এই বুঝি ভোর হলো
মাঠে যাবার ক্ষন এল
কৃষক ভাই বেরোল কাধে গামছা ফেলিল
লাঙল হাতে বলদ সাথে মাঠ পথে চলিল ।
এই মাত্র সকাল হলো,
গৃহস্থ বাড়ির দোর খুলিল
গোয়ালা আসিল করিতে দুগ্ধ দোহন,
রাখাল আসিল গরু নিয়ে মাঠে দেবে চরন ।
জেলে ভাই বেরোয় কাধে জাল ফেলে
কুমোর খোজে যোগ্য মত মাটি যদি মেলে ।
দোকানি দোকান খলে ঝাড় ঝাট দিয়ে
কামারের কর্ম শুরু হাতুরি লৌহ নিয়ে ।
ফেরিওয়ালা বের হয় মাথায় বোঝা নিয়ে
তাতি কাপর বুনে নিজ তাত দিয়ে ।
দর্জি পোশাক বানায় শব্দ খটখটে
নাপিত তার দোকানে অন্যের চুল কাটে ।
ধোপা তার কাজে যায় ঝলমলে রৌদ্রে
সুইপার বের হয় বাড়ি বাড়ি ঘোরে ।
গ্রীষ্মের দুপুর বেলা,
রাখাল বাশি ধরে গাছতলে বসে
নানা রঙের সুর তোলে মধুর রসে ।
জেলে তার ঘোরে পাত্র, জাল লয়ে ফিরে
মাছ কাটার আসর বসে জেলেনিদের ভিরে ।
কুমোর তার জিনিসপত্র রোদে দেয় শুকাতে
সকলি ঘরে ঢোকে প্রচন্ড রোদ উঠাতে ।
রৌদ্র কমে বিকেল হয় যখন
সকলি ফের আপন কাজে মন দেয় তখন ।
বেলাশেষে অন্ধকার ঘনিয়ে আসে
সকলি ফিরে আসে নিজ গৃহবাসে ।
পেট পুরে খেয়ে গিয়ে পড়ে শুয়ে
এক ঘুমে রাত্রি কাবার সপ্নের মধ্য দিয়ে ।
ভোর হতেই সকলি আবার নিজ কাজ বাটে
এমনি করিয়া গ্রাম বাংলার সকাল সন্ধ্যা কাটে ।