কাবুলের আকাশে মেঘ উড়ে বেড়ায়, যুদ্ধের গানে থমকে থাকে পাখিরা,  
তবুও প্রেম পায় আশ্রয়—তোমার চোখ যেন মক্কার মোনাজাতের শান্তি।  
ইস্তাম্বুলের বৃষ্টিতে যেমন অদৃশ্য আলিঙ্গন ঝরে,  
আমাদের মনের কি তেমন কোনো দোয়া খোদা শুনেছে?

তুমি কি জানো, তেহরানের গুলিস্তানেও আজকাল  
চাঁদ শুধু বিষন্ন আলো দেয়,  
যেন যুদ্ধের ক্লান্তি প্রেমের জোছনা ঢেকে দেয়।

তুমি আসবে, বাগদাদের গলি ভেঙে, বালির ঘ্রাণ মাখা রিয়াদ থেকে,  
যুদ্ধ শেষে যেমন ধুলোবালি থিতিয়ে আসে, তেমন করে।  
তোমার নামে যেন দামেস্কের গোলাপ ফোটে,  
আর লেবাননের বাতাসে প্রেমের সুর বাজে পাখির পালকের মতো হালকা।  
তুমি কি শুনেছ, মদিনার খেজুরগাছেরা এখনও প্রতীক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে,  
ভালোবাসার মুকুল হয়ে ফোটার অপেক্ষায়।

তবুও কাবুলের পাহাড় গর্জে ওঠে কামানের শব্দে,  
আমাদের হৃদয়ের দরজায় ক্ষতের নকশা আঁকে।  
তুমি কি জানো, আফগানিস্তানের সব কবুতর  
তোমার নামে লিখে গেছে যুদ্ধবিরতির গান?  
জেরুজালেমের রাস্তায় শিশুরা এখনো ঘুড়ি উড়ায়,  
প্রতিটি ঘুড়ি যেন খুঁজে ফেরে আকাশের শান্তি।

ধ্বংসের মাঝে ভালোবাসা হলো বায়তুল মুকাদ্দাসের মিনারের আহ্বান।  
একটি বুলবুলও থামে না, কারণ ভালোবাসা তো মুক্তির মতো পবিত্র।  
আর আমরা, কায়রোর মরুভূমিতে হারানো দুটি বালুকণা,  
যেখানে প্রতিটি ছায়া আলোর অপেক্ষায় থাকে।