মেঘের বুকে জমাট বাঁধা অভিমান
অভিমান ঝরে স্বচ্ছ মিহি মুক্তোকণা
মুক্তোর পরশ পরাণে জ্বালানি দেয়
শত প্রাণ প্রতীক্ষায় থাকে কবে মেঘ কাঁদবে
কবে মেঘের অভিমান হবে, আর
অভিমানে ঝরা মুক্তোকণাতে হাসবে ধরা।
নিজেকে ধীরে ধীরে ক্ষয়ে ফেলার অবসাদ
হারিয়ে যাওয়া আপন রূপের আক্ষেপ
অজানা কার পিচু ছুটে অপ্রাপ্তির বেদনা
তিমিরে হাতড়ে বেড়ানো অজানা পূর্ণতা
অম্বর কাঁদে তাই, ঝরায় মুক্তোমালা
অবনীর আদিবাসীরা চায় সে কাঁদুক
তার কান্নাকে নাম দেয় বৃষ্টি
মুক্তোকণা তাদের পর্যায়ক্রমিক নিশ্বাস।
ধরার এক তুচ্ছ নাম দেয় ‘মধু-জল’
সেভাবে এ অবনীতলে কেউ অপেক্ষায় থাকবে
কোনো একদিন আকুল থাকবে কবে সে কাঁদবে
তার হাতে ‘মধু-জল’ ঝরবে, অবিরত আবেগে
মেঘের মধু-জল শরীর ছোঁবে শীতল পরশে
কবি প্রেমিকের মধু-জল ছোঁবে হৃদয়ের নিরাকার অবয়ব;
তুচ্ছ ধরণীবাসী ঐ প্রাণ, মেঘ হতে চায়
অবিরত আবেগে যার হাতে ‘মুক্তোকণা’ ঝরবে।