সারা দুনিয়া আমায় খুঁঁজে
আমি যে দুনিয়ার খুঁজে
তা নাই, নাই রে...
আমি কিচ্ছুটি চাইনি কভু!
শূন্য ছিলাম, শূন্যে ছিলাম
ভালোই ছিলাম হে প্রভু!
আমি স্বেচ্ছায় মানব নই
কুন'ফায়া'কুন থেকে আমি
ওখানেই আদিঅন্ত্যলীলা!
সব আমি'র শুরু অশেষ
শেষ হওয়ার ফায়সালা কার?
কে করে প্রশ্নবিদ্ধ মোরে?
কে দেয় ফের জবাব আমার?
আমার ভেতরে আরও কত কে!
কে কে গোপনে গড়েছে আবাস?
কে দেয় ইশারা আব্রুরে হে?
ইন্দ্রিয়কে কে জাগায় আবার?
কে ঘুমে কে জাগ্রত হে—
কে কে আছে সম্নে পেছন?
কে লাগালি কয়েদির হাতে
কয়েদখানার শক্ত শিকল?
কে দেয় মুক্তি কিসে দাসত্ব?
কে শুধায় এত জটিল ধাঁধা?
কে বাজায় বাঁশি ঐ যে দূরে?
কে সুর শুনতে বড্ড পাকা?
কে বায়ু শুষে বুক ফাপিয়ে?
দর্পে ওঠে অপার স্নায়ু!
কে কিভাবে দিচ্ছে আহার?
ফুরায়ে নিচ্ছে অঢেল আয়ু!
চাইলে তুমি ফিরায়ে নিও
হৃদ মাঝারে শুষিও মোরে
স্রষ্টা-সৃষ্টি এক হয়ে লীন
ঐ অনন্তে হচ্ছে বিলীন!
আঁধারের যত কোলাহল সব
ঐ আলোতে মিলিয়ে যাক
তোমাতে বিশ্ব নিঃস্ব হয়ে
নত মস্তকে ফুরিয়ে যাক!
সকল অহং-শোকমন্থনগাঁথা
তোমার পরম চরণে জনমভর,
লুটিয়ে মিটিয়ে আস্ত গুটিয়ে
দূর থেকে দূর পালিয়ে যাক।
তোমাতে বিশ্ব নিঃস্ব হয়ে
নত মস্তকে ফুরিয়ে যাক!
পৃথিবীর যত অসুখবিসুখ
এক নিমিষেই হারিয়ে যাক!
তোমাতে বিশ্ব নিঃস্ব হয়ে
নত মস্তকে ফুরিয়ে যাক!
তোমাতে বিশ্ব নিঃস্ব হয়ে
নত মস্তকে ফুরিয়ে যাক!