যখন জ্বর আসত
পুরু শরীর ভুমিকম্পের মত কাঁপিয়ে
তুমি এক হাত আমার কপালে রাখতে
আর এক হাত দিয়ে চোখের জল ঢাকতে
তোমার চোখের জলের শীতলতায়
জ্বর কমে যেত, মা।
আজ এরা পারদের থার্মোমিটার নিয়ে আসে
মুখে, বগলে রেখে দেয়, কি বিশ্রী না?
তারা বলে, এর একুরেসি লেভেল নাকি অনেক হাই।
আচ্ছা মা, পারদ কি কোনদিন বুঝতে পারে রক্তের উষ্ণতা
শুনলে হাসি পায়না, বল?
রক্ত বুঝার জন্য যেটুকু রক্তের দরকার ছিল
তার সবটাইতো হারিয়েছি আমি
মিশে গেছে তোমার কবরের মাটির সাথে।
আজ শত কৃত্রিমতার মাঝে
আমিও যেন এক পারদ হয়ে গেছি, মা।
কারো একটু উষ্ণতা পেলেই
থরথর করে অনেক উপরে উঠে যাই
তারপর এরা এক ঝাড়া দিয়ে ফেলে দেয় নিচে
যেমনটা থার্মোমিটারের সাথে হয়।
দেখেছ মা, পারদ যেমন রক্ত বুঝতে পারে না
রক্তের মানুষও কিন্তু পারদ বুঝতে পারে না।
তারপরও সব মেকিতে ঝুলছে জীবন
যতটুকু তুমি বুঝতে এর সিকিভাগও যদি এরা বুঝত
পালটে যেত জীবনের সমীকরণ।
ওপারে ভাল থেক মা।
আমার জ্বর মাপা মা।