ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়ে ব্যর্থতার নথিপত্র,
অতি পুরাতন খবরের নূতন ফরমায়েশ।
কে কবে কখন বহ্নি জ্বেলে করেছে
নিজেকে দাহ দহন রেখায়?
কার অতীতে বসে কারা দেখে ভবিষ্যত?
বর্তমান কেন এতো ঠুনকো মেকি?
হাওয়াই মিঠাইসম আয়ুর নাট্যকলায়
লুফে নেয় খানিক রসদ জীবিকায়।
কে যায় কাকে ফেলে বলে না বলে?
সস্তা লেখায় অদেখার আঁচিলে।
ইতিহাসের ইতি নেই সূচনা ছিল
নূতন মোড়কে ফের সাজিয়ে নিল!
সহমৌলিকতা আজ কার আঁজলায়
কে বিজ্ঞ সেজে বসে প্রাজ্ঞনামায়?
যা ছিল লিখার সব লিখা হয়নি
বলতে গিয়েও কভু বলা হয়নি...
রাত-বিরেতে কত প্রাণ পুড়ে যায়
বেওয়ারিশ লাশের ঠিকানা মেলা দায়
কখনো জ্বালায় নিজে কখনো জ্বলে
ইথারের পাশাপাশি মিথেন পুড়ে!
হাওয়ায় ভেসে থাকে ছায়াদল শব
নিভৃতে আয়ু গুনে পাখপাখালি
নদীর নাব্যতা ক্রমশ কমে
কমছে রোজই কত গাছগাছালি!
ভেসে যায় জ্ঞান স্রোত মৃতপ্রায় হ্রদ,
শোনা যায় মোনাযাত দূর দূরতক।
স্কন্ধে পাহাড় নিয়ে হাঁটছে পথিক
মেলেনি আলোর ছোঁয়া প্রাণের অধিক!
এভাবেই চাপা পড়ে কবরে খবর
কতশত দাফনের একই ঠিকানা!
বেখবর মজলুম ধুঁকে মরে ক্ষয়
অনিয়ম জুলুমের সমুখে বিজয়...
তারপর একে একে সবাই ভুলে,
ঠিকাদার শুধু শুধু খাতায় তুলে।
অবশেষে পৃথিবী রঙিন হয়
মৃত সৈন্য মুখ থুবড়ে পড়ে!
রচনাকাল : ৩০.০৪.২৪