সুখ-সংসার-নিদ্রা-আহার-কাম-রূপ-ছায়া-ফুলাগ্রু-বাহার
আরও যা কিছু আছে,
কিচ্ছুটি  চাইনে আমার ইহপরকাল মাঝে।
শুধু তোমার অংশ বানাইয়া নিও তোমারই শূন্য মাঝে।

যত শোকমন্থনগাঁথা সকল কাড়িয়া নিও...
তোমার বিপুল শূন্যতা মাঝে আমায় স্থান দিও...
হে প্রভু— আমায় স্থান দিও...

স্বর্গ আমার চাইনে কভু
ইচ্ছে হলে—
দেহখানা পুড়াইও নরকে!
নাহয় শোষিয়া লই'ও স্বপরাণে হে সখা—
যাবৎ জীবন ধরমে, যবে ফুঁকিয়া ছিলে রূহ্ পরমে পরমে!

স্বর্গ তোমার পূরণ করো নিজ খেয়াল মতো
স্বর্গ পিপাসু নই হে প্রিয়—
ভাগ্যে আমার নরক লিখ!
পাপীরে দণ্ডিয়া শান্তি মিলিলে
তাই করিও হে প্রভু...
নইলে পুনঃ শোষিয়া লইও পরমশূন্য মাঝারি
তোমাতে থাকিয়া রিক্ত হইব এতেই স্বস্তি আমারই...!

শতসহস্র স্রোতের ভীড় ঠেলে ঠিক পৌঁছে যাব
শুধু মোর নামটি বারেক উচ্চারিও প্রভু...
ক্ষমা করে খানিক আলোয় রেখো প্রভু...

কোটি উৎসুক ঢেউয়ের ভীড় থেকে
এই নস্যি মানবের নাম ডেকে জামিননামা
ডান হাতে দিও প্রভু...
ক্ষমা করে খানিক আলোয় রেখো প্রভু...

পাপীরা আজ ক্ষমার অপেক্ষায় বাকিদের উপেক্ষা করে...

•রচনা: ১৯.১১.২৩