যখন পৌষের আগমনে হিমেল হাওয়া উঁকি দেয় বাতায়ন ঘেষে,
যখন চৈত্রসংক্রান্তির উপবাস ভেংগে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার উৎসব চলে,
যখন ভাদ্র-আশ্বিনে সূর্য প্রায়ই থাকে গৃহবন্দী,
যখন সময় বলতে কেবলই বুঝি একটি অন্তিম গোলাকধাঁধায় নিরন্তর বিচরণ।

আমার এই নির্জীব যাত্রা যেন অসীমে বিলীন,
আমার প্রায় উদ্বৃত্ত লক্ষ্যগুলো আজও চূড়ান্তেই স্থির।
এক পা দু পা করে পৌঁছে যাই জীবনের পরাকাষ্ঠায়,
শেষ হতেই যার শুরু — তার আসলে শেষ কোথায়?

তোমরা আমায় জীবনের প্রেক্ষাগৃহে দেখো,
যেখানে চলে শুধুই অসমাপ্ত আলো-ছায়ার খেলা।
তোমরা আমায় আমন্ত্রণ জানিয়েছ নব দুয়ার খুলে,
আমি তো কেবলই প্রতীক্ষায় আছি চির বিদায়ের।

মৃত্যুটা যেন এক ধু ধু মরুময় প্রেক্ষাগৃহে এক চিলতে মরীচিকা,
অলীক সত্যের দোলাচালে আমরা কতই না নিরুপায়।
ভান করি প্রভাত থেকে মধ্যরাত,
নিদ্রা যেন কেবলই কিছুটা বিভীষিকাময় বিরতির অপর নাম!

চেয়েছিলাম নিদ্রাস্নাত হতে চিরতরে,
আবার ভাবলাম — 'মরুভূমিটা এতটাও নির্মম নয়';
ভাবনা তো কেবলই কল্পলোকে আসীন,
প্রেক্ষাগৃহে রোদ-ছায়ার খেলা যেন সর্বদাই সমীচীন।