(প্রচলিত একটি রম্য গল্পের কাব্যরূপ)
চালাক বলে বোকা ভাই, চলছে বড় আকাল
চল না মোরা দুয়ে মিলে কিনি একটা কাঁঠাল।
বোকা বলে চালাক ভাই, কথাটি নয় মন্দ
বাজার থেকে আসছে ঐ কাঁঠালিয়া গন্ধ।
ভাবনা শেষে কিনে কাঁঠাল চালাক চালে যুক্তি
প্রতি কোষে পাঁচটি টাকা দেবার হলো চুক্তি।
গুনে গুনে খাচ্ছে তারা যাহার যেমন রুচি
চালাক ব্যাটা কায়দা করে গিলছে সাথে বিচি।
খাওয়া শেষে হিসেব কষার আসল শুভ দিন
অর্ধশত বোকার ভাগে চালাক গোটা তিন।
বোকার দেনা দেড়শ টাকা চালাক দিল কিছু
কি আর করা দেনা মিটায় মাথা করে নীচু।
বাড়ির পথে দুয়ে গেল কেউ ভাবে কেউ হাসে
কবি বলে সবুর করো, শীত যায় না এক মাসে!
ঘরে ফিরে চালাক ভাবে করলাম একই ভুল
কাঁঠাল বিচির প্রতিক্রিয়ায় পেটে গণ্ডগোল।
সময় গড়ায় পেটের ব্যথা ক্রমাগত বাড়ে
অবশেষে ঘরের পিছে আসল কাজটি সারে।
সকাল হলে নাস্তা সেরে কাজের খুঁজে যায়
ধরতে হবে প্রথম গাড়ি ইষ্টিশনে ধায়।
সারাদিনের কাজের শেষে রাতে ফিরে ঘরে
রাতের খাবার সাজায় বিবি প্রিয় স্বামীর তরে।
মহানন্দে খাচ্ছে চালাক গোপন কথা রচি
মনে মনে ভাবছে কেবল চিবিয়ে কাঁঠাল বিচি।
ও বিবিসাব! এদিক এসো কোথায় তুমি গেলে
সত্য করে বলো আমায় কাঁঠাল কোথায় পেলে।
প্রাণের স্বামী বলছি শুন, একটুও নয় মিছে
রহমতের চোখ পড়েছে মোদের ঘরের পিছে।
সকাল বেলা পাগলপারা খাবার কিছু নাই
সারা বাড়ি মরছি ঘুরে সবজি কোথায় পাই।
বসত ঘরের আশেপাশে শাক তুলিতে যাই
কপাল গুনে ঘরের পিছে বিচিগুলো পাই।
চালাক বলে, বিবিসাব সবই মাওলার কারবার
দয়া হলে একই জিনিস গিলায় তারে বারবার।।