মৃত্যু নিয়া যতই শুনাই গল্প,
কে না চায় বাঁচতে যুগের পর যুগ,
সমস্যাদের দেখে নেয়া যাবে
জীবনে যত বড় ঝড়ই আসুক।
মহাপ্লাবনের জোয়ার ছেড়েছুড়ে
কে যাও তুমি ভয়ালু কোথাকার?
জীবন মানে মরতে মরতে বাঁচা
আর মৃত্যু ফের জীবনের রূপকার!
চোখে মুখে আলোর স্ফুটন লেগে,
জ্বলজ্বলিয়ে উঠলো দেখো শেষে,
প্রভার আলো ফুরবার আগেই
জীবন প্রদীপ নিভে গেল কিসে?
আমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখি
বুঝেও যেন বুঝতে পারি নাকো
যদিও খানিক বুঝে উঠতে পারি,
সেটিই আবার বলতে পারি নাকো!
কোথায় গেলে জীবন কাটে বেশ?
কোথায় পৌঁছে বলবে ঢেড় হলো, থাক্!
কোথায় দাঁড়ালে ভাববে মৃত্যু কাছে,
জীবন বেচে মৃত্যুর ছবি আঁক্!
এক জীবনে কতটুকু যায় বাঁচা?
কতটুকু আলোয় ফুরিয়ে যায় তেল?
থমকে দাঁড়ায় জীবন গাড়ির চাকা,
মিলায় এই দেহ বিনা দেহটা!
কত কবির জন্ম হইল জানো—
মহাকবিদের মৃত্যুর পরে!
কত আবেগঘন বাক্যের শিল্পাননে
শব্দে শব্দে জীবন হইল ঠাসা!
যে গেছে ঐ বজ্রাননের দ্বীপে
ফিরবে বলে আর মনে হয়না,
আরও কত নতুন কবি আসবে
রাখবে না মনে আমায় সেটা ভয়না।
আমার কেবল ঐ খানিকটা ভয়
মৃত্যুর পরে লাশের কী পরিচয়?
জীবন কি সত্যিই ছিল বাকি?
নাকি নিছক দুঃস্বপ্নের অভিনয়!