ধু ধু প্রান্তরের শেষে, দাঁড়িয়ে জীবণ-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
রুদ্ধ সময় কাটছে আমার দ্বিপ্রহরের ক্লান্তি গুণে গুণে।
কত ক্ষণ ছাড়িয়া আসিয়াছি সুদূর পিছনে
কত কিছু হারাইয়াছি আমি ভ্রান্তির ছলনে।
নিত্যই ফেলিতেছি আমি অভিজ্ঞতার নতুন ধাপ
আজও আমার শরীরে মিশ্রিত অতীত কলঙ্কের ছাপ।
এগোতেছি প্রতিটি ধাপ শত ঝড় সয়ে
দ্বিপ্রহরের উত্তপ্ত সুর্যের মতো জ্বাল হয়ে।
নিশিত্থের কালো আধাএ সাঁতরায়ে বাজপাখি চলে যেমতি
প্রতিটি পদচারণে মিশিয়া আছে মোর সাবধানতা অতি।
বালুচরের উত্তাপ বাড়িয়াছে আজিকার শেষ দিনে
রুদ্ধ সময় কাটছে আমার দ্বিপ্রহরের ক্লান্তি গুণে গুণে।
শত স্বপ্ন বৃহৎ অন্তরীক্ষে জ্বালাইছে আগুন
ক্ষীন আশার সঞ্চার করে মৌমাছির একটু গুণগুণ।
পাথপাশে পথিকের ব্যাস্ত চলাচল
দিনভর এ শহরেদেখিতেছি কত কোলাহল।
বিস্ময়ে দূরে চাই মাথাখানি উচিয়ে
অভিজ্ঞতার শেষ ধাপ দেবেনা দেখা বুঝি ‘সমাপ্তি’ হয়ে।
বরাবরই চলিতেছি আমি সমানতালে, অতীত পিছন ফেলে
সমুখের বিপত্তি সব দুহাতে সবেগে ঠেলে।
একফোটা ক্লান্তি আসিয়া করেছে মোরে ভর
স্রোতের গভীরে খুজিতে বালি সারাদিনভর।
আপনার কাজে জনমানবের ব্যাস্ততার দিনে
একলা সময় কাটছে আমার, দ্বিপ্রহরের ক্লান্তি গুণে গুণে।