ঘুমিয়ে আছে শিশু গাজায়...
ধ্বংসস্তূপের কোলে।
মায়ের দুধের বদলে...
রক্ত ঝরে শূন্য বাটিতে।
জ্বলছে ঘর।
পুড়ছে প্রাণ।
আকাশ জুড়ে কেবল— শোক।
তবুও...?
বিশ্ব বোবা।
নীরব তার চোখ!
ইসরায়েলের বুলেট হাসে—
জাতিসংঘের অন্ধ নীরবতায়।
আর ফিলিস্তিন...?
সে কাঁদে না!
সে লড়ে—
পাথরের প্রতিশোধে!
তন্দ্রা কাটে না সভ্যতার।
ন্যায়বিচারের ঘুম ভারী।
মানবতা মরেছে বহু আগেই—
আমরা এখন কেবল... ভারসাম্য খুঁজি!
এই যে শিশু,
যার হাতে নেই খেলনা।
রাইফেল না,
তবু সে শেখে—
বাঁচতে হলে লড়তে হয়!
প্রতিদিন। প্রতিরাত।
প্রতিটি নিশ্বাসে!
জেরুজালেমের চাঁদ কাঁদে—
কাবার দিকে চেয়ে জিজ্ঞাসে,
"আর কত প্রাণ গেলে তবে,
জাগবে এই দুনিয়া?"
তবু কবি জেগে আছে।
জেগে আছে কলম—
যার কালি এখন বারুদের মতো।
লিখে যায় সে—
"শেষ তন্দ্রা"!
যেদিন ঘুম ভাঙবে বিবেকের,
উঠবে সূর্য— নতুন এক দিন!
সেদিন ফের গাইবে শিশুরা।
ফিরে পাবে তাদের পিতৃভূমি!
তার আগে...
এই কবিতা হোক তলোয়ার—
জাগাও, হে মজলুমের ডাক!
জাগাও আগুন— ছড়িয়ে দাও শেষ তন্দ্রার ভিতর!