______________________
আলু-রুটি থেকে গল্প শুরু, শেষ তার কোথায়...?
এক বেদুঈনের আলু ক্ষেত ছিল, শুধু আলু কি করে খায়?
অন্যজনার ছিল গম ক্ষেত, সে গম নিয়ে কোথা যায়?
অস্থির মনা দু'জনেই যে উপায় খোঁজে না পায়,
বহু গবেষণা করিবার পর মিলিল সে উপায়;
এতাে নিজ ভােলা হলে কি করিয়া এ ভবে চলা যায়?
পাল্লা নিয়া আসিল গুরু, বলে-হয়ে যাক বিনিময়,
দুজনের মুখে একই ধ্বনি আর দেরি নয় আর নয়...
বাড়িতে তাদের স্বজনেরা ছিল যে প্রতীক্ষায়,
দ্রুত কাজ সেরে তাই যেতে হবে আপন সে নিরালায়।
মাপিয়া-জোখিয়া মণ এক গমালু হয়ে গেল বিনিময়;
হন্নে হইয়া নিজ আলয়ের দিকে হাঁটা দিল সদাশয়।।
সেদিন থেকে আজ অব্ধি চলছে সে বিনিময়,
সবকিছু ভাঙে-গড়ে, শুধু তার নাই কোনাে ক্ষয়, নাই ক্ষয়।
সেদিন ছিলনা কাগজি মুদ্রা, ছিলনা পয়সা-কড়ি,
তাই বিনিময় মানে বুঝিত সবাই ওজনে হবে বদলি,
আজ বিনিময়ের স্ট্যান্ডার্ড মােরা “টাকা”কে নিলাম বেছে;
নিজের বানানাে ধূম্রজালে নিজেই গিয়েছি ফেঁসে,
ব্যাকুল হয়ে ছুটছি সবাই ছুটছিই দিন-রাত;
সবার ভেতরে একই লক্ষ্য করব “টাকাকে আত্মসাৎ"!
মিথ্যা পথের আঁকাবাকা পথে ছুটছি প্রাণপণে,
বলাে,একটু জিরিয়ে সত্য নিয়ে ভাবেই বা কজনে?
শুধু টাকা টাকা করে দিন গেল দিন যাবে কি এভাবেই?
মিথ্যা মােদের আঁকড়ে ধরেছে সত্যের খোঁজ নেই,
তবে একটা সত্য শুনাই-
নদীর স্রোতের সাথে টাকার যে কোনােই তফাৎ নাই।
তৃষ্ণা মিটাতে পানির মতাে যদি টাকাকে করাে ব্যবহার,
তবে ধরে নিও তুমি ঠিক পথে আছাে তোমার ক্ষতি নেই কোনাে আর।
আপন তৃষ্ণা মিটাতে গিয়া যদি তৃষ্ণা বাড়িয়া যায়,
চাপিয়া রাখিও সেটা তোমারই ভালাে যে তায়।
হায়!হায়! করে লাভ কি শেষে যদি না বুঝে আসে এক্ষুনি,
যতই শুনাই সােনা দিয়া গড়া বাণী,
বুঝবে না জানি তােমার-আমার কুটিল এই হিয়ায়,
যতক্ষণ না তাতে দেওয়া হবে শান,
সত্যের আগুন জ্বলবে না কভু এ অঘাের তমসায়!
বি.দ্র: অনেক আগের লিখা বিধায় এত্ত বড় কবিতা হওয়া সত্ত্বেও এর ইন্ট্রিন্সিক ম্যাসেজ তেমন পোক্ত নয়।