রাত্রি দ্বিপ্রহর,
ঘোর আঁধার
থেমে গেছে নগরীর সব যান্ত্রিক কোলাহল,
সোডিয়াম ল্যাম্পোস্টের আলো নিভে গেছে।
আলোহীন সেই ল্যাম্পোস্টের নীচে,
এক মধ্যবয়সী নারী দাড়িয়ে আছে।
উদাস তার দৃষ্টি
সে বড্ডো ক্লান্ত,
নগরীর শত কোটি মানুষের ভীড়ে
তাঁর গল্প আর কজন ই বা জানে!
সে এক ধর্ষিতা!
নিত্যদিন ধর্ষিত হয় সে
তাঁর লক্ষ্য বেচে থাকা,
সে বেচে থাকে ডাস্টবিনে কাকের মতই।
ক্ষানিক সময়ের সুখ পাপীদের বলি হয় সে।
এই সব গল্প,
প্রতিদিন ধারালো ছুড়ির মত ছিন্ন ভিন্ন করে দেয় তারে
তাঁর ইচ্ছে হয় চিৎকার করে বলতে;
আমি ও তো মানুষ,
যে জন করেছে তোমায় সৃজন,
সে জন কী আমায় করেনি সৃজন?
আমি ও তো চাই কারো ভালবাসায় বেচে থাকতে।
হয়তো তাঁর এই আত্মচিৎকার বাতাসেই মিলিয়ে যায়;
হয়তো একদিন সে ল্যাম্পোস্টেই ঝুলে থাকে তার নিথর
দেহ,
সুখ পাপীরা আবারো ভীড় করে তার চারপাশে,
ধিক্কার জানায় তারা,
নিজেরে দাবী করে সুশীল,
লম্বা বক্তৃতা দেয়
এ পতিতা,
চোখ দিয়ে এরে দেখাও পাপ,
একে কবর দেয়া যাবেনা,
চিতায় পুড়ানো যাবেনা,
মাটিতে চাপা দিয়ে দাও!
চোখ দিয়ে এ নারীরে দেখাও পাপ,
কিন্তুু আঁধার রাতে;
এ নারীর সনে মিলনে ছিল না কোন পাপ।
১৮-০২-১৭,শিকড় -ময়মনসিংহ