নিশ্চুপ রাতের নৈঃশব্দ্য আমায় হাতছানি দেয়,
নিরালায় আগলে রাখে যতনে, নিভৃতে, মৌনতায়,
ক্ষীণকায়, অভিমানে, নিস্তব্ধতায়, নির্জনে,
কারো কারো জন্য এ যেন চোরাবালির ঠিকানার সংকেত উদ্ঘাটন।

হোক মৌনতায় কিছু সুখ খুঁজে ফেরা,
হোক এক চিলতে রোদের নিশান ধরে হাঁটা,
হোক নরম গোধূলির স্নিগ্ধতা শরীরে মেখে আরও একটু এগিয়ে যাওয়া,
হোক ধরণীর শেষ প্রান্তে এক মহামায়ার অপেক্ষা।

যত কালো ধোয়ার এই শহরে,
যত নির্মোহ মেঘের দুয়ারে দাঁড়ায়ে,
যত বৃষ্টির ফোঁটা উদ্বায়ু হয় প্রখর তাপদাহে,
যত অসহ্য ক্রন্দন মেখে পুনর্জন্মের অপেক্ষায়।

পাপ মোচন হবে কবে?
জিজ্ঞাসাটা চলছে জন্ম থেকে জন্মান্তর,
জন্মটাই যদি হীন হয়, পূণ্য তো কেবলই -
একটি ছন্দহীন কবিতার শেষ পংক্তিতে ছন্দ মেলানোর প্রয়াস!

তবুও অজস্র নিরাশার বেড়াজালে,
বুনে চলেছি এক রাত্রিকালীন কালক্ষেপণ।
অমানিশা বোধহয় কালজয়ী কোনো মহাকবির এক মহান মহাকাব্য,
শেষেই যার শুরু।