দুঃখক্লিষ্ট হৃদয়ের কাতরতা অনেক চেনা
জীবনের পদচারণায় প্রতি পদক্ষেপ কাটে
গত পদক্ষেপের হতাশায়,
আগত পদক্ষেপের নিরাশায়;
বর্তমান অপেক্ষা করে, বিষাদে,
আগত পদক্ষেপের হতাশা হবে সে।
ব্যঙ্গ চোখে জানতে চাইলে কেন?
ডিপ্রেশন ভারী বেশি বুঝি।
মৃদু হাসি, শুনিনি, দেখিনি, বুঝেছি
আমার হতাশার কান্না তাকে ছুঁতে পারেনি।
যার উপর বোঝা, সেই বুঝে বোঝার ভার।
মৃদু হেসে বলে
অসত্য আখ্যায় তোমার বিষাদ ব্যঙ্গ করিনি
বলতে চেয়েছি বিষাদের কারণ অতি ক্ষীণ!
মগজের এলাকায় একটু পায়চারি করে দেখো
বিষাদের হেতু কী? শিশুর মতো অবুঝ আশায়
হয়তো খুঁজে পাবে তুমি শিশু আজও বিষাদে,
ওরা কাঁদে দু পয়সার খেলনার জন্য
আর তুমি দু'টাকার চকচকে কিছুর জন্য
দু'মুহুর্তের কিছু, যার ভারে তুমি দুই প্রহর
বিয়ে বাড়ির ভোগের মতো অবহেলা করো।
আবেগের মন বাড়িতে হঠাৎ শুকনো ডাক
দুয়ার খুলে দেখো, দুঃখকে মুক্ত করে দাও
মুক্ত পৃথিবীতে দুঃখের ঘনত্ব কমে যাবে।
তোমার খেলার মাঠ ছেড়ে ধরার উন্মুক্ত মাঠে
এসে দেখো, চোখ তুলে দেখো
প্রিয়জনের হাতে খুন হওয়া জিন্দা লাশ
পরের বোঝা হয়ে থাকা এতিমের দীর্ঘশ্বাস
পুড়ে ছাই হওয়া রূপসীর পোড়া ঠোঁটের হাসি
প্রিয় হারানো হৃদয়ের কর্ণ বিদারী হাহাকার
ক'টা নোটের অভাবে মেঘ ডাকা পাকস্থলি
ছাদ হারাদের খোলা আকাশকে ছাদ বানানো
সর্বহারাদের কিছু না হারানোর ভিজে সুখ।
পথের দুধারে কত গল্প পথিকের মুখে মুখে
কত গল্প অজানা চাপা পড়া ধ্বসের অন্তরালে।
জানতে না তুমি, জানবেও না তুমি এসব গল্প
পেন্সিল দিয়ে শুধু তোমার গল্পকেই লম্বা করো
বুঝবে সেদিন, বুঝবে দুঃখ রেখা ছোট ছিলো
কাঁদবে সেদিন সর্বহারার মতো, বুঝবে,
পেন্সিল দিয়ে মেকি দাগকে বড় করা
তোমাকে একদিন সত্য হতাশায় ছুড়ে ফেলবে।