(বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের বেশ কিছু আঞ্চলিক শব্দের প্রয়োগে লেখা লোকমুখে শুনা প্রবাদ-প্রবচনের কাব্যরূপের চেষ্টা মাত্র)

আখল আখল অধিক আখল
কম আখলে তরণ,
মাজর আখল যেমন-তেমন
বেশি আখলে মরণ।

রোজ দেখি আশেপাশে
আম্মক নম্বর এক,
টাকাওয়ালা লোকের সাথে
যে ধরে ঠেঁক।

আসল বোকা তারে কয়
আম্মক নম্বর দুই,
অন্য জনের খাস পুকুরে
ছাড়ে কাতলা-রুই।

বেদিশা মাখাল-ছাখাল
আম্মক নম্বর তিন,
ছোটলোকের কাছ থেকে
আনে টাকা ঋণ।

বেআখলা বেটা-বেটি
আম্মক নম্বর চার,
ঘরের কথা অকপটে
করে যারা বার।

যাইচ্ছা আপদ বাইচ্ছা আনে
আম্মক নম্বর পাঁচ,
বসত বাড়ির সীমানায়
যে লাগায় গাছ।

জামাই বাবু বড় কুটুম
আম্মক নম্বর ছয়,
বিয়ে করে মনানন্দে
যে হউরবাড়ি রয়।

নিজ শিরে কুড়াল মারে
আম্মক নম্মর সাত,
বউর লগে রাগ করে
যে খায়না ভাত।

নিজের উপর মারে থুথু
আম্মক নম্বর আট,
অপরের কোদাল এনে
যে লাগায় বাঁট।

খাল কেটে কুমির আনে
আম্মক নম্বর নয়,
শত্রুর কাছে সংগোপনে
মনের কথা কয়।

অতি আহ্লাদে গদগদ
আম্মক নম্বর দশ,
মাউগ'র কাছে মন হরষে
আপনা হয় বশ।
__________
বিঃ দ্রঃ - বুঝার সুবিধার্থে কিছু শব্দার্থ উল্লেখ করা হলো। ভুল হলে ক্ষমা করবেন।
আখল-বুদ্ধি, মাজর-মধ্যম, আম্মক-আহাম্মক, যাইচ্ছা-সেধে, বাইচ্ছা-বেছে বেছে, কিনে-ক্রয় করে, বেদিশা-দিশা নাই যার, মাখাল-ছাখাল-বুদ্ধিহীন, বেআখলা-বেআক্কেল, বেহবধ-বোধহীন, বার-বাহির, রয়-বাস করে,
হউরবাড়ি-শশুড়বাড়ি, মাউগ'র কাছে-স্ত্রীর কাছে।