বসরার শাতিল আরবে জোছনার আভায় মিলিয়ে যায় রাতের যন্ত্রণা,
তোমার হাসি যেন সেই মসুলের পরম শান্তির স্পর্শ।
তুমি কি দেখেছো, সানা’র পাহাড়ী পথের মতো,
প্রতিটি বাঁকে প্রেমের জন্য অপেক্ষায় থাকে খেজুর গাছেরা?
কাজানের তুষারভূমিতে যেখানে প্রতিটি নিশ্বাসে কুয়াশা জমে,
তোমার চোখ যেন সেখানে বসন্তের ফুলের প্রথম কুঁড়ি।
তুমি কি জানো, দামেস্কের প্রতিটি অলিগলি
যেন পুরোনো মসজিদের ঝাড়বাতির আলোকে ধরে রাখে,
তুমি এলে সেই আলোতেও মায়ার ছায়া পড়ে।
তোমার নাম উচ্চারণে রাবাতের আকাশে যেন উড়ে যায় রঙিন ঘুড়ির মেলা,
যেমন শামের ঠাণ্ডা বাতাসে উড়ে যায় মনের সব ক্লান্তি।
বন্দুকের শব্দে জমে থাকা আলেপ্পোর দরজাগুলো
তোমার কণ্ঠে যেন মুক্তির সুর শুনতে পায়।
তুমি কি বুঝতে পারো, দোহার প্রতিটি ঝড়ও থেমে যায়
যখন কারো প্রার্থনায় গভীর প্রেমের ঘ্রাণ মেশে?
জেদ্দার বালুকাবেলায় ঢেউয়ের আলিঙ্গনে যে প্রতিজ্ঞা ভেসে আসে,
সেই প্রতিজ্ঞা যেন তোমার ছোঁয়ায় আরও নিবিড় হয়।
তোমাকে চেয়ে মসুলের গম্বুজগুলো উদাস হয়ে থাকে,
আর গাজার অলিগলিতে প্রতিটি দেয়াল—
যেন আমাদের ভালোবাসার প্রতিধ্বনি রচনা করে প্রতিক্ষণে।
তুমি কি জানো, ল্যাভেন্ডারের ঘ্রাণের মতো
তোমার স্মৃতিও মিশে থাকে আমার মনের কোণে?
তোমার প্রার্থনায় খোরাসানের মরুভূমি যেন শান্তির বীজ বুনে,
যেমন সূর্যাস্তে কাবুলের পাহাড়ে আলো ঝরে পড়ে।
আর আমরা যেন ঝিলামের শান্ত দুই প্রবাহ,
যেখানে প্রতিটি ভোরে মিলনের প্রতিশ্রুতি বয়ে চলে নিরবধি।