শেকড়ের টানে নিস্যন্দ আনে
ভবের টানে উৎস হয় বিভৎস!
গন্তব্যের জন্য ছুটছো ভুল পথে ঠিক ভেবে
কোথায় পৌঁছবে তা তো আগে ভেবে নেবে!
সত্যের খোঁজ কিসে কর হে—
যেখানে নিজেই চরম মিথ্যা!
কোথা আমি? কোথা তুমি?
ভাবনার'ও অবসর চাই সেটি কখনো ভেবেছ কি?
ঠিকবেঠিক এর মাঝে তিলসম ভ্রম
ঠিক মনকে করে কাবু ভীষণ বিভ্রম!
দ্বিমাত্রিক গতির উৎস একমাত্রিকতা
একমাত্রিক প্রবাহে গা ভাসিও না!
যখন মনে কোনো ভাবনা নেই তখন মন আছে কি নেই সেও জানা নেই! তবে ভাবনা নেই সেটি ধরতে পারা নূতন ভাবনার শুরু। তাই নয় কি?
পরম শূন্যতা সমস্ত বিশ্ব সংসার কোলে নিয়ে ঘুম পাড়ানি গানে মগ্ন, তবুও ঐ বোকা খোকা তাকে মহাশূন্যতা নামে ডাকে!
তবে বলো: কে পূর্ণ?
—যে পূর্ণ সে শূন্য, যে শূন্য সে পূর্ণ!
জীবন কি এতো সহজ সরলীকরণ?
শূন্যতা পূর্ণতা নিছক শিশু শব্দ
তা আজ অব্দি একে অন্যতে জব্দ!
যত দ্রুত ছুটবে তত দেরি হয়ে যাবে
এখানেই থাম, অনেক তো গিয়েছ...
পথ পথের আঙুল ছুঁয়েছে,
পথিক তুমি পথ হয়ে যাও
পথ তোমরা পথিক-কে পথ দেখাও...
দুজনের মাঝে আলাপ করে খানিক এগোও
খানিক পেছাও... শুধু পথহারা হইও না...
তুমিই পথ তোমার পথের...পথিক নও!
জানি পথিক!ওসব কিছুই মনে থাকবে না।
তবুও শুনো, যদি কান খানিক আলাপ জমা রাখে...
বিজ্ঞজন লক্ষ্যহীন বোকারাম লক্ষ্যচ্যুত!
সুড়ঙ্গ পথ একটি বৈ অন্যটি নেই!
একই পথে মিশে যাই সব
সুড়ঙ্গ কেবল ভরকেন্দ্র হারা!
আলোয় আঁধারে আলিঙ্গন হোক খানিকক্ষণ...
অবুঝ না বুঝে সহজ আলাপন
খাই খাই করে শালা মহাজন!
চোখ না ঘুমালে স্বপন কেমনে
স্বপন দেখিলে চোখ তো ঘুমে?
তো স্বপন দেখলো কে, দেখালো কে...?
—দেখলো অচেতন মনে,
—দেখালো প্রিয় নিভৃত নিপুণে...
জবাব দিল কে? ফের প্রশ্ন ছুড়ল কে?
আমার ভেতরে আরও কত কে?
ফারাক নাই তোমাতে আমাতে
এই দেখ তোমাতে আমি, আমাতে তুমি...
শেষে দেখবে কোনো কিচ্ছু নাই
যা কিছু বলেছি নিছক বে-হুদাই!
একে শূন্যে দশ না হয়ে শূন্য হইল কেমনে?
গুণের ফাঁদে ঘাতক বেচারা শূন্যে রইল যেমনে!
বাষ্পীভূত হওয়ার পর তলানিতে দেখ আমি!
ঐ তলানি-ই জানে সবকিছু, কোথায় তুমি-আমি...
০২.০৪.২৪