়ে দাস আলো ও ভালোর চাষ, আবাসন বসবাস চমৎকার দেখা অদেখার সাজানো দুই ভুবন ॥
বলত বাবায়,
মাটির এই দুনিয়ায়,
সবকিছু হয় সবকিছু পায়, আবার সব হারায়,
যেথা হতে আসে হেথা চলে যায় ফের, অল্প কিছুদিনের মানূষের এই ভ্রমন ॥
মানূষ যাযাবর,
আর দুদিনের এ সফর,
মরনের নামে সেযে শুধু এক দেশান্তর,
হিসাব নিকাশ ও সবার সব দেনা পানার পর,
লয়ে দেহের এক রুপান্তর, অচিন এক ভিনদেশে, শাস্তি পূরস্কারের শেষে, হবে উদ্ভোধন অন্য এক নতূন জীবন ॥
তুমিও দেখিবে,
জানিবে বুঝিবে যবে জাগ্রত হবে,
তোমার সব জানালা দুয়ার, উম্মোচিত ভান্ডার, শানিত ক্ষুরধার অনন্য দরশন ॥
ব্যাবহার ও স্বভাব আচড়ন,
পোষাক আশাক আর বেশ ভূষন,
চলন বলন ছিল তার সবকিছু অতী সাধারন,
মাটির মানূষ, দেখেছি শুধু রঙ মাখানো ফানুস, সুদঘূষ ভোগেতে বেহুষ, হয়কি কভূ অমূল্য ধন মানিক রতন ॥
ছিল যেন আমার বাবা,
আঁধার লোকে কাারো চোখে মস্ত বড় হাবা,
দৃষ্টি যেন অসীম সীমানায়,
আপন ঝিলের গহীন তলায় রহিত লুকায়,
যেন কেউ না খুঁজে পায়, কথার খোঁচায় যখন তখন করে জ্বালাতন ॥
গুটি গুটি পায়ে চুপচাপ হেটে চলা,
মন্ত্র তার কম নিদ্রা কম ভোজন ও কম কথা বলা,
পাতার বিছানাতে মাটির পাতে ডালভাতে করত নিমন্ত্রন, যারে যখন চাইত তার মন ॥
ছিল আমার বাবামা দুইজন,
নয়জন ছিলাম আমরা ভাইবোন,
আজব মানূষ অভিনব জীবন দরশন,
সারাটা বছর ছিল কত অভাব আর অনটন,
তবু দুহাতে উপার্জন করা কিবা আহরণ বেশী ধন,
ছিলনা তাদের কোন লোভ মোহ নেশা উদ্বেগ বিচলন আক্ষেপ ও আকর্ষন,
ছিল জীবন, সাদামাটা সাদাসিধে অতী সাধারন, তবে বলত সবে হয়ত হবে উন্নত এক অন্য ভবে অবস্থান ও বিচরণ ॥
শুধু ভাবনা,
ছিল পেরেসানি তাড়না,
কেমনে কবে,
সুদাসলে শোধ করিবে,
অদেখা মহাজনের অলিখিত ঐ সব দাদন ॥
কভূ কোনমতে,
যদি আমি পারতাম হতে,
না হতে আমার সব নিলাম দেউলিয়া,
না আসিতে সমন যদি এই মন হয়ে যেত হেন আউলিয়া,
জানিয়া বুঝিয়া এ দুনিয়াতে, গড়তে জীবন এমন উদার মহৎ অতী সাধারন, সাধক সুধী তার মতন ॥